পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अहडिद्र शबनिकां★ यडया:न ऍ शबा क्षेत्रরের মুখ-জ্যোতি দেখিয়াছেন-ভঁাহার মধুর জাৱান-ধ্বনি শুনিয়াছেন-প্তাহার অস্থত প্রেমাসের জাস্বাদন পাইয়াছেন—তাই ঠা হারা জায় বিষয় রাজ্যে থাকিতে চাহেন নাতাই স্তাহার প্রিয়তম পরমায়ার অন্বেষণ করিতেছেন—তাই র্তাহাদের বৈরাগ্য — ঔদাসা—বিষয়ের শৃঙ্খল-ছেদন-স্বাধীনতা। এরূপ স্বাধীনতা, যাহা পরমায়া-ধাযে প্রবেশ করিবার স্বায়, তাহার অর্থ পাওয়া যায়; অন্য । কোন স্বাধীনতার অর্থ পাওয়া যায় না । ঈশ্বর প্রেমই প্রেমের পরম আদর্শ গ্ৰুপং ভাড়াই মনুষ্যের আয়ার চরম ফল। ঈশ্বরের প্রেম—মমুষোর প্রেমকে নিগুঢ় রূপে আকর্ষণ করে। কিন্তু বিকর্ষণ-ৰাতিরেকে আকর্ষণ সম্ভবে না, আকর্ষণ ব্যতিরেকেও বিকর্ষণ সম্ভবে না ; জড় জগতে দেখ-এক দিকে গ্ৰহাদির কেন্দ্রীযুগ প্রবৃত্তি, আর এক দিকে কেন্দ্রাতিগ প্রবৃত্তি ; উদ্ভিদ জগতে দেখ-বৃক্ষ এক দিকে মৃত্তিকা-ভেদ করিয়া ঢলিতেছে, আর একদিকে শাখা প্রশাখা আকাশে প্রক্ষিপ্ত করিতেছে ; জীব জগতে দেখ - জীবেরা জড়-রাজ্য হইতে মনোরাজ্যে । এবং মনোরাজ্য হইতে জড় রাজ্যে পর্য্যায় | ক্রমে আন্দোলিত হইতেছে--সংস্কার হইতে কার্ষ্যে এবং কার্ষ্য হইতে সংস্কারে আন্দোলিত হইতেছে; যমুষ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত কর—মনুষ্য জ্ঞান-প্রেম হইতে কর্ঘ্যে এবং কার্য্য হইতে জ্ঞান-প্রেমে নিয়ত দোলায়মান হইতেছে; এইরূপ,সকল জগতেই আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ দুয়ের যুগল আধিপতা দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার যদি নিগূঢ় অর্থ জানিতে চাও, তবে আধ্যাত্মিক জগতের প্রতি একবার প্রণিধান কর –প্রথমে আত্মস্বভাবতই পরমায়াতে বিলীন ছিল—তবে কেন তাহা পায় হইন্তে পৃথক্ভূত হইল । না, এই যে ৰিকর্ষণ ইহা আকর্ষণের পূর্ব সুচনা; পৃথিবী ও গ্রন্থাদি যদি সূৰ্য্য হইতে বিক্ষিপ্ত না হইত তবে সূর্যা কাহাকে আকধণ করিত ? আত্ম যদি পরমার্ক্স-ছক্টতে পৃথক্ভূত ন হইত তবে ঈশ্বর-প্রেমের আক র্যণ কাহার উপর কার্য্য করিত ? সমস্ত জগৎ ঈশ্বরেরই প্রেমের উচ্ছাস এবং মনুসাই তাহা বুঝিতে পারে—এবং বুঝিয়া তাস্থাতে আকৃষ্ট হইতে পারে। কি সে আশ্চর্য মন্ত্রোচ্চারণ যাহাতে সূৰ্য্য চন্দ্র এবং অগণা গ্ৰহ নক্ষত্র মহ, শূন্যে বিধৃত রহিয়াছে ; কি সে যন্ত্রোচরণ যাহতে পৃথিবী বন মরণো, এবং বন অরণ্য পশু পক্ষী কীট পতঙ্গে, উজ্জীবিত হইয়া উঠিয়াছে; কি সে পর মাশ্চর্য্য যন্ত্রেচারণ যাহাতে প্রকৃতির মধ্যে কোথা হইতে আত্মা আসিয়া দণ্ডায়মান হইয়া প্রকৃতির প্রতি সবিস্ময়ে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে লাগিল, এবং প্রকৃতির নিয়ম সকল একে একে জ্ঞানে আয়ত্ত করিয়া প্রকৃতিকে আপনার অভীষ্টসাধন-কার্যো নিয়োগ করিল ! কেহ বলেন যে, সেই প্রশান্ত মধুর গম্ভীর ধ্বনি, যাঙ্ক অনন্ত আকাশ ভরিয়া সমস্ত জগৎকে প্রেমে তাত্নঃ বিকৃষ্ট করিতেছে, যাহার মহাশ্চর্য প্রভা জড়ের অভ্যন্তরে ৫াণ-—প্রাণের অভ্যস্তরে মন— মনের অভ্যন্তরে আত্মা নিশ্বমিত হইতেছে, তাছ। ও-কার ; কিন্তু আসল কথা এই যে, তাহ পরমাত্মার ৫ে.মের উচ্ছাদ--তাছা বাক্যের গম্য নহে মনের গম্য নহে—তাছা মনুষ্য নিস্তব্ধ হইয়। আত্মীর অভ্যন্তরে উপলব্ধি করে এবং সেই &েমামৃত পানে সমস্ত পাপ তাপ হইতে মুক্ত হইয়া অমরত্ব প্রাপ্ত হয় । মনুষোর প্রেম যখন ঈশ্বর-প্রেমে আকৃষ্ট হয়-তখন সেই দুই প্রেমের যোগ অমৃতের উৎস হইয়া উঠে-আত্মা এবং পরমাত্মার মধ্যে তখন আর ব্যবধান থাকে