পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩২

stin ۲۰۰۰ আত্মা তো সকলেরই আছে তবে কেন e"প্রেম-নিবন্ধন পরমানন্দত সকলেরই त इङ्ग ; उेव हि बीञ्च-6aम वञ्चिति অবিচ্ছেদ্য ধৰ্ম্ম নহে । ইহার উত্তর এই যে আত্ম-প্রেম ও তন্নিবন্ধন পরমানন্দত সকলেরই আত্মাতে বর্তমান আছে কিন্তু প্রতিবন্ধকতা বশতঃ—প্রতিকুল অবস্থা বশতঃ —সকলের আত্মাতে সমানরূপে প্রকাশ পায় না,—সে কিরূপ ? না কোন ব্যক্তির পুত্র যখন সহাধ্যায়ী ছাত্র-বগের সহিত একত্রে বেদধ্যয়ন করিতেছে, তখন ঐ পিতা আর আর ছাত্রের কণ্ঠধ্বনির সঙ্গে তাহার পুত্রেরওঁ কণ্ঠধনি শুনিতে পায় বটে, কিন্তু অপরাপর কণ্ঠধ্বনির প্রতিবন্ধকতা বশতঃ তাহার পুত্রের কণ্ঠঞ্চনি (যাহা তাহার অত্যন্ত শ্রবণ-প্রিয়) । তাঙ্কণ পৃথকৃরূপে-স্পষ্টরূপে — শুনিতে পায় ন, এব্যক্তি যেমন পুত্রের কণ্ঠধ্বনি শুনিতেছে অথচ শুনিতেছে না,—ঝার আর কণ্ঠধ্বনির সঙ্গে সামান্য-রূপে শুনিতেছে কিন্তু বিশেষরূপে--অমিশ্র রূপে—শুনিতেছে না, তেমনি Տ6Տ শ্রবণেন্দ্রিয় কোন বিচার বিবেচনার অপেক্ষ না রাশিয়া আগে ভাগেই সেই কণ্ঠধ্বনিটিতে ঋম্প প্রদান করে। উপরে দেখা যাইতেছে যে, উক্ত ধ্বনির প্রতি উক্ত পিতার মন আকৃষ্ট হয়—এই এক রূপ মনোযোগ ; আবার উক্ত উদাসীন ব্যক্তি চেষ্টা-পূর্বক উক্ত ধ্বনির প্রতি মনকে নিয়োগ করে—এ আরএকরূপ মনোযোগ ; পূৰ্ব্বোক্ত প্রকাব মনোযোগ বিবেচনার পূর্ববর্তী, শেষোক্ত প্রকার মনোযোগ বিবেচনার পরবর্তী ; আর একটি দৃষ্ট্রান্ত দ্বারা এইটি আরো বিশদ করিয়া-দেওয়া অবশ্যক হইতেছে —মনে কর, এক ব্যক্তি তাহার কোন এক জন প্রিয় ব্যক্তির পদ-শব্দ শুনিতে পাইল ; শুনিব। মাত্রই ঠাহার মনে স্থির-সিদ্ধান্ত হইল যে, ইনি অমুক; কি যুক্তি অনুসারে এরূপ সিদ্ধান্ত হইল ? মনে কর সেই ব্যক্তি তাহার আর এক জন সামানা-পরিচিত ব্যক্তির পদ-শব্দ শুনিতে পাইল, এবং অনেক বিবেচনা করিয়া সিদ্ধান্ত করিল যে,এব্যক্তি অমুক, শেষোক্ত সিদ্ধান্তের অধিকাংশ স্থানে মোছরূপ প্রতিবন্ধকতা | যুক্তি সহজেই বুঝিতে পারা যাইতেছে ; বশতঃ আত্মার পরমানন্দত প্রকাশ পাইয়াও প্রকাশ পায় না—পরমানন্দতা নাই যে তাহ নহে । উপরের উদাহরণটি-দ্বারা সুন্দর-রূপে প্রমাণ করা যাইতে পারে যে, মনোযোগ প্রীতি-সাপেক্ষ। উক্ত পিতার মন যেমন সকল প্রতিবন্ধক ভেদ করিয়। তাছার পুত্রের কণ্ঠধ্বনির প্রতি আকৃঃ হয়, একজন উদাসীন ব্যক্তির কখনই সেরূপ হইতে পারে না ; উক্ত পিতা তাহার পুত্রের কণ্ঠধ্বনি একেবারেই চুনিয়া লইতে পারে।-- যেখানে উক্ত পুত্রের আর কোন পরিচিত ব্যক্তি বিস্তর বিবেচনা ও বিচার করিয়া তবে যদি সে কণ্ঠধ্বনির ঈষৎ ছায়া উপলব্ধি করিতে সমর্থ হয় —সেখানে উক্ত পিতার হয় তো কোন কাৰ্য্য উপলক্ষে অভ্যাগত লোকটির আসিবার কথা ছিল, সুতরাং তাহার গতি দ্রুত হওয়াই সন্তব, তাহার পদশব্দও সেই ধরণের ; ইহাতেই শ্রোতার বিবেচনা হইল যে, এ পদ-শব্দ ঐ ব্যক্তিরই; এখানে দেখা যাইতেছে যে লক্ষ্যের সহিত লক্ষণের যোজনা-যাহাকে যুক্তি কহ যায়-- তাহা বিবেচনার পরবর্তী, কিন্তু ঐ বাক্তি যখন ইতি-পূৰ্ব্বে তাহার প্রিয় ব্যক্তির পশিদ শুনিবা-মাত্রই সিদ্ধান্ত করিয়াছিল যে, এ ব্যক্তি অমুক, তখনকার যুক্তি কোন প্রকার বিবেচনার অপেক্ষ রাখে নাই। কেহ বলিতে পাবেন যে, এস্থলেও যুক্তির পূর্বাহ্নে কোন ন। কোন প্রকার বিবেচনা অন্ততঃ অজ্ঞাতসারেও কার্য্য করিয়াছে; ইহার উত্তর এই