পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS SSAAAASSSS S S s१९ আদি ব্রাহ্মসমাজ । . ২ অগ্রহায়ণ রবিবার ব্রাহ্ম সম্বৎ ৫৫ জাচার্য্যের উপদেশ । মমুষ্যের কি প্রেম – কি দুঃখ । যাহার প্রেম নাই তাহার দুঃখ নাই ; পৃথিবীত যদি প্রেম না থাকিত তবে কাহারে ভ্রাতৃবিয়োগ হইত না, বন্ধুবিয়োগ হইত না, মাতৃ-বিয়োগ হইত না, পিতৃ-বিয়োগ হইত না,—কাহারো সংসার কখন অন্ধকার হইত না। মনুষ্যের দুঃখ মনুষই জানে,-সে নিবারণের জন্য কত শত মহাত্মা অকুতোভয়ে বক্ষ পাতিয়া দিয়া দারুণ দুঃখকে আলিঙ্গন করিয়াছেন—মনুষ্যের দুঃখ মোচনের জন্য মনুস্থা প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন করিয়াছে । মনুষ্যের মৃত্যু পুথিীর উপরে কি নিদারুণ বজ্ৰাঘাত—তাহাতে পশু পক্ষী ত্রু-লতা পর্মাস্ত শোকে আকুল হয় । মনুষ্যের এত যে দুঃখ তাহা কিসের জন্য ? প্রীতিই সে দুঃখের মূল এবং প্রীতিই দুঃখ সে দুঃখের ঔষধ। পৃথিবীর উদ্ভাপ যেমন আকাশের অশ্লীপার আকর্ষণ করে—তাত্মার দুঃখ-তাপ সেইরূপ পরমাত্মার প্রসাদ-বারি আকর্ষণ করে । স্বয়ং ঈশ্বর মনুষের দুঃখের মোচনকৰ্ত্তা,—-এবং তিনি যাহার দুঃখ মোচন করেন---সেই ব্যক্তিই অন্যের দুঃখ মোচন করিতে সমর্থ । ঈশ্বরের অমৃত পৰিসমাপ্তি হইয়াছে – সেই ভাগ্যলান পুরুসই মনুষ্যের হৃদয়াভ্যস্তরে ঈশ্বর-প্রোমের উৎস খুলিয় দিতে পারে ; সে উৎস খুলিয়৷ গেলে অনন্ত উৎসবের দ্বীয় খুলিয়া যায়, তাহার প্রবল স্রোতে দুঃখ তাপ ভয় বিভীfমক) কোথায় কোন পাতাল-গহবরে নিমগ্ন ছমম যায় ; তখন আর আত্মায় আত্মায় ওয়াচীরের ব্যবধান থাকে না ; মনুষ্যে মনুষ্যে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । २s कछ.९ छणि .— - یا عw مسیه لم দেখা হইলে পরম্পরের নয়ন শরীরের বন্ধন ন মানিয়া পরম্পরের আত্মার অন্তঃপুরধামে প্রবেশ করে, এবং সকল আত্মা মিলিয়া পরমাত্মার প্রেম-রসে দ্রবীভূত হইয়া আর সেখান হইতে ফিরিয়া আসিতে চাহে না । মনুয্যের এই এক মহৎ দুঃখ যে, কেন এই স্বর্গের দ্বার পৃথিবীতে একেবারে রুদ্ধ হইয়। রহিয়াছে ;—মনুষ্য দুঃখের উপর দুঃখ পাইতেছে—জানিতেছে—দেখিয়া শিখিতেছে—ঠেকিয়া শিখিতেছে, তবুও কেন আবার পুনঃ পুনঃ কণ্টকময়-পথে বিচরণ করে,—একবারও শাস্তি-ধামের দিকে ফিরিয়া চাহে না । ইহাকেই বলে মোহ-ইহাকেই বলে তবিদ্যা—ইহাকেই বলে মায়া,—ইহাই যত কিছু কু—সমস্তেরই মূল। বন্য হরিণকে ক্ষুধার্ত দেখিয়া কোন দয়ার্ড ব্যক্তি যদি ভালবাসিয়া তাহাকে তৃণ পত্র খাওয়াইতে যায়, তবে সে হরিণ পলাইয়া যায় কেন ? যদি সে ঐ ব্যক্তির প্রদত্ত ভক্ষা গ্রহণ করিত-তাহ হইলে তাহার ক্ষুধা-নিবৃত্তি হইত এবং কত আদর পাইত ; তাহ তাহার ভাগ্যে ঘটিল না— শুধু শুধু সে কেবল ভয়েই অস্থির ! সেই হরিণের মধ্যে এবং সেই মনুয্যের মধ্যে কি একটা মিথ্যা প্রাচীর দণ্ডায়মান হইল—এ প্রাচীরের কিছুই আবশ্যকতা ছিল না–এ প্রাচীরের পত্তন-ভূমি মিথ্যা একটা ভ্রম ভিন্ন আর কিছুই নহে। এই রূপ একটা প্ৰেম-ভাণ্ডার হইতে যাহার সকল অভাবের অলীক ভ্ৰম-কে প্রস্তুর-ময় দুর্গ মনে করিয়া আমরা তাহার সীমা লঙ্ঘন করিতে কিছুতেই সাহস পাই না ;-ঈশ্বরের নিকটে গেলেই আমাদের সকল অভাব দূরে যায়—যাহা আমরা চাহিতেছি তাঁহাই আমরা পাই -- ইছা জানিয়াও আমাদের সেই সাধের দুর্গহইতে এক পা বাহিরে যাইতে হইলে আমাদের প্রাণসংশয় উপস্থিত হয় । হরিণ মুগ্ধ জীব-সে মৃগ-কৃষ্ণায় ভুলিতে পারে,—