পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مهنده প্রিয়-কাৰ্য্য-সাধন কি ? না মঙ্গল-সাধন । মঙ্গল-সাধন দুই জাতীয় –(১) আপনার মঙ্গল-সাধন এবং (২) লোকের মঙ্গল-সাধন ; আপনার মঙ্গল-সাধন কিসে হয় ? না প্রবৃত্তি সকলকে আত্মার অধীনে নিয়োগ করায় ; লোকের মঙ্গল-সাধন কিসে হয় ? না আপনার এবং অন্যের অত্মাকে পরসাত্মার অধীনে নিয়োগ করায় ; এখানে ইহা বলা বাহুল্য যে, ঈশ্বরের প্রতি লক্ষ্য করিয়া তাপনার মঙ্গল সাধন করিলেও লোকের মঙ্গল সাধন করা হয়, লোকের মঙ্গল সাধন ক- | fরলেও আপনার মঙ্গল সাধন করা হয় ; কেননা ঈশ্বরের অধিষ্ঠান-প্রভাবে সকল । লোকই এক অখণ্ডনীয় সম্বন্ধ-সুত্রে গ্রথিত রড্রিয়াচ্ছে । ঈশ্বরের প্রতি লক্ষ্য না কলিয়! মঙ্গল সাধন করিলে তাই স্বার্থ-সাধন হইয়৷ উঠে, হয় আপনার স্থার্থ-সাধন-নয় অgনার স্বার্থ-সাধন ;- কিন্তু , আপনার ; অন্যের স্বর্থ-সাপনের মধ্যে যে এক মহান পরমার্থ প্রচ্ছন্ন আছে-মঙ্গল প্রচ্ছন্ন আছে— ঈশ্বরের অভিপ্রায় প্রচ্ছন্ন আছে-ওরূপ লক্ষহীন সাধনে তাহ প্রচ্ছন্নই থাকিয়া যায় ; কাষ্ঠীর নিকট তাহ প্রচ্ছন্ন থাকে না ? যে ব্যক্তি ঈশ্বরের প্রতি লক্ষ্য করিয়া আপনার এবং অন্যের মঙ্গল সাধমে ৫,রক্ত হ’ল – তাহারই নিকট । ভজনাতে যেমন ঈশ্বরের প্রতি প্রীতি সৰ্ব্বাগ্রে আবশ্যক,সাধনাতে সেইরূপ ঈশ্বরের প্রতি লক্ষা সৰ্ব্বাগ্রে আবশ্যক;—যাহারা সুৰ্য্যের উপাসক তাহার নবোদিত সূৰ্য্যকে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ দেবতা জ্ঞান করিয়া প্রীতি ভক্তি সহকারে তাহার পূজা করেন, এবং দিবাভাগে তাছার যেকোম কাৰ্য্য করেন তাহ ঠাহীদের উপাস্য দেবতার আলোকেই নিম্পাদন করেন ; *ङ्गनाज्जाब्र উপাসক সেইরূপ আত্মার নিভৃত *ঞ্জনে-জ্ঞাষায়িক বোলয়ে-পরমা ১২৭ স্নাকে প্রীতির সষ্ঠিত আরাধন করেন ; এবং স্থার প্রসাদ-জ্যোতিতেই সংসারের মঙ্গল পথে বিচরণ করেন । এইরূপ ঈশ্বরোসনাই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের আধাত্মিক ভিত্তি মূল । এখন, ব্রাহ্মধর্শের ঐতিহাসিক ভিত্তি-মূল কিরূপ তাহ দেখা যা’ :– পরমাত্মার সহিত অক্সিার সম্বন্ধ যেমন ব্রাহ্মধৰ্ম্মের আধাত্মিক ভিত্তি মূল, সেইরূপ আমাদের দেশের পুরাতন-কালের সহিত বর্তমান কালের সম্বন্ধ ব্রাহ্মধর্মের ঐতিহাসিক ভিত্তি-মুল । পরমাত্মার সহিত অাসুর সম্বন্ধ হইতে স্বেরূপ ঈশ্বরোপাসনা ব্রাহ্মের হৃদয়ে অস্কৃরিত হয়, সেইরূপ আমীদের দেশের পুরাতন কালের সহিত বর্তমান কালের সম্বন্ধ হইতে ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম গ্রন্থ ভারতবর্ষে অঙ্কুরিত হইয়াছে। বামধৰ্ম্ম গ্রন্থ সুই খণ্ডে বিভক্ত, - প্রথম খণ্ড ঈশ্বরাধনার উদ্দীপক-দ্বিতীয় খণ্ড ঈশ্বরের প্রিয় কার্য্য সাধনের প্রবর্তক,--সমগ্র গ্রন্থ ঈশ্বরোপীসনার অবলম্বন । এই জন্য ঈশ্ব রোপাসনাকে যেমন ব্রাহ্ম-ধর্মের অধ্যাত্মিক ভিত্তি-মূল বল যাইতে পারে, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থকে সেইরূপ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ঐতিহাসিক ভিত্তি-মূল বলা যাইতে পারে । - জীব-রাজ্যে বৈজ্ঞানিকের দুইরূপ নিয়যের আধিপত্য দৈখিয়াছেন—(১) আমুপূৰ্মিকতার নিয়ম, এবং (২) আনুষঙ্গিকতার নিয়ম । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অবতারণাতেও সেই দুই রূপ নিয়মের কার্যাকারিত দেখিতে পাওয়া যায় ;--আনুপূৰ্মিকতার নিয়ম হইতে পাওয়া যায় যে, ব্রাহ্মধৰ্ম্মরূপ ষে ফল, তাহা উপনিষদ রূপ বীজেরই ফল । কেমন করিয়া উপনিষদ রূপ বীজের প্রভাব হিন্দুধর্শের শাখা প্রশাখা পত্র পুষ্পের মধ্য দিয়া ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম রূপ ফলে পরিণত হইয়াছে তাহা তমু সন্ধান দ্বারা আবিষ্কার করা একজন স্থানপুর্ণ