পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ যাচঞা করিয়া ধৰ্ম্মের দুর্গম পথে দিন দিন অগ্রসর হন,—ক্রমে যখন সেই দুর্গম পথ তাহার নিকট সুগম হইয়। যাইবে, তখন তিনি সৰ্ব্বাস্তঃকরণের সহিত বলিতে পারিবেন "ধৰ্ম্মঃসৰ্ব্বেষাং ভূতানাং মধু।” ধৰ্ম্মসাধন দ্বারা আত্মার আধ্যাত্মিক বল—তপোবল—পরিস্ফুট হয়, ষে বল দ্বার। বিষয়ের প্রতিকুল স্রোতে আত্মা অটল থাকিয় আত্মপ্রসাদে পরিপ্লুত হয়—যে বল ইহকাল পরকাল সকল কালেরই অমোঘ সহায়—সেই দেব-স্পৃহনীয় প্রশান্ত অক্ষুব্ধ বল আত্মাতে আবিভূত হয় ; সে বল শারীরিক বল নহে যে আজ আছে কাল নাই ; তাহা মানসিক বল নহে যে, শ্রমে শ্রাত্ত হইবে ; সমস্ত জগৎ যেরূপ বলে চলিতেছে, তাছ। সেই রূপ অপরাজিত অক্ষুব্ধ প্রশান্ত বল ; কালিদাস বলিয়াছেন, “ভানুঃ সরুদযুক্ততুরঙ্গ এব, রাত্রিদিবং গন্ধবহুঃ প্রমাতি, শেষঃ সধৈবাহিতভূমিভারঃ, যষ্ঠাংশবৃত্তেরপি ধৰ্ম্ম এষঃ ।” সুৰ্য্যের রথে একবার মাত্র অশ্ব যোজিত হইয়াছে, রাত্রিদিন গন্ধবহ চলিতেছে, বাসুকি নিয়তই ভুমিভারে আক্রান্ত রহিয়াছে, রাজাদেরও এইরূপ ধৰ্ম্ম । শুধু কেবল রাজাদের নছে,-যে কেহ ধৰ্ম্ম-ব্রতে ব্ৰতী তাহারই ঐরূপ ধৰ্ম্ম । পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, অধৰ্ম্মের বক্র পথ অসংখ্য কিন্তু ধর্মের পথ একটিমাত্র সরল পথ ;- সেই পথই ঈশ্বরের অভিপ্রেত। আমরা সেই পথে চলিলেই ঈশ্বরের অপরাজিত শক্তি-সমুদায় প্রকৃতি— আমাদের সহায় হয়, আমাদের যত কিছু শক্তির অভাব সমস্তই ঈশ্বরের শক্তি দ্বার পূরিত হয়। ঘিনি যথার্থ ধৰ্ম্মপরায়ণ র্তাহার ইচ্ছা ঈশ্বরের ইচ্ছার সহিত একতানে মিলিত হয়, সমুদায় প্রকৃতির আন্তরিক মঙ্গল-চেঞ্জার তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ।

    • नछ, ९ ऑथ

সহিত তাহার চেষ্টা একতানে মিলিত হয়; এইরূপ ষোগের প্রভাবে সাধু ব্যক্তির জায়ার অভ্যস্তরে এরূপ এক আসঙ্গের উৎস খুলিয়া যায় যে, ধৰ্ম্ম-সাধনের ক৪ আর উাছার নিকট কওঁ বলিয়া বোধ হয় না ; ধৰ্ম্ম স্তাহার নিকট মধু-স্বরূপ হয়। ধৰ্ম্ম দ্বারা তখন তিনি ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হ’ন— “शः गक,1 फ्रां*ब्रः नांख्१ ममारउ मार्षिक९ उउ:, যস্মিন স্থিতে ন ত্বঃখেন গুরুণাইপি বিচাল্যতে,” যাহাকে প্রাপ্ত হইলে কোন লাভই তাহা হইতে অধিক মনে হয় না—যাহাতে অবস্থিতি করিলে গুরু দুঃখেও মনুষ্য বিচালিত হয় না । নানা পথের মধ্যে কোটি-ধর্শের পথ তাহা চিনিয়া লওয়া কখন কখন কঠিন হইয়া পড়ে। আমাদের দুই দিক দিয়া দুই প্রকারের বক্র. পথ প্রসারিত রহিয়াছে—বাম দিক দিয়া নিরুৎসাহ আলস্য অনবধানত৷ হতশ্রদ্ধা ইন্দ্রিয়-পরতা এই সকল পথ চলিয়াছে–শাস্ত্র-কারেরা এই সকল পথ তামসিক বলিয়া নির্দেশ করেন,—ডাহিন দিক দিয়া ঔদ্ধত্য গৰ্ব্ব অহঙ্কার আত্মাভিমান স্বার্থপরতা ক্ষমাহীনতা বল-দপ এই সকল পথ চলিয়াছে,–শাস্ত্রকারের এই সকল পথ রাজসিক বলিয়া নির্দেশ করেন, এ দুই প্রকার পথের মাঝ-খান দিয়া সত্যের, মাত্মপ্রসাদের, এবং মঙ্গলের একটি সরল পথ প্রসারিত রহিয়াছে–শাস্ত্রকারেরা তাহাকেই সাত্ত্বিক নামে নির্দেশ করিয়া থাকেন—তাহাই ধৰ্ম্মের পথ। তামসিক পথের নিরুৎসাহ কখন কখন ধৰ্ম্ম-পথের শাস্তির মত ভান করে--রাজসিক পথের ঔদ্ধত্যও কখন কখন ধৰ্ম্মপথের উৎসাহের মত ভান করে—সাধককে দুই দিক বঁাচাইয়া চলিতে হয় ; তামসিক ইন্দ্রিয়পরতা কখন কখন ধৰ্ম্ম-পথের প্রেমের ভান করে, রাজসিক স্বার্থ-পরতা