পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిe བའི་, নিরবদ্য দেব ব্রহ্ম সনাতন আপন সৌন্দর্ষ্যে হইয়৷ মগন প্রেমের আনন্দে আছেন মাতি । (ليه সৌন্দর্সোর সনে প্রেমের বাতাস লাগিতে লাগিতে উঠিল উচ্ছাস মহাঙ্গে তাহে বহিয়। গেল, 8 সে তেজে আগুণ হইল বিকাশ ঘোর রক্ত রঙে ছাইল আকাশ প্রলয়ের যেন প্রলয় এ’ল । (t ক্রমে সে তাগুণ কি যেন ইঙ্গিতে খণ্ড খণ্ড হয়ে লাগিল ভাঙ্গিতে কোটি ঠাই কোটি ভাতিল রবি । ჯე আকাশ ভাবিল হইয়া বিস্ময়, “আজিগে পিতার স্বঃি বুঝি হয়, নহিলে কে এরা, কিসের ছবি ?” ‘ ব্রেহ্মের মহিমা অগম্য পার ভাবিতে ভাবিতে দেখিল আবার ফুটিয়া উঠিল অযুত গ্রহ। Ես সৌন্দর্য্যে ফুটিল চন্দ্রমা তপন, সৌন্দর্ষ্যে ফুটিল নদী গিরি বন, সৌন্দর্য্যে ফুটিল মানব দেহ । १ જ সৌন্দর্ঘ্য ভাসিল স্রোতস্বতী নীরে, সৌন্দর্ঘ্যে ভাতিল লতা পূপে ধীরে, সৌন্দর্য্যে জগৎ হইল পূর, 55 o সৌন্দর্যো তাবৎ হলো মধুময় ; প্রেম আসি নর নারীর হৃদয় পূরিয়া অভাব করিল দূর । তত্ত্ববোধিনী পত্রিক 38 平嘯, *得 আদি ব্রাহ্মসমাজ।। ৭ পৌষ রবিবার ৫৫ ব্রাহ্ম সম্বৎ আচার্য্যেৰ উপদেশ । পরব্রহ্মকে লাভ করা এবং পরব্রহ্মের জ্ঞান লাভ করা এ দুয়ের মধ্যে কিঞ্চিৎ ইত্তরবিশেষ আছে। আমাদের জ্ঞানে ইহা স্পষ্ট্ররূপে প্রতীয়মান হইতে পারে যে, সকল জগতের অভ্যস্তরে এবং প্রতিজনের অভ্যস্তরে পরমাত্ম বর্তমান আছেন—তিনি জ্ঞানময় আনন্দময় এবং মঙ্গলময়, কিন্তু তাহা হইলেই কিছু-অার পরব্রহ্মকে লাভ করা হয় না। আত্মা যখন সমুদায় প্রীতির সহিত পরমাত্মাতে নিবিষ্ট হয়-তখনই সে পরমাত্মাকে লাভ করে । আত্মা যখন পরমাত্মাকে অবলম্বন করিয়া জ্ঞানের অনুশীলন করে, শুভ কার্য্যের অনুষ্ঠান করে, এবং আনন্দের আস্বাদন করে, তখনই পরমাত্মা আত্মাতে সুস্পষ্ট বিরাজ করেন, তখনই বলা যাইতে পারে যে সাধক পরব্রহ্মকে লাভ করিয়াছেন । যদি কোন শুভ মুহূর্তে ক্ষণকালের জন্যও পরমাত্মার সহিত আত্মার সাক্ষাৎকার হয়, তবে তাহা সাধকের পরম লাভ । কিন্তু ধিনি পরমাত্মাকে সমুদায় আত্মা সমৰ্পণ করিয়া অনস্ত কলের অনন্ত জীবনের মত তাহাকে আত্মাতে প্রাপ্ত হইয়াছেন—ইহজীবনেই তিনি অন্ধকারের পরপারে জ্যোতিৰ্ম্ময় ধামে উপনীত ইয়াছেন—তিনিই ধন্য। আত্মার এই চরম ফল লাভ করতে হইলে কিরূপে আত্মাকে প্রস্তুত করিতে হইবে তাছা ব্রাহ্মধৰ্ম্মে কথিত হইয়াছে ; জ্ঞান-উপার্জন করিতে হইবে—কিন্তু কেবল জ্ঞানে কিছুই হুইবে না, সৰ্ব্বাগ্রে এইটি আবশ্যক যে দুশ্চরিত হইতে বিরত হইতে হইবে-শাস্ত সমাহিত হইতে হইবে—মনস্কামনা শাস্ত করিতে হইবে জ্ঞান লাভ করিতে হইলে লোকে যেমন