পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** ¥w है जॉन कम्प्न्...ञ्जुलचन्छा কর্কশ ব্যবহার (মার পীট ও গালিগালাচ) প্র- | এইরূপ অভিমনন করেন। যেহেতু তিনি * ভৃতি অশান্তি প্রবৃত্তি মাত্রেই রাজসী বৃত্তি বা রজোগুণের উদ্রেক। উন্মত্ততা, মনঃক্ষোভ, ভ্ৰম, বিষাদ, নাস্তিকতা, স্ত্রী প্রসঙ্গিতা, নিদ্রা, আলস্য, কৰ্ম্মৰৈগুণ্য (ভালরূণে কাৰ্য্য করিতে না পারা) নিরণত এবং অশুচিত্ব (শৌচাচার বিরুদ্ধ) প্রভৃতি প্রবৃত্তি নিচয় তামসীবৃত্তি মধ্যে গণ্য। এই ত্ৰিবিধ বৃত্তি গুণ হইতে বা বৃদ্ধিতত্ত্ব হইতে উদ্ভূত হয়, ইহা দেখিয়া গুণই কর্তা, ইহা সুসিদ্ধ হয়। অন্য এক যুক্তি আছে, তদ্বারাও পুরুষের আকর্তৃত্ব সিদ্ধি হয় । প্রকৃতি যখন প্রবর্তমান হন, কার্য্যেমূখী হন, তখনই তিনি উল্লিখিত গুণের আশ্রয়ে বা সাহায্যে কাৰ্য্য করেন। রক্ত ও তমঃ এই দুই গুণের সাহায্য বা অঙ্গাঙ্গীভাব প্রাপ্ত হইয়| বিকৃত হন। বিপরীত জ্ঞান বা বুদ্ধিয়োহবশতঃ অর্থাৎ ঠিক্‌ বুঝিতে পারে না অথবা ও উল্ট বুঝে বলিয়া নিবোধ মনুষ্য আমি করি, এইরূপ বিবেচনা করে ; বস্তুতঃ সে কিছুই করে না, তাহার আশ্রিত প্রকৃতিই (বুদ্ধিই) সমূদায় করে। যে ব্যক্তি একটা যৎসামান্য তৃণক্ষেও (প্রকৃতির বিনা সাহায্যে) বাকাইতে পারে না, সে ব্যক্তি যে আমি অমুক করিলাম এবং আমিই এ সমুদায় করিয়াছি ও করিতেছি বলিয়া অভিমান করে,ইহা তাঁহাদের দোষ ও ভ্রম। মিথ্যা আরোপ বা মিথ্যা অভিমান বশতঃ তাহার উন্মত্তের ন্যায় বা পাগলের ন্যায় ঐক্লপ (আমি করিয়াছি ও করিতেছি এইরূপ) অভিমনন করিয়া থাকে । এ দম্বন্ধে শাস্ত্র আছে যে, প্রকৃতির গুণের (রজস্তমঃ সত্ত্বের) দ্বারাই সমস্ত কাৰ্য্য ক্রিয়মাণ হয়, নিৰ্ব্বাহ হয়, কিন্তু অহঙ্কার বিমূঢ় অর্থাৎ অহং অভিমানে সমাচ্ছন্ন আত্মা তাহাতে “আমি কর্তা” “আমিই করিতেছি” সু -- নাদি ও নিগুৰ্ণ ; সেই হেতু তিনি শরীরস্থ হষ্টলেও অর্থাৎ শরীর রূপ উপাধির দ্বার উপহিত (আশ্রিত প্রায়) হইলেও অব্যয় অক্ষয় অর্থাৎ বিক্রিয়াবর্জিত থাকেন ; মুতরাং তিনি কিছুই করেন না, লিপ্তও হন না। যে কোন কৰ্ম্ম বা কাৰ্য্য-সমস্তই প্রকৃতিকর্তৃক ক্রিয়মাণ হয়, যে নর ইহা বুঝিতে পারে, সেই নরই আপনাকে অকৰ্ত্তা বলিয়া জানিতে পারে, অন্যে পারে না । “পুরুষ শরীরস্থ” এই প্রসঙ্গীগত কথায় হয়-ত এরূপ প্রশ্ন উঠিবে যে, তিনি প্রতিক্ষেত্রে বা প্রতিশরীরে এক ? কি অনেক ? এক আত্মার বহুশরীর ? কি যত শরীর তত আত্মা ? এ সম্বন্ধে যাহা উপদেশ ও অনুভব আছে, তাহ বলিতেছি, শুন । সুখ, দুঃখ, মোহ, সংস্কার, জন্ম, মরণ, এই সকল জীবধৰ্ম্ম যখন নানা অর্থাৎ শরীরভেদে ভিন্ন, তখন অবশ্যই তদtশ্রয় পুরুষ বা আত্ম বছ; অর্থাৎ শরীরভেদে ভিন্ন । লোকের (ভোগ্যস্থানের) নানাত্ব, আশ্রমের নানাত্ব ও বর্ণের (ব্রাহ্মণাদি জাতির) নানাত্ব, এই সকল নানাত্বই পুরুষনানাত্বের অনুমাপক। পুরুষ এক, কিন্তু তাহার শরীর নানা, ইহা সত্য হইলে একের বন্ধনে অপরের বন্ধন, একের মুক্তিতে অন্যের মুক্তি,একের মুখ দুঃখে অন্যের সুখ দুঃখ, একের মরণে অন্যের মরণ, ইচা অবশ্যই হইত। তাহ যখন ছয় না, তখন বিবেচনা করিতে হইবে, নিশ্চয় করিতে হষ্টবে, যে, পুরুষ বা আত্মা এক নহে, বন্থ। শরীর বহু, শরীরের ধৰ্ম্মাদি বহু এবং তদধিষ্ঠাতা পুরুষও বহু। নিম্নলিখিত হেতুর দ্বারাও পুরুষবহুত্ব অনুমিত হয়। যথা— আকৃতি, গর্ভ, অশিয়, ভোগ, শরীর, ভগ ও লিঙ্ক-এ সমস্ত যখন বছ, তখন অবশ্যই তৰাজ্য পুরুষও বছ। মাখ্যায়ন, কপিল, আ