পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ পূৰ্ব্বং এতদস্মৃতমভয়ং শাস্তু উপালীত” সেই এই অনাদি পরব্রহ্মকে—এই অমৃত-স্বরূপকে —অভয়-স্বরূপকে-শাস্ত হুইয়া উপাসনা করবে। কি ব্রহ্মজিজ্ঞাস্ব-কি ব্রহ্মের উপাসক-শাস্তি উভয়েরই পাথেয় সম্বল। পথিকের নানাবিধ পাথেয় সম্বল আবশ্যককিন্তু তাহার মধ্যে অমই সৰ্ব্ব-প্রধান -যেহেতু তাহা ন হইলেই নয়; সেইরূপ—ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পথ-যাত্রীর পাথেয় সম্বলের মধ্যে শান্তিই সৰ্ব্বাগগণ্য । সঙ্গীত-সাধকের পক্ষে যেমন স-রে-গা-মা শিক্ষা নিতান্ত আবশাক – সা হিতা সাধকের পক্ষে যেমন ব্যাকরণ-শিক্ষা | নিতান্ত আবশ্যক-ধৰ্ম্ম সাধকের পক্ষে সেইরূপ শাস্তিশিক্ষা নিতান্ত আবশ্যক । শান্তি ঘ কি অমূল্য বস্তু তাহ আমরা জানি না-- আমাদের দেশের পূৰ্ব্বতন ঋষির তাহা জানিতেন। একটু সম্পদেই আমরা হর্যে উৎফুল্ল হইয়। উঠি-একটু বিপদেই আমর বিষাদে নিমগ্ন হই ; এই আমরা আকাশে উদ্ভূজীয়মান হইতেছি—ক্ষণপরে পাতালে নিমগ্ন হইয়। যাইতেছি, মুহূর্তে মুহূর্তে আমাদের ; স্বষ্টি-স্থিতি-প্রলয় হইতেছে। শিশু যেমন নূতন চলিতে শিক্ষা করিয়া এই চলিতেছেএই পড়িয়া যাইতেছে—এই উঠিয় দাড়াই তেছে — আবার চলিতেছে—ব্রাহ্মধৰ্ম্ম-পথে আমরা সেই ভাবে চলিতেছি । আমস্ন! যদি কিয়ং সপ্তাহ ধরিয়| শুদ্ধ কেবল মনকে প্রশাস্ত করিতে সচেষ্ট হই—তাহ-হইলে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পথ আমাদের পক্ষে অনেক সুগম হইয়া যায়। পথ চলিবার পূৰ্ব্বে হুঁটিতে শেখ আবশ্যক-ধৰ্ম্মপথে চলিবার পূৰ্ব্বে মনকে প্রশান্ত করা আবশ্যক। শাস্তির চরম আদর্শ এইরূপ,—“আপুৰ্ম্যমানমচলপ্রতিষ্ঠং সমুদ্রমাপঃ প্রবিশন্তি যদ্বং” আপৃৰ্য্যমান অচল-প্রতিষ্ঠ সমুদ্রে যেমন জল-রাশি প্রবেশ করে, “তদ্বৎ কামা যং প্রবিশস্তি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । | ויש אי סא גל , সর্বে স শাস্তিমাপ্নোতি ন কামকামী’ সেইরূপ র্যাহাতে কামনা-সকল প্রবেশ করিয়া বিলীন হয়, তিনিই শান্তি লাভ করেন, যিনি কাম্য বিষয়-সকল কামনা করেন— তিনি নহেন। ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম-পথিকের প্রথম বিরাম-স্থান শান্তি—দ্বিতীয় বিরাম-স্থান দাস্তি অর্থাৎ ইন্দিয় দমন । যখন বিষয়ের প্রলোভন সমুখে উপস্থিত নাই—তখন আমরা নিভৃত স্থানে বসিয় মনকে প্রশাস্ত করিলাম ;– কিন্তু তাহাতে আমরা কত দূর কৃত-কাৰ্য্য হইলাম—তাহ পরীক্ষা-ব্যতিরেকে জান৷ যাইতে পারে না । তখনই আমরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইব যখন আমরা দেখিব যে, বিষয়-র জ্যে বিচরণ করিবার সময় ইন্দিয়অশ্ব নিয়ত আমাদের বশে থাকে- একবারও আমাদের নিয়ম-রশ্মি অমান্য করে না । যে আত্মার ইঙ্গিত-মাত্রেই ইন্দ্ৰিয়-অশ্ব কুপথ পরিত্যাগ করিয়া সুপথে ধাবিত হয় সেই আত্মাই আত্মা । সাধক নির্জন স্থানে শাস্তি অভ্যাস করিবেন এবং বিষয়ের সংগ্রাম-ক্ষেত্রে দন্তি অভ্যাস করিবেন তাহ হইলে ক্রমে র্তাহর আত্মাতে অজেয় বল উদ্‌ভুত হইবে। ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম-পথিকের তৃতীয় বিরাম-স্থান উপরতি । সাধক যখন দান্তি-শিক্ষায় পরিপক্কতা লাভ করেন—তখন ভঁাহার মন বিষয়বন্ধন হইতে অনেকটা নিস্কৃতি পায় ;—তখন তাহার নিকট প্রলোভনের প্রলোভনত্ব থাকে না—বিভীষিকার ভীষণত্ব থাকে না—মোহের আকর্ষণ থাকে না—তিনি তখন সংসারে লিপ্ত থাকিয়াও নির্লিপ্ত-নিবাসে থাকিয়াও প্রবাসী--প্রবাসে থাকিয়াও নিবাসী ;-এইরূপ বিষয়ের প্রতি অনাসক্ত ভাবকেই উপরতি কহে । উপরতি কি আরামের বস্তু – উপরতিই আত্মার স্বাস্থ্য । অনেক দিন রোগ ভোগ করিয়া আরোগ্য লাভ করিলে