পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ ইতিহাসবেত্তার কার্য মুতরাং এখানে তা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ।

    • कछ, ९ छत्र

তিন কালের আলোচনা পদ্ধতি তির্ম হার কিঞ্চিৎযাত্র আভাস প্রদর্শন ভিন্ন ভূধিক রূপ, (১) অত্যন্ত পুরাকালের পদ্ধতি-আমুকিছুই প্রত্যাশিত হইতে পারে না।" ইহা মানিক পদ্ধতি, (২) মধ্যম কালের পদ্ধতি— অনায়াসে প্রমাণ করা যাইতে পারে যে, ঔপমানিক পদ্ধতি, (৩) আধুনিক পদ্ধতি— উপনিষদই রূপক-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন হইয়া প্রামাণিক পদ্ধতি। যেমন দেখা যায় যে, পৌরাণিক বেশে আবিভূত হইয়াছিল। পুরাণ প্রথমে স্থাষ্ট্রস্থিতিপ্রলয়রূপিণী ঐশী শক্তিকে তিন পৃথক ধারায় বিভক্ত করিয়া ঈশ্বরকে তিনেরই অধিদেবতা রূপে অবধারণ করিয়াছিলেন,-ক্রমে স্থষ্টি স্থিতি&লয় রূপ তিনটি ক্রিয়া-ভেদের অনুযায়ী তিনটি পুরুষ ভেদ কল্পনা করিলেন—তাছাতেই ব্রহ্মা হইলেন স্বষ্টিকর্তা, বিষ্ণু, ইলেন পালনকর্তা, রুদ্র হইলেন সংহারকর্ড। রূপকের কালে রূপক শোভা পাই ছিল কিন্তু বর্তমানু কাল রূপকের কাল । নহে ইছ বল বাহুল্য। বর্তমান কাল বিশিষ্ট্র রূপে বিজ্ঞানের কাল,-পূৰ্ব্ব কালে বিজ্ঞান অপেক্ষা কাব্যের প্রাধান্য ছিল-- বৰ্ত্তমান কালে কাব্য অপেক্ষ বিজ্ঞানের

  • ,

་།། இம்தகத் து ரக প্রাধান্য সৰ্ব্বত্রই দৃষ্ট হয় ;-এ জন্য পুরাণ | আর এখন লোলে ল মনকে বাধয়। রাখিতে সন্তুষ্ট হয় না--এখন পাটি সুবর্ণকেই লোকে সুবৰ্ণ জ্ঞান করে ; এখন, 'অগ্নি-পরীক্ষায় | যাহ! টেকে তাহাতেই লোকের আস্থা জন্মে, আড়ম্বর দেখিয়া লোকে তত ভোলে না – যদি ভোলে সে অতি অল্প কালেরই জন্য ;– ভ্ৰস্তু ব্যক্তির শীঘ্রই চটক ভাঙিয়া যায়। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি সে, আনুপূৰ্ব্বিকতার নিয়ম হইতে আমিতেছে যে, ব্রাহ্মধর্শ উপনিষদ রূপ বীজের ফল স্বরূপ এক্ষণে বক্তব্য যে, আনুষঙ্গিকতার নিয়ম হইতে আমিতেছে যে, উপনিষদ শাস্ত্র বর্ধমান কালের উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক পরিচ্ছদ পরিধান করিয়৷ ব্ৰহ্মধৰ্ম্ম রূপ ফলে পরিণত হইয়াছে। i মুলস্থিত বীজের সহিত অস্তুস্থিত শস্যের মিল আছে কিন্তু মধ্যস্থিত শাখা-প্রশাখার মিল নাই, সেইরূপ দেখা যায় যে, মুলস্থিত আনুমানিক পদ্ধতির সহিত অন্তস্থিত প্রামাণিক পদ্ধতির মিল থাছে কিন্তু মধ্যস্থিত ঔপমানিক পদ্ধতির মিল নাই। নিম্পাপ বি শুদ্ধ অস্তঃকরণের অনুমান-প্রমাণের অনেক কাছাকাছি যায়, কিন্তু সেই অনুমানকে নানাবিধ উপমা-ভারে – জটিল রূপক-ভারে— আক্রান্ত করিলে তাহা প্রমাণ হইতে অনেক দূরে পড়িয়া যায়, পরে সেই সকল অনুমানকে নানাবিধ বৈজ্ঞানিক সত্য দ্বারা পরিপুঞ্জ করিলে তাহ প্রমাণ-রূপে পরিণত হয়। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম উপনিষদৃ হইতে সেই সকল বচন উদ্ধৃত করিয়াছেন যাহ উপমা লঙ্কারে জড়িত নয়ে --ও যাহা বৈজ্ঞানিক সত্যের অবিরোধী ; ইহাতে আনুপূৰ্মিকতার পারে না , এখন আর চাকচিক্যে লোকে । নিয়ম এবং আনুষঙ্গিকতার নিয়ম দুইই সুন্দর রূপে রক্ষিত হইয়াছে । যে কোন মঙ্গল কাৰ্য্য আনুপূৰ্ব্বিকত৷ এবং আনুষঙ্গিকতা এই দুই নিয়মের উপরে রীতিমত প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহা যথোচিত স্থায়িত্ব প্রাপ্ত হয় । আনুপূৰ্ব্বিক—কিনা পূর্বের অনুযায়ী,—পুত্রের যেমন পৈতৃক আচার-ব্যবহার, আনুষঙ্গিক--কিনা সঙ্গের অনুযায়ী,—সহবাসীর যেমন সংসর্গের অনুরূপ আচার-ব্যবহার; দুইই প্রকৃতির নিয়ম । এই দুই প্রকৃতির নিয়মকে এক সঙ্গে রক্ষা করিয়া যে-কোন মঙ্গল-কাৰ্য্য অনুষ্ঠান করা যায়-তাহাকে আমুশেষিক বলা যাইতে পারে ; আমুশেষিক-কিনা চরমের অনুযায়ী