পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

πί 5νού শাস্ত সমাহিত হইয়া গুরুর নিকটে গমন করেন—এবং গুরুর শরণাপন্ন হন ; ঈশ্বরকে লাভ করিতে হইলে সেইরূপ শান্ত-সমাহিত হইয়। ঈশ্বরের নিকট গমন করা এবং তাহার শরণাপন্ন হওয়া সাধকের প্রথম কর্তব্য ; কেন না, তাছার জ্ঞান এবং তঁাহার সাধন যেমন আমরা তাহার নিকট হইতে শিক্ষা করিতে পারি—এমন আর কাহারে নিকট হইতে 4 নহে । যে-টুকু ঈশ্বর-জ্ঞান সকলেরই থাকা আবশাক সেটুকু ঈশ্বর জ্ঞান সকল ব্যক্তিরই আছে, সাধক সেই-টুকু অবলম্বন করিয়া ঈশ্বরের নিকটে গমন করিবেন, এবং তাঙ্গাকে আপনার পরম গুরু জানিয়া তাহার শরণাপন্ন হইবেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বলেন যে, ব্রহ্মজ্ঞান রূপ স্বগীয় অগ্নি সকলেরই হৃদয়ে বর্তমান । সম্ভবে না ; আছে । কিন্তু সকলেরই হৃদয়ে তাহা যে সমান মাত্রায় বর্তমান আছে তাই! নহে – ভিন্ন ভিন্ন আধারে তাহ ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় বর্তমান আছে ; যে ব্যক্তিতে যে মাত্রায় বর্তমান আছে, সে ব্যক্তির তাহাই প্রথম পক্ষে অবলম্বনীয় । এমন কত শুনা শিক্ষার্থী শিষ্য কত বৎসর ধরিয়া এক মনে গুরুর সেবা শুশ্রীষায় জীবন অৰ্দ্ধাবসান করিলে তবে গুরু তাছার প্রতি প্রসন্ন হইয়া র্তাহাকে বিদ্যা দান করিয়াছেন ;– আমাদের দেশের এই যে, পূৰ্ব্বতন প্রথা, – অগ্ৰে আত্মংযম-শিক্ষা-পরে জ্ঞান-শিক্ষা-—ইহায় অর্থ অতি গভীর। বুদ্ধি-বৃত্তি আয়ার একটি অঙ্গ-বিশেষ—মনে কর তাহা আত্মার চক্ষু । শুদ্ধ, কেবল বুদ্ধির চালনা করিলে আত্মার দৃষ্টি তীক্ষু হইতে পারে—এই পর্যন্ত, কিন্তু আত্মসংযম সমুদায় আত্মার ব্যয়াম স্বরূপ ; উপদেশ । গিয়াছে যে, জ্ঞান- | 'సి' আত্মার পক্ষে মহোপকারী ; কিন্তু যদি শরীরের কেবল একাঙ্গেরই বল সাধন করা যায় তবে অবশিষ্ট অঙ্গ-সমূহের বল অপহরণ করিয়া সেই একটি অঙ্গেরই পুষ্টি-সাধনে তাহাকে নিযুক্ত করা হয়---ইছাতে শরীরের প্রভূত অনিষ্ট সাধন করা হয় ; সেইরূপ যদি কেবল-মাত্র বুদ্ধি-বৃত্তিকেই অতিরিক্ত-মাত্রায় পরিপুঞ্জ করা যায়, তবে আত্মার অন্যান্য বৃত্তি ক্রমশ ক্ষীণ-বল হইয়া পড়ে ; এই কারণ-বশত আমাদের দেশে আত্ম-সংযমের দৃঢ় ভিত্তি-ভূমির উপরেই বিদ্যাশিক্ষার মূলপত্তন শ্রেয় বলিয়। পরিগণিত হুইত । প্রথমতঃ আত্মসংযম যাহার অভ্যস্ত হুই য়াছে র্তাহার অন্তঃকরণ-ক্ষেত্রে জ্ঞানবীজ যেমন সুচারুরূপে অঙ্কুরিত এবং ফলিত হইতে পারে, অসংযত চিত্তে কখনই সেরূপ সংযত চিত্তে জ্ঞান-বৃক্ষ রোপিত হইলে, তাহাতে কণ্টকের ভাগই অধিক পরিমাণে ফলিত হয়, ফল পূপের তেমন শ্ৰী সৌন্দৰ্য খুলিতে পায় না। অসংযতচিত্ত ব্যক্তিকে ব্রহ্ম-বিদ্যা প্রদান করিলে, তাহা ছুইতে ক্রমশই কুতক, সংশয়, প্রভৃতি তীক্ষু কণ্টক-সকল বিকীর্ণ হইতে থাকে, প্রেম, ভক্তি, শান্তি, প্রসন্নতা, আত্ম-জ্যোতি, ব্ৰহ্মানন্দ, এ সকল ফল-ফুলের কোন চিত্বই তাহাতে পরিস্ফ ট হয় না। কিন্তু কে রিদার উপযুক্ত পাত্র, কে ই বা অনুপযুক্ত পাত্র, ইহা স্থির করিয়া-উঠা মনুষ্য-গুরুর পক্ষে অতীব দুষ্কর। কাহার অন্তঃকরণ কিরূপ এবং কিমান বিদ্যালাভের উপযুক্ত তাহ জানিতে পর। সহজ ব্যাপার নহে স্বয়ং ঈশ্বরই তাহ। জানেন । ঈশ্বর স্বয়ং গুরু হইয়। যুঁহাকে গে পান জ্ঞান প্রদান করেন—উ{হাকে তাহার উপযুক্ত পাত্র জানিয়াই প্রদান শরীরের সর্বাঙ্গীণ ব্যায়াম যেমন শরীরের ; করেন ; স্বতরাং স্বয়ং ঈশ্বরের নিকট হইতে পক্ষে মহোপকারী, সেইরূপ আত্ম-সংযম যিনি যে টুকু ব্ৰহ্ম-জ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছেন