পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g f .." *岛、 cનો દક્તિના তাহারা মন্দিরে প্রবেশ করিয়াছিল। তথায় জগন্নাথের পাণ্ড ও অমুচরদিগের সহিত । তাছাদের এক দাঙ্গা হয় । মহিমাধৰ্ম্মাবলম্বীগণ তাহাতে পরাজিত হইয়া সেই অভিলাষ পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হয়। তাহারা তুললীকে অত্যন্ত স্থণার চক্ষে দেখে । মহিমাম্বামীর আদেশানুসারে তাহার এনুচরগণ, মিথ্যা বলা, চুরি করা প্রভৃতি দুষ্কার্য্য হইতে বিরত হইয়াছে । ইহা দ্বারা উড়িষ্যা গঞ্জাম ও মধ্য ভারতবর্যের নিম্ন শ্রেণীর দুদ্ধি য়াসক্ত মানবগণের চরিত্র বিশেষ ংশোধিত হইয়াছে। আশ্রিত সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিভেদ রহিয়াছে। কিন্তু তাহার একের অধিক বিবাহ করিতে পারে না এবং তাহাদের প্রতি মাসান্তে একবার মাত্র স্ত্রীসহবাসে মহিমা-স্বামীর আদেশ রহিয়াছে । মহিমাম্বামী তাহার অনুচরদিগকে সত্যবাদী, স্বশীল, দয়ালু, সংযমী কবিবার বিশেষ চেষ্ট্র করিয়াছিলেন, এবং তিনি অনেক দূর কৃত কার্য্য ও হইয়াছিলেন। র্তাহার দ্বারা গঞ্জাম, উড়িষ্যা ও মধ্য ভারতের পশ্বাচার মানবগণের চরিত্র স্বন্দর রূপে গঠিত হওয়ার প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে । উড়িষ্যার করদ রাজ্য সমূহ মধ্যে অনুগুল বাজাট গবর্ণমেণ্টের কুক্ষিগত হইয়াছে। গবর্ণমেণ্টের পক্ষে সেই রাজ্যের একজন শাসনকৰ্ত্ত বা তহনীলদার আছেন। ঐ রাজ্যবাসী দুৰ্দ্দন্ত ‘পাণ’ জাতিকে লক্ষ্য করিয়া তহসিলদার মহাশয় লিখিয়াছেন, The new faith of Mahima has wrought a change for the better on the Pans of that Killah, notorious for their thieving proclivities Those who have accepted the new faith regard theft with abhorreuce. কুম্ভিপটীয়া ও কণাপটায় সম্প্রদায় জাতিভেদ স্বীকার করে না। রাজা, ব্রাহ্মণ, রজঙ্ক, হাড়ি ও বেশ্য। ব্যতীত অন্য সকল ১৭৯ জাতির মন্ন ইহার নিরাপত্তে গ্রহণ করিয়া থাকে রাজা তাহার রাজ্যের সমস্ত পাপকার্য্যের দায়ী। ব্রাহ্মণ, পাণী ও অশুচি ব্যক্তির দানাদি গ্রহণ করিয়া অপবিত্র হই য়াছেন । রাজক সৰ্ব্বপ্রকার লোকের বস্ত্র পরিষ্কার করে। হাড়ি সৰ্ব্বদা অপবিত্র কার্ষা করে। বেশ্যার জীবন চির পাপময় । তাতএব এই সকল ব্যক্তিই জগতের মর্শ প্রধান পাপিষ্ঠ বলিয়া মহিমাধৰ্ম্মাবলম্বীগণ ইহাদের অন্নগ্রহণ করে না | ঢেঙ্কানালের অস্তুগত জোরগু নামক স্থানে ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে"মহিমাম্বামী” পরলোক গমন করেন । এ জন্য উক্ত স্থান মহিমাধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের পক্ষে পূজনীয় হইয়াছে । কুম্ভিপটীয়া সম্প্রদায়ের ইহাই মুলস্থান হইয়াছে। মহিমাম্বামীর দ্বিতীয় শিষ্য নরসিংহ দাস মহালপাড়া নায়ক স্থানে বাস করিতে ছেন । কণাপটীয়া সম্প্রদায়ের মহালপাড় মূলস্থান হইয়া উঠিয়ছে। ভীম ভূ ই নামে কন্দজাতির এক জন্মান্ধ বাক্তি মহিষাস্বামীর শিষ্য ছিলেন । এ ব্যক্তি উড়িয়া মহাভারত ও শ্ৰীমদ্ভাগবত প্রভৃতি গ্রন্থগুলি অন্যের দ্বারা পাঠ করাষ্টয়া সৰ্ব্বদাই যন্ত্রের সহিত শ্রবণ করিতেন । ক্রমে এই সকল গ্রন্থ তাহার এতদূর আয়ত্ত হইয়ছিল যে তিনি তাহ অনর্গল অল্প ও করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । এই অসাধারণ শক্তি দ্বার। তিনি মহিমাধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের মধ্যে বিশেষ সন্মান লাভ করিয়াছিলেন । মহিমাধৰ্ম্মাবলম্বীগণ সন্ধ্যোপাসনার পর সকলে মিলিয়৷ ভজন-সঙ্গীত করিয়া থাকে । এই সকল ভজন-সঙ্গীত প্রায় সমস্তই ভীমভুইর রচিত। গীতগুলি সুন্দর ভাব ও নিরা- , কার ঈশ্বরের মহিমা কীৰ্ত্তন দ্বারা পরি পূর্ণ। নিরাকার ঈশ্বরের স্তব-পরিপূর্ণ অনেক | কৰত ভীম হুই হার রচিত হইয়াছে।