পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১১

১৩e তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা কুল অবস্থায় পড়িলে ভাংকে লক্ষ্যসিদ্ধির | তদানুষঙ্গিক জনসমাজের উন্নতি মনুর লক্ষ্য, নিমিত্ত এমন সব কাজ করিতে হয়, যাহা ছিল । পৌরাণিক ও মাশে বুঝা যায় যে অগ্রে লইয়া উত্তর কালে বিতর্ক উঠিতে পারে। কিন্তু এইরূপ বিতর্ক উঠিবার সময় বিচক্ষণ লোক অগ্ৰে ভঁহার দেশকালট বুঝিতে চেষ্ট্র পান এবং তখনই তিনি প্রকৃত আলোকে তাছার কার্য বিচার করিতে সমর্থ হন। কিন্তু পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী এই দেশকাল ছাড়িসা বৃদ্ধ মনুকে বিচার করিয়াছেন এবং তজন্যই বিসম ভ্ৰমে পড়িয়াছেন। এক্ষণে এই দেশবাল ধরিয়া দেখিলে মনু কিরূপ দ ঠুন, অগ্ৰে তাহার আলোচনা আবশ্যক। এখন উনবিংশ শতাব্দী। মনুষ্য-সমাজ এক প্রকার নিবাপদ ; জীবিকার বেশ ব্যবস্থা আছে ; জ্ঞানলাভের দ্বার অবারিত ; ধৰ্ম্ম:াপনের কোন ব্যাঘাত নাই ; কেহ । নিরাশ্রয় নহে, হইতেছে। এই সময়ের আলোকে দাড়াইয়৷ মনুকে ঠিক্‌ বু৭; যাইবে না। যদি মনুর কাৰ্মা আলোচনা করিতে হয়, তাহা ইলে একবার অতীতের দেই ঘোরতর অন্ধকারের মাথো প্ৰবেশ কর । তথ}ধ কি দেখিবে ? লোকের জীবিক অনিশ্চিত ; তুরক্ষার ত:দুশ উপায় নাই ; জনসমাজ এস্তানতর গভীরে নিমগ্ন ; পদে পদে ধৰ্ম্মসাধনের বাসাত ; প্রচণ্ড বায়, কঠোর রৌদ্র, প্রবল বর্ষা ; স্বচ্ছন্দে থাকিবার রাবস্থা : সই ; সৰ্ব্বত্র হিংস্ৰজন্তুબર્ન নিবিড় ধরণ এবং প্রাণের জন্য কঠোর চেষ্টা । জনসমাজের এই ভ্রণ অবস্থায় মনুর জন্ম। ইহা বিকল্পনা নয়, মনুস্মৃতি পাঠেই । ইহার যথেষ্ট্র &মাণ পাওয়: সেই তমোময় দুৰ্দ্দিনে জনসমাজের যায় । ধন প্রাণ অক্লেশে রক্ষা । একেশ্বরবাদ প্রচারের জন্য ব্রাহ্মণদিগের চেষ্টা হয়। এই সূক্ষ ধর্মের উন্নতিই তাছাদের প্রধান লক্ষ্য। ধৰ্ম্ম উৎকৃষ্ট হইলে সামাজিক সমস্ত নিয়মই উৎকৃষ্ট হইবে ইছা তাছাদের অবাস্তুর লক্ষা । মনু শ্রেণীবিভাগ করিয়| সেই ধৰ্ম্মরক্ষার ভার ব্রাহ্মণদিগের হস্তেই দেন এবং তাহাদিগকে কঠোর ধৰ্ম্ম • নিয়মে বদ্ধ করেন । এই ধৰ্ম্মনিয়ম বড় সহজ-সাধ্য নহে। ভোগায়তন দেহ আছে পার্থিব ভোগ্যও যথেষ্ট কিন্তু এই ধৰ্ম্মনিয়মে বদ্ধ হইয়া ব্রাহ্মণের প্রকৃতির প্রতিস্রোতে আপনাদিগের যত্ন ও চেষ্ট্র নিয়মিত করিতে লাগিলেন। এরূপ কৃচ্ছ সাধনের দৃষ্টান্ত শাস্ত্রে যথেষ্ট আছে । মনু ব্রাহ্মণজাতিকে যেরূপ কঠোর নিয়মে বদ্ধ করিলেন অন্য জাতিকে সেরূপ নহে। পাথির ভোগে তাহদের যথেষ্ট্র স্বাধীনতা রহিল । কিন্তু যাছ। ঐছিক ও পরিত্রিক সৰ্ব্বাঙ্গীণ সুখ সৌভাগ্যের মূল সেই ধৰ্ম্মকে যাহার রক্ষণ করিবে প্রকৃতির তাদৃশ প্রতিকূলতার মধ্যে সৰ্ব্বাগ্রে তাছাদের রক্ষার নিয়ম করা আবশ্যক। এই জনা ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য ও শূদ্র এই তিন জাতিই উদ্ধাদের সাহায্যের জন্য রছিল। চতুর্দিকে প্রকৃতির প্র ি কুলত , দুরন্ত শীত । | পৰ্ম্মসাধনের ব্যাঘাত নিবারণের জন্য ক্ষত্ৰিয়, জীবিকার জন্য বৈশ্য ও সামান্য গৃহকাৰ্য্য করিবার জন্য শূদ্র ব্যবস্থাপিত হইল। মনু যদি মনুষ্যের সেই দুর্দিনের অবস্থায় বর্ণবিভাগে এইরূপ কাৰ্য্য-বিভাগ না করিতেন, তাছা হইলে ভারতবর্ষে প্রকৃত ধৰ্ম্ম ও প্রকৃত সভ্যতার অভু্যদয় হইত কি ন সন্দেহ। এক বর্ণকে ধৰ্ম্মের উন্নতির জন্য রাখিয়া জপর ভালী সৰ্ব্বাঙ্গীণ উন্নতির জন্য কি সঙ্গত, মনু তিন বর্ণকে সমাজসেবায় নিয়োগ করিবার তাছাই দেখিয়ছিলেন । এস্থলে বল অল- প্রকৃত তাৎপর্য্য সহজ বোধ । ও কৃত ধর্শ্বের শ্যক, বাক্য মন ও শরীরের উন্নতিকর ধৰ্ম্ম ও উন্নতিতে জনসমাজের চরমোৎকৰ্ষত মপুর্ণ