পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৪

দাৰি লণ্ড । পঞ্চ জারঞ্জই যে, দেশ-কাল অবস্থার সীমাভ্যন্তরে সেই ধর্মের পথ-কৰ্ত্তব্যের পথ-- একটি মাত্র-অকৰ্ত্তব্যের পথ অসংখ্য ; সেই অসংখ্য অকৰ্ত্তৰোঁর পথ পরিত্যাগ করিয়া সেই একটি কৰ্ত্তব্যের পথ অবলম্বন করিতে হইবে।--কি কঠিন কার্স্য | এই জন্যই ব্রাহ্মধৰ্ম্মে উক্ত হইয়াছে “ক্ষুরস্য ধারা নিশিত। দুরত্যয় দুর্গং পথস্তং কবয়োবদন্তি” কবিরা বলেন যে, সে পথ শাণিত ক্ষুদ্র-পারের ন্যায় দুর্গম । কিন্তু এই পথকে লক্ষ্য করি য়াই আবার ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বলিয়াছেন “ধৰ্ম্মঃ | সৰ্ব্বেষাং ভূতানাং মধু,” ধৰ্ম্ম সকলেরই পক্ষে । মধু স্বরূপ । দুই কথারই অর্থ আছে-- দুই কথার কোনটিই উপেক্ষণীয় নহে । যাহার। ধৰ্ম্মের কঠোরতার প্রতি উপেক্ষ করিয়া শুদ্ধ কেবল ধর্শের মাধুর্য্যের প্রতিই । মনোনিবেশ করেন—তাহারা পথের বিঘ্ন বিপত্তির সহিত সংগ্রামের জন্য পূৰ্ব্ব হইতে প্রস্তুত থাকেন না—এই জন্য তাহারা শীঘ্রই পরাভব প্রাপ্ত হ’ন ; আবার, যাহার ধৰ্ম্মের মাধুর্য্যের প্রতি উপেক্ষা করিয়া শুদ্ধ কেবল কঠোরতার প্রতিই মনোনিবেশ করেন, তাহার ধৰ্ম্মকে ব্যাঘ্র ভল্লুকের মত দেখেন স্বতরাং উহাকে উাহারা দূর হইতেই পরিত্যাগ করেন । অতএব সাধকের ইহা জানা উচিত .ষে, পদ্মের মৃণাল যেরূপ কণ্টকময় ও তাহার পুষ্প যেরূপ মধুময়, সেই রূপ ধর্মের অঙ্কুর কণ্টকময় কিন্তু তাঙ্গার ফল মধুময় ; আরো জান উচিত যে, কঠোরতা ধৰ্ম্মের বাস্থ্য লক্ষণ-মাধুর্য তাঙ্কার আস্তরিক লক্ষণ । ধর্শের অঙ্কুর কি ? মা তপস্যা ও সাধনা-- हेश कफेकगग्न ;—ধৰ্ম্মের ফল ‘কি ? ল| -ইহা মধুময়। এই আত্মপ্রসাদের মাধুর্য্যই ধৰ্ম্মের অস্তিরিক লক্ষণ— তপস্যা ও সাধনার ক্লেশ তাহার বাস্থ্য লক্ষণ ; কেননা বাহিরের বাবা মোচনীর্থে ষ্ট আচার্য্যের উপদেশ ১২৩ তপস্য ও সাধনার ক্লেশ স্বীকার করা অবশ্যক হয় ; পরস্তু, আত্মার আভ্যস্তরিক মূৰ্ত্তিই আত্মপ্রসাদের প্রস্রবণ । আত্মপ্রসাদের মুল অন্বেষণ করিতে গেলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, তার এবং পরমাত্মার মধ্যে ধে সম্বন্ধ তাঙ্গাই প্রসাদের মুল । ধর্মের ভিত্তিমূল অক্সিপ্রভাব ; আত্ম-প্রভাব পরিস্ফুট হুইলে পরমাত্মা হইতে তাত্মাতে যে প্রসাদ-বারি অবতীর্ণ হয় তাছাই আত্ম-প্রসাদ । ইংরাজিতে একটি প্রবাদ অাছে যে, যে ব্যক্তি তাপনি আপনাকে সাহায্য করে, ঈশ্বর , কে --.H * זי ואלז { | | | | সীষ্টীয়া করেন, ইহারও ঐ অর্থ ; জামুপ্রভাপই দেব-প্রসাদ আকর্ষণ করে,--অন্ত্রি প্রভাবই আত্ম প্রসঙ্গের উপযুক্ত ক্ষেত্ৰ , আত্মপ্রভাবাপ ক্ষেত্রে আত্মপ্রসাদ রূপ বারি নিপতিত হইয়। ধৰ্ম্মের মধুময় ফল উৎপাদন করে । আর একদিকে দেখা যায় যে, যেমন বর্ষার বারি নিপতিত হইলে বীজ অঙ্কুরিত হয়, সেইরূপ ঈশ্বরের প্রসাদ অবতীর্ণ হইলে অ}য়ার প্রভাব অঙ্কুরিত হয় ; অতএব ঈশ্বরের প্রসাদ ও থনা করিয়া ধৰ্ম্ম-পথে অগ্রসর হওয়া ধৰ্ম্মসাধনের একটি প্রধান অঙ্গ। ঈশ্ব-. রের প্রসাদই ধৰ্ম্ম-পথেন পাথেয় সম্বল । ইউরোপে এককালে এইরূপ এক বীরধৰ্ম্ম প্রচলিত ছিল যে, বীর-পুরুসের স্ব স্ব প্রেয়সীর গ্ৰীতি-কামনায় দ্বন্দ,য়ুক্ষে প্রবৃত্ত হইতেন, এবং যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবার পূৰ্ব্বে স্ব স্ব প্রেয়সীকে ধ্যান করিয়া তাহদের প্রসাদ যামঞা করিতেন, এ সকল প্রথার অর্থ আর কিছু নষ্ঠে—আধাত্মিক ঈশ্বরোপাসনায় মহার অক্ষম, তাহারা পার্থিব প্রেমের পাস ৯ ঈশ্বরের স্থানাভিষিক্ত করিয়৷ এক বস্তুর সিন আর এক বস্তু দ্বারা পূরণ করেন । হ্রাহ্মের কর্তব্য যে, তিনি প্রকৃত ঈশ্বরের প্রসাদ