পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ এখম বুঝিয়া দেখ মনু কি জন্য শূদ্রদিগকে দাসত্বে নিযুক্ত করিয়াছিলেন । ফলত এই দাসপ্রথা না থাকিলে ব্রাহ্মণদিগের উচ্চ লক্ষা সাধনের বাঘাত ঘটিত। সাংসারিক নানা রূপ জটিল ক্রিয়ায় তাহারা আবদ্ধ ও মুহ্যমান হইয়া থাকিতেন । আরও সমাজের প্রথমাবস্থায় এই দাসপ্রথা থাক। বিশেষ । অবিশাক। মহাত্মা আরিষ্টটল প্রভৃতি জগ- | দ্বিখ্যাত পণ্ডিতেরা ইহার সমর্থন করিয়া | গিয়াছেন। প্রায় সকল উন্নত সমাজের প্রথমবস্থায় ইহার সম্ভাব দৃষ্ট হয় । এই আমেরিকায় সে দিন তো ইহার বিলোপ হইল । সুতরাং দুরদর্শী ধীমান মনু হিন্দুসমাজের প্রথম স্থায় ঘাহা করিয়াছিলেন তাহা ম... ত্যন্ত সঙ্গত এবং শুন্দ্রের যে শারীরিক পারশ্রম দ্বার জাতীয় উন্নতির যথেষ্ট্র সহায়তা করিয়াছিল তজ্জন্য চিরকালই সাধুবাদের পত্র হইয়া থাকিবে । বক্তা একস্থলে শূদ্রের দণ্ডবিধি লইয়। মনুকে হাস্যাম্পদ করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন । কিন্তু সূক্ষ বিচার করিয়া দেখিলে ইষ্টাতে উপহাসের কথা তো কিছু খুজিয়৷ পাই ল ৷ মনুস্মৃতিপাঠে হয়। অবশ্যই দেশ; যায় যে, শূদ্রের কোন কোন কার্য্যে ক}ে}র দণ্ডের বিধি আছে । কিন্তু সেই গুলি মধুর অসংশূদ্রপর শাসনবাক্য মাত্র । তৎকালে সৎ শূদ্রের যথেষ্টই মর্যাদা ছিল। এমন কি লোকে তাহাদিগকে ব্রাহ্মণেরই তুল্য বলিয়। বৃঝিত * । তাহাদিগকে লক্ষ্য করিয়া দণ্ডবিধির কথা হয় নাই। কিন্তু যাহার। নিরক্ষর ও বর্বর, যাহারা যথেচ্ছ পানাহার ও লোকের প্রতি অত্যাচার লইয়াই উন্মত্ত, স্বাস্থার পদে পদে ব্রাহ্মণদিগের ধৰ্ম্মকার্সো वाचाउ कद्रिऊ cगई नगख छूर्फीख मयू শূদ্রকে লক্ষ্য করিয়াই তৎসমুদায় উক্ত T TAM TM AT TAMM MM MAT MAAA AAAA ASASASA AAAAASAAA S

  • मृ९ गूजा १िम से फ़ice । भ, उ,

| তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

    • कझ, २ छांनं

হইয়াছে। অধিক ভয় প্রদর্শন না করিলে তাহাদিগকে শাসনে রাখা সুকঠিন । মনু এই বুঝিয়াই ঐ দণ্ডবিধি প্রণয়ন করিয়াছেন। ফলত শাসনবাক্য মাত্রে উহার পর্যাবসান । ক্ষম ও সৰ্ব্বভূতে দুয়াই যাহাঁদের ধৰ্ম্ম সেই ব্রাহ্মণজাতি দ্বারা কদাচ তাহার অনুষ্ঠান হইত না । আমরা যে কেবল অনুযান-বলে এইরূপ কহিতেছি তাহা নহে, মনুস্মৃতি পাঠে ইহা স্পষ্ট্রই প্রতীতি হয় । বক্ত “যেন কেনচিৎ অঙ্গেন” এই যে বচনটী উদ্ধৃত করিয়াছেন ইহার শেষ চরণে "তন্মনোরমুশাসনং” এই একটু কথা আছে । ইহাতেই আমাদের বাক্য স প্রমাণ হইবে । মহর্ষি ভৃগু মনুস্মৃতির রচয়িতা । তিনি ঐ দণ্ডবিধির রচনাকালে “তন্মনোরমুশাসনং’ এই টুকু যোগ করিয়! একটু গৃঢ় ব্যঙ্গের অপেক্ষ রাখিলেন । ওর্থাৎ "তন্মনোরমুশাসনং’ মনুর ইহা অনুশাসন বটে, তাম্মা কন্তু না, কিন্তু আমাদের নয়। টীকাকার दूत्कडप्ले ইহা অারও বিশদ করিয়াছেন। “শতং ব্রাঙ্গণমাত্র শ্য” এই বচনটীর শেযে “শৃদন্তু পঞ্চমস্থতি" এই একটু কথা আছে। ইহার যথাশ্রুত অর্থ এই সে ব্রাহ্মণের প্রতি পরুস বাক্য প্রয়োগ কৰিলে শূদ্রের প্রাণদণ্ড করিবে ! কি ভয়ানক কথা । কিন্তু এরূপ একটা কঠিন দণ্ডের স্থলে টাকাকারের কিছু না লিখিয়৷ থাকিতে পারিলেন না । তাহার। অর্থ করিলেন “তাড়নাদিরূপং বধমহঁতি’ দেখ এস্থলে স্থূল কথাটা কত নরম হইয়। পড়িল। যদি বল বধ শব্দের এইরূপ অর্থ অপ্রামাণিক, ইহা গ্রাহ্য হইতে পারে না। আমি তাহাদিগকে মহাভারতের একটী স্থল স্মরণ করাইয় দেই । অৰ্জুনের প্রতিজ্ঞ এই যে যিনি গাওঁীবের নিন্দ করিবেন, উাহাকে বধ করিতে হইবে। ঘটনাক্রমে যুধিষ্ঠির অর্জুনকে ভৎসনা করিবার কালে