পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nరీé ,》*擎 অবতারণা-গুণে আমরা লাড নরের প্রদর্শিত | খণ্ডের) আয়তন যেমন গচঘ-স্থানের স্নায়ইউক্লিডের ঐ দোষটি সমুলে उभूनन করিতে তনের সহিত সমান—উভয়ের জাকারও সমর্থ হইয়াছি—ইহা পাঠকের নিকট অবি লশ্বে জলের ন্যায় স্পষ্টরূপে প্রতিভাত হইবে। প্রথম তাধ্যায়। উপক্ৰমণিকা । স্থান-মান শব্দের অর্থ-স্থানের পরিমাণ কার্য্য। স্থান কি ? না আকাশ-খণ্ড । আকাশ বলিতে দুই রূপ বুঝায়,—এক বুঝায় অসীম আকাশ যাহার পরিমাণ সন্তবে না— ইহাকে বলে মহাকাশ, আর বুঝায় সীমাবদ্ধ আকাশ যাহার পরিমাণ সম্ভবে-ইহাকে বলে খণ্ডাকাশ বা আকাশ-খণ্ড । মহাকাশ অপরিমিত এবং নিরাকার, খণ্ডাকাশ পরিমিত এবং সাকার । মহাকাশ নিরাকার— ইছ সৰ্ব্ববাদিসম্মত ; কিন্তু খণ্ড-আকাশ সাকার—এ কথা পুথিতে সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় না,-এ জন্য এ কথাটির সমুদায় মৰ্ম্ম সুস্পষ্ট রূপে খুলিয়া বলা আব শ্যক | ক এগি মনে কর একটি ঋজু লৌহ"চ শলাক, কখ, কখ-স্থান (অখ>ব থাৎ কখ-আকাশ-খণ্ড)অধিকার করিয়| অবস্থিতি কপ্লিতেছে ; ঐ ঋজু শলাকাটিকে বাকাইয়া যদি তাহাকে গ-চ-ব-রূপী বক্র শলাকায় পরিণত করা যায়, তাহা হইলে তাহার আয়তন কমেও ন, বাড়েও না, কেবল তাহার-আকার-পরিবৰ্ত্তন হয় মাত্র। সুতরাং গচঘ-রূপী বক্রস্থানটিও যতখানি আয়ত, কখ-রূপী ঋজুস্থানটিও ঠিক ততখানি আয়ত, এ বিষয়ে আর সংশয় হইতে পারে না ; এখন জিজ্ঞাসা করি যে, কখ-স্থানের (বা কখ-আকাশ কি তেমনি সমান ? কখনই না ;-কখ* শলাকার আকার যেমন ঋজু, তাহার অধিকৃত কখ-স্থানও তেমনি ঋজ, এবং গচঘশলাকা যেমন বক্র—তাহার অধিকৃত গচঘ স্থানও তেমনি বক্র ; অতএব কখ এবং গচঘ এ দুই স্থান যদিও সময়ত ব৷ সমদীর্ঘ, তথাপি উভয়ে সমাকৃতি বলিয়। উক্ত হইতে পারে না। যদি কখ স্থান ঋজুআকার পরিত্যাগ করিয়া গচঘ স্থানের অনুরূপ বক্র আকার ধারণ করিতে পারিত, তবে গচঘ-রূপী বক্র বস্তুও কখ-স্থান অধিকার করিতে সমর্থ হইত ; কিন্তু তাহার সম্ভাবনা কোথায় ? ঋজু স্থান তো আর বেত্রযষ্টি নছে যে, তাহাকে বল-পূৰ্ব্বক নোয়াইয়া বক্র করা যাইবে ; গোলাকৃতি স্থান তো আর ময়দা নহে যে, তাহাকে পিশিয়া চিপীটাকৃতি (চ্যাপ্ট) করা যাইবে, ষটকোণাকৃতি স্থান তো আর স্বর্ণ-রৌপ্য নহে যে, তাহাকে গলাইয়া ছাচে ঢালিয়। চতুষ্কোণাকৃতি করা যাইবে ; অতএব ইহ একটি অকাট্য সিদ্ধান্ত যে, আকাঙ্গু-খণ্ডমাত্রেরই যেমন নির্দিষ্ট্র-পরিমাণ আয়তন আছে, তেমনি তাহার নির্দিষ্ট প্রকার আকৃতি আছে—সে আয়তনেরও পরিবর্তন সম্ভবে না—সে আকৃতিরও পরিবর্তন সন্তৰে নী । আকাশ-খণ্ডের আকার এবং আয়তন উভয়ই অপরিবর্তনীয়—এ বিষয়ে এখন-আর কাহারো সংশয় হইতে পারে না। এখন বক্তব্য এই যে, স্থান (অর্থাৎ শূন্য আকাশখও) মাপিতে হইলেই স্কুল বস্তুর সাহায্য আবশ্যক হয় ;-শূন্য স্থান দিয়া কিছু-জার শূন্য স্থান মাপা যাইতে পারে না-স্কুল-বস্তু দ্বারাই শূন্য স্থানের পরিমাণ-কাৰ্য সম্ভবে ;