১৭৩ ৷ অন্মদাদির আন্তঃকরণিক প্রথম স্ফুরণের প্রতি মনোনিবেশ করিতে হয়। ব্যষ্টি-বুদ্ধির বা রক্তিগত বুদ্ধির স্বভাব বা স্বরূপ কিরূপ তাহা অতি সাবধানে লক্ষ্য করিতে হয় । তংসাদৃশ্যে অনায়াসেই বুদ্ধিতত্ত্বের স্বরূপ বা ভাব গ্রহণ করা যাইতে পারে। অগরা আমাদের অধ্যবসায়-নামক পরিস্কার স্ফুরণকে বুদ্ধি বলি। শাস্ত্রীয় ভাষাতেও নিশ্চয়াত্মক মনোবৃত্তি নামে বুদ্ধি অভিহিত হয়। অন্তঃকরণের পরিস্ফুরণ আর নিশ্চয়াত্মিক বৃত্তি তুল্য কথা। কোন বস্তু ইন্দ্রিয়দল্লিহিত হইলে, তদুপলক্ষ্যে যে প্রতিপত্তি অর্থাৎ জ্ঞান-নায়ক আন্তঃকরণিক প্রস্ফুরণ হয়, ইহা এই উহা অমুক, ইত্যাকার বিকাশ বা মূৰ্ত্তি প্রাদুর্ভূত হয়, তাহাই আমাদের বুদ্ধি, তাহাই আমাদের বাষ্টি মহম্ভস্থ । এটা গো, অশ্ব নহে, এটা স্থাণু (মুড়ে গাছ), পুরুষ নছে, এরূপ নিরবশেষ ক্ষুদ্রণ লা নিশ্চয়াত্মিক সুস্তি না হওয়া পর্মান্ত বৃদ্ধির জন্ম হওয়া স্বীকার্য। নচে । অতএব, নিরর শেষ ক্ষুরণ আর নিশ্চয়াত্মিক বৃত্তি তুল্যাৰ্থ । যাবৎ না আমাদের অন্তঃকরণ নামক প্রকৃ তিতে তদ্রুপ স্ফৰ্ত্তি বা উক্ত রূপ বিকাশ উপস্থিত হয়, তাবৎ পর্য্যস্তু সমস্তই অন্ধকার, সমস্তই অসৎ, থাক। না থাকা সমান, ইহ। অত্যয় চিম্ভা করিলেই বুঝতে পারিবে । অতএব, দ্রব্যসমিধান উপলক্ষ্যে যেমন বাঃিপ্রকৃতির অর্থাৎ অন্তঃকরণের নিরবশেষ প্রথম স্বন্তি হয়, মূলপ্রকৃতি ছইতেও তদ্রুপ চিৎশক্তি সমিধান উপলক্ষ্যে নিরবশেষ জগদ্বীজরূপ নিৰ্ম্মল ক্ষুদ্ভি বা বিকাশ (এক প্রকার প্রকাশ) প্রাদুর্ভূত হইয়াছিল। তাহারই এক নাম বুদ্ধি, অন্য নাম মহত্তত্ত্ব। তাহারই প্রাদেশিক বিভাগ এক্ষণে অন্তঃকরণ নামে বিখ্যাত হইয়া উল্লিখিত হইতেছে । অন্তঃকরণের প্রথম স্ফুরণের নাম বুদ্ধি, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
- कछ, र छांन
মূল প্রকৃতির প্রথম বিকারের নামও বুদ্ধি । বুদ্ধির মধ্যে, প্রাকৃতিক প্রথম স্ফুরণের ও আন্তঃকরণিক প্রথম স্করণের মধ্যে, আট প্রকার অংশশিভাব আছে। অর্থাৎ, বুদ্ধির আট প্রকার রূপ বা বিভাগ আছে । ধৰ্ম্ম, জ্ঞান, বৈরাগা ও ঐশ্বৰ্য্য, এই চারি প্রকার রূপ সাত্বিক অর্থাৎ প্রকৃতিগত সত্ত্বাংশের ফুরণ। বেদবিহিত, স্মৃতিপ্রতিপাদিত ও সাধুসম্মত ক্রিয়াকলাপের অনুষ্ঠান দ্বারা শুভজনক শক্তিবিশেষ উৎপন্ন হইলে তাহ ধৰ্ম্ম, তত্ত্বের বা বস্তুযাথাত্মোর সম্বোধ হইলে tছ। জ্ঞান, শব্দাদি বিষয়ে অপ্রবৃত্তি জন্মিলে তাহ। বৈরাগ্য, এবং অণিমাদি অg মহাগুণ বা ক্ষমতবিশেষ অবিভুত হইলে তাহা ঐশ্বৰ্য্য• বুদ্ধির এবম্বিধ কলা চতুষ্টয় বা স্মরণ চতু৪য় সাত্ত্বিক অর্থাৎ উহার বুদ্ধনিষ্ঠ সত্ত্বগুণের উৎকর্মত হইতেই জন্মিয় থাকে। এতদ্ভিন্ন, বুদ্ধির তার চারি প্রকার রূপ আছে, তাহা তামস অর্থাৎ বুদ্ধিস্থ তমোভাগের উদ্রেক মাত্র বুদ্ধির তমোভাগ প্রবল থাকিলেই অধৰ্ম্ম, অজ্ঞান, অবৈরাগ্য ও অনৈশ্বৰ্য্য নামক বুদ্ধিবিশেষ জন্মিতে থাকে। যে বুদ্ধির নাম ধৰ্ম্ম, তাহার বিপরীত বুদ্ধির নাম অধৰ্ম্ম সুতরাং শাস্ত্রবিরুদ্ধ ও শিষ্টাচার-বিরুদ্ধ অনুষ্ঠান হইতে যে ভবিষ্যৎ অণ্ডজের বীজ সঞ্চয় হয় তাহারই সাঙ্কেতিক নাম অধৰ্ম্ম । এই মুত্র যে জ্ঞান লক্ষণ ব্যক্ত করিলাম, অজ্ঞান-লক্ষণ তাহারই বিপরীত জানিবে । বস্তুতত্ত্ব না বুঝাই অজ্ঞানের প্রথম লক্ষণ। বুদ্ধির নিরবশেষ ক্ষুদ্রণ না হই লেই লোকের সংশয়, বিপর্য্যয় (ভ্রম) ও -T- --- حمام مهم
- এই উপদেশের দ্বার। ইহাই প্রতিপন্ন হইতেছে যে, অণিমাe লঘিমা প্রভৃতি মহাসিদ্ধি সৰল বুদ্ধিরই শক্তি, বুদ্ধিরই ধৰ্ম্ম, বুদ্ধিবলেই ঐ সকল ক্রিয়া সাধিত হইত। বস্তুতঃ কর্তব্য বিষয়ে নিরবশেষ বুদ্ধি উৎপন্ন হইলে, মমুষ্য তাহ সম্পন্ন করিতে পারে, অন্যথা পরে না ।