পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ লক্ষণ বলিয়া অবধার্ঘ্য হইতে পারে ; কিন্তু তাহার কৃষ্ণবর্ণ লক্ষণ বা গুরুত্ব লক্ষণ কোন প্রকারেই আধিষ্ঠানিক-শব্দের বাচ্য হইতে পারে না। সাধারণতঃ বস্তু-মাত্রেরই আকার এবং আয়তন উভয়ই অধিষ্ঠানিক শব্দের বাচ্য । এখন মনে কর, ঐ মান-দণ্ডটিকে গলাইয়। একটা গোলা নিৰ্ম্মাণ করা হইল ; তাহা হইলে হয় এই যে, পূৰ্ব্বে তাহার আধিষ্ঠানিক লক্ষণ ছিল—লম্বাকৃতি, তাহার পরিবর্তে এক্ষণে তাছার আধিষ্ঠানিক লক্ষণ হইল-গোলাকৃতি ; এইরূপ বস্তু-বিশেষের এক-সময়কার অধিষ্ঠানিক লক্ষণ সময়ান্তরে পরিবর্তিত হইলেও হইতে পারে। যদি কোন মান-দণ্ডের অধিষ্ঠানিক লক্ষণ ঐরূপ সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়, তবে তদ্বারা সহজে স্থান-মাপ কাৰ্য্য চলিতে পারে না ; শাত-কালে যে লৌহদণ্ড এক গজ পরিমাণ দীর্ঘ থাকে, গ্রীষ্ম-কালে তাহার আয়তন কিছু ন কিছু বৰ্দ্ধিত হয়-ই-হয়, এজন্য কাষ্ঠ নি- । র্মিত মান-দণ্ড যেমন কার্য্যোপযোগী—লৌহ । নিৰ্ম্মিত মান-দণ্ড সেরূপ হইতে পারে না । উপযোগী ; এবং সেই বস্তু তত দৃঢ় শব্দের বাচ্য । যদি এরূপ কোন বস্তু পাওয়া যায় সে, তাহার কোন অধিষ্ঠানিক লক্ষণেরই পরিবর্তন সম্ভলে না--তাহার আকার এবং আয়তন দুই-ই অপরিবর্তনীয়, তবে । তাহাই পাকাষ্ঠ দৃঢ়বস্তু ও সেইরূপ দৃঢ়বস্তুই । পরিমাণ-কার্য্যের পরাকাষ্ঠ উপযোগী ! এখানে দৃঢ়-বস্তু বলিতে ঐরুপ পরাকাষ্ঠ দৃঢ়বস্তু বুঝিতে হইপে—যাহার কোন অধিষ্ঠানিক লক্ষণেরই পরিবর্তন সম্ভবে না তাহাই এখানে দৃ?-বস্তু-শব্দের বাচ্য। এখন কথা হচ্চে এই যে, ওরূপ দৃঢ়বস্তু পাওয়া যায় ३२ को, २ छानि. কই ? বাহিরে কোথাও পাওয়া যায় না ইহা আমি স্বীকার করি,-কিন্তু মনোরাজ্যে তে৷ পাওয়া যায়? তাহাই এখানকার পক্ষে যথেষ্ট্র। যদিও একটা লৌহ-দণ্ডের আকার পরিবর্তন করিলেই করা যাইতে পারে তথাপি তাছাকে আমরা দৃঢ়বস্তু বলিয়া কল্পনা করিতে কিছু মাত্র বাধা অনুভব করি না,—মনে করিলেই হইল যে, কোন প্রকারেই তাছার আকার পরিবর্তন সম্ভবে না ;–এরূপ মনঃকল্পন। এখানকার পক্ষে অবৈধ হওয়া দূরে থাকুক— এখানকার কার্য্যই ঐ ; সংজ্ঞিত-বিষয়কে ংজ্ঞ-অনুসারে কল্পনা করিয়া তাছাকে মনশচক্ষে দেখাই এখানকার একমাত্র কার্য্য— তাহাকে চৰ্ম্ম-চক্ষে দেখিতে চাওয়া বাড়া’র ভাগ –তবে সংজ্ঞিত বিষয় যদি এরূপ হয় যে, তাহ মনশ্চক্ষেরও অগোচর, তাহা হইলেই তাহ দোষের হয় ;—এই একটি সংজ্ঞা ধর—“যে চতুষ্কোণ বস্তু গোলাকার তাহ গোল চতুকোণ বলিয়া উক্ত হয়” এ সংজ্ঞর লক্ষ্য বিষয় শুধু যে বাহিরে দেখিতে পাওয়া যায় না—তাহা নহে—তাহা মনশ্চ ক্ষেরও অগোচর, এই জনাই এ সংজ্ঞ। যে বস্তুর অধিষ্ঠানিক লক্ষণের পরিবর্তন ' ঘত দুর্ঘট—সেই বস্তু পরিমাণ-কার্য্যের তত । ংজ্ঞাই নহে; আর একটি সংজ্ঞ। ধর— “যাহার দৈর্ঘ্য আছে কিন্তু প্রস্থ নাই তাহাই রেখা বলিয়। উক্ত হয়" এ সংজ্ঞাটিও তদ্বৎ; গোল চতুষ্কোণ যেমন কল্পনার অতীত—প্রস্থবিহীন দৈর্ঘ্য ও তেমনি কল্পনার অতীত,--- দৈর্ঘ্য কল্পনা করিতে গেলেই তাহার সঙ্গে একটু-ন-একটু প্রস্থ কল্পনা করা চাই-ইচাই ; তবে এখানে এই একটি কথা বসিবার আছে যে, দৈর্ঘ্য অপেক্ষা প্রস্থকে যত দূর ইচ্ছা কম মনে করা যাইতে পারে—এত কম মনে করা যাইতে পারে যে, দৈর্ঘ্য যেখানে শত-ক্রোশ পরিমাণ-প্রস্থ* সেখানে এক তিলের কোটি অংশের এক অংশ-ও নয় ; অতএব “প্রস্থ নাই” এ কথার অর্থ যদি এরূপ