পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ssar ow.y खेलूङ S&6. পতিত হইতে হয়, এবং মন্দকে উৎসাহ দেওয়া হয় ; এমন স্থলে সহানুভূতি আত্মপর কাছারে পক্ষে মঙ্গলজনক নহে। তবেই দাড়াইতেছে সহানুভূতি-বিস্তারেরও সীমা আছে। অতএব “সকলের প্রতি সহানুভূতি” শুনিতে যেমন জোরের শুনায় উহ। প্রকৃত পক্ষে তেমন নহে । কিন্তু আমাদের শাস্ত্রে এ সম্বন্ধে যাহা উক্ত হইয়াছে, তাহার উপর কাহারও কোন কথা চলতে পারে ল| ; আমাদের শাস্ত্রে আছে | “মৈত্রাককণামুদিতোপেক্ষাণাং কল্প দুঃখ পুণপিণ্য । iবযুরণাং ভাবন’ এশ্চিত্তপ্রসাদনং"।” সুখের প্রতি মৈত্রী, অর্থাৎ পরের মুখে | সুখ-বোধ, দুঃখের প্রতি করণ, অথ{ং পরের দুঃখে দুঃপ-বোধ ; পুণ্যের প্রতি মুদিত ཅན་ལྦ (অর্থাৎ অনুমোদন) ; এবং পাপের প্রতি উ- | পেক্ষ (অর্থাৎ তাচ্ছিল্য), এই সকল ভরদ্বারা । চিত্তের প্রসন্নতা সাধন করবে। দেখ কেবল । সহানুভূতির চর্চা অপেক্ষ এ সাধন কত ন' দোষ এবং শুভ-জনক ! ৫ উপদেশ বাক(টিতে কেবল সুখ-দুঃখ ও পুণ্যর প্রতি মহাসুভূতি করিবার বিধি আছে-পাপের প্রতি নহে ! আবার, পাপের প্রতি পাপাচরণ - যেমন শঠে শাঠ্য-ইহাও শাস্ত্রকারের মতে নিষিদ্ধ ; পাপের প্রতি কেবল উপেক্ষারই । অমুজ্ঞ। দেওয়া হইয়াছে। এস্থলে কেহ । বলিতে পারেন- পাপের প্রতি উপেক্ষ । "হইলে আর পাপ-সংশোধন হুইল কই ? শুধু | পাপের প্রতি উপেক্ষ। এই কথাটুকু বলিয়।হ ক্ষাস্ত থাকিলে ঐরুপ দোষ ঘটে তাহ। আমর স্বীকার কার-কিন্তু পাপের প্রতি উপেক্ষার সঙ্গে সঙ্গে পুণ্যের প্রতি-অনুমোদন—অর্থাৎ | উৎসাহ দান-ইহার বিধি দেওয় হইয়াছে।" বাস্তবিক দেখা যায়, পাপকে পাপ দ্বারা পরাজয় করা যায় না, : করিতে সমর্থ। পাপে ই পাপৰ্কে পরাজয় | পেঁয় প্রতি উপেক্ষা করিয়া যদি লোকের চক্ষের সমক্ষে পুণ্যের তাদর্শ ও দৃষ্টান্ত তুলিয়া ধরা যায়, তাহা হইলে তাহার গুণে যেমন মনুমের ধৰ্ম্ম-ভাব উত্তেজিত হইতে পারে ও পাপের প্রতি বিরাগ জন্মিতে পারে, এমন আর কিছুতেই নহে। ইহাই পাপ-সংশোধনের প্রশস্ত উপায় । পতঞ্জল মুনির ঐ প্রাচীন উপদেশটি কমূ টেল সহানুভূতির উপদেশ অপেক্ষ কত, না সর- ভ { কৃষ্ণকমল বাবু বলিতে পারেন—আমাদের শস্ত্রের উপরি-উক্ত ঐ যে ব্যবস্থ উহারু উদ্দেশ্য কেবল আপনার চিত্তের প্রসাদন । (“ কিন্তু আমির পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি -- পরের সুখে যদি অমর নিজের আনন্দ না হয় তাহা হইলে পরকে ভালবাসার কোন অর্থই থাকে না ! প্রসঃ চিত্তে ভালবাসাই ভাল বাস ; ওযুপ-গেলা রকমের ভালবাস ভালবামা নহে। ধৰ্ম্ম-কার্য্যের সঙ্গে-সঙ্গেই চিত্তপ্রসাদ লাগিয়া থাকা অবশ্যক ; ধৰ্ম্মানুষ্ঠাতার যতক্ষণ ন চিত্ত-প্রসাদ হয় ততক্ষণ পৰ্ম্মনুষ্ঠান সৰ্ব্বাঙ্গ-সুন্দর হয় না। শুধু কার্য্যেঠেই ধৰ্ম্ম হয় না, কাৰ্য্য-কার মনের ভ{বেতেই ধৰ্ম্ম হয় । একই কর্ম , নানা ভাবে কৃত হইতে পারে—যদি তাহ ধৰ্ম্ম-বুদ্ধি অনুসারে কৃত হয় তবেই তাহা ধৰ্ম্ম-কাৰ্য্য বালয়। ই গু হইতে পারে। শুধু যদি কাৰ্যা লক্ট্রর ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বিচাৰ্য্য হইত, তাহ চুইলে একট। অপাস্তব শূন্য ভাব অবলম্বন করিয়৷ কাৰ্য্য করিবারও যে মুল্য, পূর্ণ সত্য পরমাত্মাকে অবলম্বন করিয়া কাৰ্য্য করিবারও সেই মূল্য হইত। কিন্তু মনের ভাবকে ছাড়িয়া দিয়া শুধু কেবল কৃত কার্য্যেতে ধৰ্ম্মধর্মের কোন লক্ষণই বৰ্ত্তিতে পারে না—একটা কলের পুতুল আর একটা পুতুলকে হত্যা করিলে সে পাপে লিপ্ত হয় না-একটা ব্যঘ্ৰ নরহত্যা করিলেও পাপে