পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S ধরিয়া হিন্দুদিগের যে ধৰ্ম্ম তাছাই হিন্দু ধৰ্ম্ম, এরূপ নিরূপণ কর, তবু ও দেখা যাইবে হিন্দুধৰ্ম্ম ক্ষীণজীবী নহে। হিন্দুধৰ্ম্ম পৃথিবীর মধ্যে প্রাচীনতম ধৰ্ম্ম । বহু সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া শতবিধ আন্দোলন সম্ৰা করিয়৷ যদি ইহার প্রকৃতির, ইছার হিন্দু নামের, ইহার জীবনী শক্তির ব্যাঘাত হয় নাই, তবে আজি কেন যে এ ধৰ্ম্মের স্থায়িত্বের সংশয় করিতে হইবে, হিন্দুধৰ্ম্ম কত পরিমাণে গেল, কত পরিমাণে রছিল? কেন যে এরূপ বিচার হয়, কেন যে ইহার বিনাশের ভয় করিতে হইবে, তাহার কোন কারণ দেখা যায় না। হিন্দুধর্মের রক্ষার বিষয়ে কোন শঙ্কা নাই ; তবে ইহাতে যে সংস্কার প্রয়োজন, তাহ শতবার স্বীকার করা হইয়াছে এবং শতবার স্বীকার করিতে হইবে । শতবার এই ধৰ্ম্মাবলম্বীদের আচার ব্যবহার দৃষিত হইয়াছে ; শতবার তাহার সংশোধন জন্য ঘোরতর জান্দোলন হইয়াছে ; এক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অন্য অন্য সম্প্রদায় উত্থিত হইয়াছে ; এক শাস্ত্রের বিরুদ্ধে অন্য শাস্ত্র রচিত হইয়াছে। যুগে যুগে হিন্দুধর্মের অধীশ্বর ধৰ্ম্মের সৎস্থাপনের নিমিভ এবং তাধৰ্ম্ম বিনাশের নিমিত্ত ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে বিশেষরূপে স্বীয় প্রভাব বিস্তার করিয়৷ থাকেন। এক সময়ে যজ্ঞবিঘ্নকারী অমুরগণের দ্বারা উৎপীড়িত হইয়া ঋষিগণ কুলপতি বা রাজসন্নিধানে গিয়া জানাইতেন—ধৰ্ম্ম লোপ উপস্থিত ; আম্বরের যজ্ঞ করিতে দিতেছে ন । সে কাল গিমাছে । এখন অস্তুরের নাই ; ঋষিরাও আর যজ্ঞ করেন না ; তবু হিন্দু ধৰ্ম্মের লোপ হয় নাই । }} कझ.. কেবল স্বৰ্গফলপ্রাপ্তিসাধক ; স্বৰ্গফলে পুনজন্ম;তাহাতে ক্লেশের নিবৃত্তি নাই। অতএব ব্ৰহ্মজ্ঞান সাধনই কৰ্ত্তব্য। ইহাতে যাগযজ্ঞের প্রচার খৰ্ব্ব হইল। অবশেষে কতকগুলি গৃহ্য ও নৈমিত্তিক ক্রিয়াতে উহা বদ্ধ রহিল। জ্ঞানের উচ্চ শিখরে অধিরোহণ করিতে করিতে জ্ঞানীগণ পার্থিব সম্বন্ধ ও আত্মস্মৃতি ছাড়াইয়া উঠিলেন। জ্ঞান অপেক্ষা তর্কবুদ্ধিতে জ্ঞানের আলোচনা কাৰ্য্যই শ্রেয় বোধ হইল। জ্ঞানগিরির অতুচ্চ শৃঙ্গে উঠিয়া তাহারা সকলই শূন্য দেখিতে লাগিলেন । ঈশ্বরের অস্তিত্বই ভালরূপে নির্ণয় হয় না। এই জ্ঞানী অর্থাৎ দর্শনকারদিগের কৃত আন্দোলনে উপনিষৎকার এবং যাক্সিক ঋষিগণ সকলেই পৰ্য্যাকুল স্থইয়৷ উঠিলেন। অবশেষে বেদবিদ্বেষী বৌদ্ধগণ হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রাস করিতে আরম্ভ করিল। এ পর্যন্ত সরলান্তঃকরণের চেষ্টায় ও সূক্ষদর্শনসহকৃত গবেষণায় যে সকল ফল সমুৎপাদিত হইল, তাছার কিছুই ব্যর্থ হুইল ন। মনুঘোর উত্তমরূপে বুঝিয়া স্বস্ব শক্তি অনুসারে যাহা গ্রহণ করিবার তাহা গ্রহণ করিল, যাহা গ্রহণ করিবাের নয় তাহ! ভবিষাতের সাবধানতার জন্য ইতিহাসের পৃষ্ঠে অঙ্কিত রহিল । বৌদ্ধগণের চেষ্টায়'অহিংসা পরযোধৰ্ম্মঃ’ হিন্দুদিগের শিরায় শিরায় বিদ্ধ হইল । হিন্দুগণ তাহা গ্রহণ করিলেন। আর কিছু গ্রহণ করিলেন না * । বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম স্থানাস্তরিত হইল। কিন্তু যে গৃহ ঝড় খাইয়াছে, যাহার মধ্যে বন্যার জল ঢুকিয়া স্থানে স্থানে নষ্ট করিয়াছে, সে গৃহে বাস করিতে সকলের প্রবৃত্তি হয় না। এক পাশ্বে কতকগুলি জ্ঞান-খড়েগ যাগযজ্ঞের অধিক বিনাশ হইল। ! হিন্দু একত্রিত হইয়া তন্ত্রশাস্ত্রের রচনা ও প্রজ্ঞাবান উপনিষৎকার ঋষিগণ বলিতে তাহার প্রচার করিতে লাগিলেন। র্তাহারা লাগিলেন, যাগযজ্ঞ নিরর্থক, অথবা উহ ন লেখকের এই স্বলে আমরামত দিতে পারলাম না। সং কালান্তরে অসুরদিগের উৎপাত অপেক্ষ। }