পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہے--سے ۔ سہیا ہے۔ --م-سیاستہا۔۔۔یہ مم ऋश्५.ुष्टश् হিন্দুধর্থের সার । సింృ বৈদিক যাগ যজ্ঞের কিছু লইলেন না, কিন্তু উপনিষদের ব্রহ্মজ্ঞান বহুল পরিমাণে গ্রহণ করিলেন। তান্ত্রিকদিগের চেষ্ট হইল, আমরা স্বতন্ত্র কৰ্ম্মপদ্ধতি প্রচলিত করিব । তাহাতে ব্রাহ্মণের আধিপত্য থাকিবে না ; জাতিভেদ ক্রমে লোপ হইবে ; বহু আড়ম্বরবিশিষ্ট ক্রিয়াকলাপ চলিবে না। সহজে "ব্রহ্মজ্ঞান শিক্ষা করিবার সুযোগ হইবে। তন্ত্রকারদিগের এরূপ স্পৰ্দ্ধ অপর হিন্দুদিগের সহ্য হইল না। সনাতন বেদশাস্ত্র একবারে অগ্রাহ্য হইবে ; এত কালের হিন্দুসমাজকে আধুনিক নব্যদল নূতন বিধিতে অধিকার করিবে, ইহা তাহার শ্রেয়স্কর মনে করিলেন না । তন্ত্রকারের শিবরূপের বিষয় ব্যক্ত করিয়াছেন। অপরাপর হিন্দুগণ ঈশ্বরের বহুল রূপের আবির্ভাব প্রকাশ করিয়! এক এক শাস্ত্র রচনা করিতে লাগিলেন এবং তাহাদের নাম দিলেন— পুরাণ । এখনকার এক প্রকার পরিত্যক্ত বস্থকালের প্রাচীন বেদ লইয়! লোকে হয়ত চলিবে না, কিন্তু সৰ্ব্বপ্রকারে নূতন পথ আশ্রয় করাও হইবে না ; অতএব তাহার প্রাচীন কোন কোন কাহিনী অবলম্বন করিয়া স্বষ্ট্রি ও মন্থস্তরাদি হইতে কলিযুগ পর্য্যন্ত সমস্ত কালের বিবরণ-সম্বলিত শাস্ত্র লিখিতে আরম্ভ করিলেন এবং তাহার “পুরাণ” এই নাম দিলেন । ইহাতে বলা হইল, ইহা বেদের সমকালবৰ্ত্তী, বেদের অনুরূপ । ইহাতে বৈদিক আচার ব্যবহার অনেক রক্ষিত হুইল । অধিকন্তু বর্তমান কালোপযোগী কতকগুলি নূতন দেবতার আরাধনা ও কতকগুলি ত্রতের স্বষ্টি হইল । পুরাণকারদিগের এই চেষ্ট্রায় তান্ত্রিকগণের প্রভাব খৰ্ব্ব হইয়া গেল। তাহার। লোকবন্ধনের নিমিত্ত তান্ত্রিকী দীক্ষা শক্ত করিয়া তুলিলেন। ইহাতে গুরুর মাহাত্ম্য অতিশয় বৃদ্ধি হইল ; তান্ত্ৰিকী মন্ত্র অতি গোপনে রাখা হইল ; গুরুত্যাগের প্রতি অত্যন্ত ভয় জন্মান হইল ; জাতিনাশ করিয়া লোকদিগকে এক চক্রে অনিবার অতিশয় লোভজনক ব্যবস্থা প্রচলিত হইল। কিন্তু তাহাতে তান্ত্রিকদিগের স্বীপরতা ও বিবিধ অধৰ্ম্ম পরিস্ফুট হওয়াতে পৌরাণিক মতের প্রতিই লোকের মন আকৃষ্ট হইল । এদিকে পুরাণকর্তার; বিশেষ বুদ্ধির কার্য্য করলেন । র্তাহার উদারতা সহকারে আপনাদের দেবতাশ্রেণীর মপো তন্ত্রের দেবতা শিব ও পাৰ্ব্বতীকে গ্রহণ করিলেন । ইহাতে পুরাণ ও তন্ত্রের সম্মিলন হইল । এই সম্মিলিত শস্ত্রে বেদের ব্রহ্ম, পুরাণের বিষ্ণু, এবং তন্ত্রের শিব একত্রিত হইলেন। উপনিষদের ব্রহ্মজ্ঞানও ইহাতে মধ্যে মধ্যে স্থান পাইল ; দর্শনের প্রস্তু তি পুরুষ, সগুণ নিগুৰ্ণ জড ও চৈতন্য, এম ও মায়—এসকলেরও পরিচয় পুরাণে রাখ হইল । সুতরাং পুরাণ সমগ্র হিন্দুমণ্ডলীর শ্রদ্ধাভাজন ও অবলম্বনীয় হুইয়। উঠিল এইরূপে হিন্দু ধৰ্ম্মের যে সকল পরিবর্তন হইয়ছে, তদপেক্ষ এক্ষণে নূতন এমন কি হইয়াছে যাহাতে হিন্দুধর্মের বিনাশের ভয় করিতে হইবে। এক্ষণে অনেক হিন্দু কোন শাস্ত্র মানে না, এই যদি ভয়ের বিষয় হয়, তাহা ছুইলে আমরা দেপাইপ, যে এখন লোকের শাস্ত্রকে যেমন স্থান করে, প্রাচীন লোকেরাও তাছাই করিতেন। নতুবা এত বিরুদ্ধ শাস্ত্রের রচনা ও তাহার প্রচার ছইত না। যিনি যে শাস্ত্র প্রণয়ন করেন, তিনি সেইটাকে একমাত্র অবলম্বনীয়, চতুৰ্ব্বগফলপ্রদ, সনাতন ও অনুত্তম শাস্ত্র বলিয়া বর্ণন করেন । কেহ কেহ বা অপর কোন শাস্ত্রেব বিশেষ নিন্দাবাদ করিয়া আপনার শাস্ত্রকে উচ্চ মঞ্চে স্থাপিত করেন। এইরূপে শাস্ত্র