পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্য স্বত্রের অনুবাদ । ऽ१& কি । ইহার সিদ্ধাস্ত হইবে যে, অব্যক্ত ১ বুদ্ধি ২, অহংতত্ত্ব ৩, আর পাচ প্রকার তন্মাত্র ৫, এই আট প্রকার তত্ত্ব জড়জগতের প্রকৃতি অর্থাৎ উৎপত্তি কারণ। এই আট প্রকার পদার্থ হইতে এই প্রকাও বিশ্বমণ্ডল জন্মিমাছে। অব্যক্ত কি ? এরূপ জিজ্ঞাসা করিলে, বুঝাইবার জন্য নিম্নলিখিত কথা ভিন্ন অন্য কোন কথা উপস্থিত হয় না। এই ঘট, ঐ বন, এই শয্যা, এই ধন, সেই কাম্য দ্রব্য —এ সকল যেমন প্ৰব্যক্ত, বিম্পং, অব্যক্ত পদার্থটা সেরূপ নহে। জড় জগতের সেই মূল (First cause) joiâtfää নায় প্রব্যক্ত পদার্থ নহে, তৎকারণে আমরা তাহাকে “অব্যক্ত” এই নাম দিয়াছি । অতএব “অব্যক্ত” এই নাম দ্বার। ইহাই বুঝিতে হইবে,যাহা এই জড়জগতের মূল, যাহার অন্য নাম মূল প্রকৃতি, সূক্ষমাদপি সুক্ষতম অর্থাৎ ইন্দ্ৰিয়াতীত অথচ তাহা জগদুৎপত্তির প্রথম কারণ First cause তাহা অব্যক্ত । তাহা এক প্রকার কারণ শক্তি এইরূপে অনুভব রূঢ় কর । তাহার আদি নাই, সে জন্মে নাই, অবশ্যই আকাঙ্ক হইতেছে যে, তাহা কি সে চিরনিত্য ও আদ্যন্ত-রহিত, সুতরাং ! তাহার আদি, মধ্য ও অন্ত নাই । য়তা বিধায় তাহা বহিরিদিয়ের অপ্রাপ্য। । কেবল বহিরিক্রিয় নহে, মনও তাছার স্বরূপ বুঝিতে পারে না। যাহা এই জগতের মুল তত্ত্ব, যাহ। এই জগতের সূক্ষ শরীর, যাছ এই জগতের আদি বীজ, তত্ত্বদশী পণ্ডিতগণ তাহাকে “প্রধান” নামে ব্যবহার করেন । তাহা অশব্দ অর্থাৎ শব্দবর্জিত। যদি তাহাতে কোনরূপ শব্দ থাকিত, তাহা হইলে লোক তাছাকে শ্রবণেন্দ্রিয়ের দ্বারা বোধগম্য করিতে পারিত। কিন্তু তাহাতে তাহা নাই, AAAAAA AAAA SAT AMMAAASAAA AAAA AAAA S তাহার অধস্তন নবম পুরুষের ধৰ্ম্ম, তাহার নছে । তাহার রূপও নাই। রূপ থাকিলে অবশ্যই তাহার চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ হইতরূপ না থাকাতেই তাহা চক্ষুর দ্বারা গৃহীত হয় না। তষ্ঠার কোন রস নাই, গন্ধও নাই। সেই জন্যই তাহা রসনেন্দ্রিয়ের ও ব্রাণেন্দ্রিয়ের গম্য হয় না। অথচ তাহা অব্যয় (অবিনাশী) অক্ষয় ও সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থাৎ সকল পদার্থের মূল, কারণের কারণ বা আদিকারণ । ইন্দ্রিয়ের অগম্য বলিয় সূক্ষ, ক্ষুদ্র বলিয়া নহে । জনক নাই বলিয়৷ অলিঙ্গ, সত্ত্বা নাই বলিয়া নহে । চেতনা নাই বলিয়া অচেতন, আদি নাই বলিয়া অনাদি, বিনাশ নাই বলিয়া অনিধন । প্রসব করা তাছার স্বধৰ্ম্ম | আত্মবিকাশ দ্বারা লিচিত্রাকার বস্তু উৎপাদন করা তাহার স্বভাব । সেই পদার্থই অর্পন আমুগুণে বিচিত্র জগৎ প্রসব করিয়াছে। ঈদৃশ মুল তত্ত্বের কোন প্রকার অবয়ব নাই, অংশ নাই, অথচ তাছা সাধারণ অর্থাং তদুৎপন্ন সকল পদার্থেই তাহার অস্বয় প; সভা আছে। এবম্ভত প্রধান এক অর্থাৎ অদ্বিতীয়। কথিত প্রকারের একটা মাত্র দুর্নিরূপ্য বস্তু হইতে সমস্ত জড় জগৎ জম্মিয়াছে, এইরূপ আব: আদি ধারণ কর। এতাদৃশ মুল প্রকৃতির বা আদি মধ্য অন্ত না থাকায়, নিত্যতা ও অতীন্দ্রি- কারণের নাম অব্যক্ত (১), প্রধান (২), ব্রহ্ম (৩), গুরু (৪), বহরাত্মক (৫), অক্ষর (৬), ক্ষেত্ৰজ্ঞ (৭), তমঃ (৮) এবং প্রভূত (৯) । এক্ষণে বুদ্ধি কি তাছা বলিতেছি, শুনুন । প্রোক্তলক্ষণাক্রাস্ত প্রকৃতির প্রথমস্থ প্লণের নাম বুদ্ধি; তাহার অন্য নাম “মহত্তত্ত্ব।” প্রকৃতি যখন স্বধুমুখী হন, তখন র্তাহাতে প্রথমতঃ বুদ্ধি-নামক স্বযুৰ্ত্তিবিশেষ প্রকটিত হয় । সেই বুদ্ধি আবার “অহং” এই আকার ধারণ করে, সুতরাং তাহীও প্রকৃতি অর্থাং অহংতত্ত্বের মূল কারণ । এতাদৃশ বুদ্ধি उाश আশব্দ অর্থাৎ শব্দবর্জিত। শব্দগুণ | তত্ত্ব বুঝিবার জন্য, ব্যষ্ট্রি-বুদ্ধির প্রতি, অর্থাৎ