পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d}{R})^4)

  • ीछ eाकाब्र भाख भशडूठ षांcछ । ऐशब्रा পূৰ্ব্বোক্ত পঞ্চতন্মাত্রতত্ত্বের বিকার বা পুত্র। এতন্মধ্যে পৃথিবী নামক মহাভূত স্থিতিভারধারিণী, আশ্রয় বা আধার স্বরূপ হইয়া অবশিষ্ট্র ভূভচতুষ্টয়ের উপকার করিতেছে। বায়ু বহমান, প্রেরক, পরিচালক ও পরিম্পন্দক ধাকিয়া অমান্য ভূতের উপকার বা কাৰ্য্যসাহায্য করিতেছে । আকাশ অবকাশ দান দ্বারা প্রত্যেক ভূতের উপকার সাধন করিতেছে । ጙ

পৃথিবীভূতের প্রধান গুণ শব্দ, স্পর্শ রূপ, রস, গন্ধ। জলভূতের প্রধান গুণ শব্দ, স্পর্শ, রূপ ও রস। তেজোভূতের শ্রেষ্ঠগুণ শব্দ, স্পর্ণ ও রূপ। বায়ুভুতের প্রধান গুণ শব্দ ও স্পর্ণ। আকাশ-ভূতের প্রধান গুণ শব্দ। পঞ্চ মহাভূতের ব্যাখ্যা এইরূপ, তাহাদের পৰ্য্যায় অর্থাৎ শাস্ত্রীয় নাম এই ;– ভূত, বিকার, অপ্রকৃতি, তমু, বিগ্ৰহ, শান্ত, ঘোর ও মুঢ়। ষোল প্রকার বিকার ও তম্ভাবতের ব্যাখ্যা সমাপ্ত হইল। ১৬ বিকার আর ৮ প্রকৃতি, এই ২৪ তত্ত্ব বলা হইল, এক্ষণে পুরুষ-নামক পঞ্চবিংশ তত্ত্বের বর্ণনা শুনুন । পুরুষঃ ৩ ॥ পুরুষ, ইহা একটা পৃথক এবং তত্ত্ব, ইহা পঞ্চবিংশ। চব্বিশ তত্ত্বের পরপারে অবস্থিত। ইহার লক্ষণ কিরূপ তাহা বলা যাইতেছে। পুরুষ অনাদি, মুসুক্ষম, সৰ্ব্বগত, চেতন, নিগুণ, নিত্য, দ্রষ্টা, ভোক্ত, অকৰ্ত্তা, ক্ষেত্রবিৎ, আমন ও অপ্রসব-স্বভাব । যেহেতু ইতি পুরাণ অর্থাৎ চিরনিত্য, দেহ-নামক পুরমধ্যে অথবা বুদ্ধি-নামক পুরমধ্যে শয়ন বা বাস করেন, উপলদ্ধিযোগ্য হন, প্রতিবিম্বরূপে প্রকাশমান হন, সেই হেক্ট ইনি পুরুষ । পুরুষের আদি নাই, অন্তও নাই, উৎপত্তি

    • की, ९ कोण

নাই, ধিমাশও নাই, সুতরাং তিঙ্গি অনাদি । প্তাহার কোন অবয়ব নাই, অঙ্গপ্রত্যক্ষৰিভাগ নাই, দর্শনৰোগ্য স্থলত নাই, সংধাতভাব নাই, তিনি সমুদায় ইন্দ্রিয়কে বা সমুদায় ইন্দ্রিরশক্তিকে অতিক্রম করিয়া বর্তমান আছেন। এই কারণে র্তাহাকে সূক্ষ্ম বলা যায়। সূক্ষ বলিলে লোকে ক্ষুদ্র বুঝে, অল্প বা পরিচ্ছিন্ন বলিয়া বুঝে ; পরপ্ত পুরুষপক্ষে তাছা না বুঝাই উচিত । পুরুষ সেভাবের সূক্ষম নহে। এজগতে ও অন্য জগতে যে কিছু মূৰ্ত্ত ও অমুর্ত বস্তু আছে, সমুদায়ের সহিত র্তাহার সংযোগ বা ব্যাপ্তি-সম্বন্ধ আছে। কুত্ৰাপি ইহার অভাব বা অপ্রাপ্তি নাই। র্তাহার গমন মাই, গমন করিবার স্থানও নাই, কেন না তিনি পরিপূর্ণ, কাবে কাষেই তাহাকে সর্বব্যাপী ও সৰ্ব্বগত বলা যায় ৷ উাহাকে চেতন বলি কেন ? ন। তিনি নিজে নিজে উপলব্ধি-স্বরূপ, প্রকাশক বা উদ্ভাসক। তিনি প্রকাশমান সুখ দুঃখাদির প্রকাশক মাত্র । তিনি আছেন বা সংযুক্ত আছেন বলিয়াই আন্তঃকরণিক মুখাদি প্রকাশ পায় । যে প্রকাশ করে, যে মুখ দুঃখ অনুভব করায়, উপলব্ধি রূপে প্রকাশিত করায়, সেই বস্তুকে আমমা চেতয়িত চেতন ও চৈতন্য বলি। ইহায়ই আবেশে জড়স্বভাব বুদ্ধি বা অন্তঃকরণ চেতনতুল্য ও মুখাদিউপলব্ধিযুক্ত হইয়া থাকে। ইহাকে নিগুৰ্ণ বলিবার কারণ এই যে, ইহাতে সত্ব, রজ ও তম, এই গুণত্রয় নাই, প্রকাশ যেমন অন্ধকারে থাকিতে পারে না, চৈতন্যে তেমনি জড় গুণ থাকিতে পারে না । আলোক ও অন্ধকার যেমন এক হইতে পারে না, চৈতন্য ও অচৈতন্য তেমনি এক হইতে পারে না । সত্ত্বাদি গুণ যখন জড়, অচেতন, তখন তাহা সৰ্ব্বচেতয়িত। চৈতন্যে থাকিবার সম্ভাবনা কি ?