পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাল ১৮eঙ্গ । সপ্তাৰনা নাই বলিয়াই আমরা পুরুষকে বা চৈতনাকে নিগুণ বলিয়া সিদ্ধান্ত করি। নিত্য বলিবার কারণ এই যে, ইনি কৃতক অর্থাৎ জন্য নহেন। ইনি জন্মেন নাই, কিছু জন্মেণও না । যে জন্মায়, যাহা হইতে কিছু উৎপন্ন হয়, সে অনিত্য । বীজ বৃক্ষ জন্মায়, তাই সে অনিত্য । তিনি অকৰ্ত্ত অর্থাৎ কাহারো কর্তী নহেন, তাহার কারণ এই যে, তিনি প্রাকৃতিক বিকার সমুহকে দেখেন মাত্র, সুখ দুঃখ মোহাদির উপলম্ভক বা প্রকাশক মাত্র, অথচ তাহাতে তিনি লিপ্ত কি বিকৃত কিছুই হন না। উদাসীন বা নির্লিপ্ত থাকেন । ( বস্তুতঃ স্থখ দুঃখাদিসমুদ্ভবকালে চৈতন্যের কিছু মাত্র ক্ষতি হইতে দেখা যায় না)। সুতরাং তিনি প্রাকৃতিক পরিণামের দ্রষ্ট, দর্শক বা সাক্ষী, কৰ্ত্ত নহেন। যেহেতু তিনি চেতন, সেই হেতু তিনি সুখ দুঃখ জানেন । জানেন বলিয়! তিনি ভোক্ত , সুখ দুঃখ তাহাতে ভোগ (প্রতিবিম্বত) হয় বটে ; কিন্তু মুখ দুঃখ তাহাতে উৎপন্ন হয় না ; সংযুক্তও হয় না । তিনি ক্ষেত্রবিৎ । কেন না তিনি ক্ষেত্রস্থ (অন্তঃকরণস্থ) হইয়। ক্ষেত্রেব দ্বারা সত্ত্বাদি গুণ জ্ঞাত হন । ইহর । শুভাশুভ কৰ্ম্ম নাই । ইনি মনঃকৃত শুভা শুভে লিপ্ত হন না বলিয়া অমল । ইনি কাহারও বীজ নহেন, উৎপাদক নহেন, ইহঁ৷ হইতে কিছুই প্রসূত হয় না ; তাই ইহাকে অপ্রসবধৰ্ম্ম নামে ব্যাখ্যা করে। সাংখ্যজ্ঞদিগের পুরুষ বা আত্মা যেরূপ তাহ ব্যাখ্যাত হইল। এবম্বিধ পুরুষতত্ত্বের নাম বা পৰ্য্যায় এইঃ– পুরুষ, আত্মা, পুমান, জন্তু, জীব, ক্ষেত্ৰজ্ঞ, নর, কবি, ব্রহ্ম, অক্ষর, প্রাণ, কু, অক্ত, বংশব্দ বাচ্য যে,কিৎশব্দ বোধ্য কে,বা কোন, তৎশব্দ বোধ্য সে, এতৎশব্দ লক্ষ্য এই । সাস্থ্যসম্মত এবং প্রকার পঞ্চবিংশতিসংখ্যক লঙ্গ সূত্রের অমুবাদ তত্ত্ব ; এতন্মধ্যে আট তত্ত্ব প্রকৃতি, ষোড়শ তত্ত্ব বিকৃতি, আর প্রকৃতিও নহে বিকৃতিও নহে, এরূপ একটা তত্ত্ব পুরুষ, সমুদায়ে পচিশটা মাত্র তত্ত্ব আছে । - Es সাখালিৎ পণ্ডিতের বলেন, পঞ্চবিংশতৃিতত্ত্বজ্ঞ নর সন্ন্যাসে গার্হস্থ্যে বা বানপ্রস্থে, যে কোন আশ্রমে থাকুন, সন্ন্যাসে থাকিয় মুণ্ডিতমস্তক হউন, বনে থাকিয়া জট। বল্কল ধারণ করুন, গাছস্থো থাকিয়া শিখ ও যজ্ঞোপবীত ধারণ করুণ, দেহ পাতের পর তিনি নিশ্চিত মুক্ত হইবেন । এক্ষণে জিজ্ঞাসা জন্মিতে পরে যে, পুরুষ কর্তা কি আকর্তা । শুভাশুভ কৰ্ম্ম কে করে ? পুরুষ কবে কি পুরুষাধিষ্ঠিত মনঃই করে। যদি তিনি কর্তা হন, যদি তাঙ্গার কর্তৃত্ব গুণ থাকে, তাছা হইলে বলিতে হইবে, শুভাশুভ কৰ্ম্ম তিনিই করেন r মনোমধ্যে এরূপ প্রশ্ন হইলে, তাহার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ের জন্য, নিম্নলিখিত বিচারের আশ্রয় লইতে হয়। কর্তু শক্তিট গুণবৃত্তি অর্থাৎ, গুণাশ্রিত। গুণই বিবিধ পিকার জন্মাষ্ট্র, সুতরাং গুণই ক প্লা, পুরুষ তাড়ার ভেক্ত কৰ্ম্ম নহেন । লোকের সন্তুষ্ট রাদেমিক ও তামসিক এই দিলিপ মনোসরি বা গুণবিকার, তাহার মূল অনুভব করিয়৷ দেখিলে গুণেরই কর্তৃত্ব নিশ্চয় হয়, চৈতনের নহে। গুণের সত্ত্বিকী বৃড়ি কি কি ত:ছ। শুন । ধৰ্ম্মউৎপাদনের জন্য, জ্ঞান লাভের জন্য, আল্লোৎকর্ম বা আপ্য। ইক শুভেীন্নতির উদ্দেশে, প্রতিদিনই সংযম ও নিয়মতৎপর থাকার প্রবৃত্তি, প্রসংখ্যান, জ্ঞান, ঐশ্বর্য্য, অনাত্মপদার্থে বিরাগ, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক সাত্বিকী বৃত্তি আছে । বা বিষয়াসক্তি, ক্রোধ, লোভ, পরনিন্দ, উগ্রতা, রৌদ্র ভাব, অসন্তোষ, বিকৃতাকৃতি (মুখধিচান প্রভৃতি) নৈষ্ঠা ও অন্যান্য , রাগ