পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৩

༥༨ ༤༦ བར། ৬ণ্ডুখে খঙ্গ পত্রিকা ** कछ, ३ छात्र { কারের শাস্ত্র রচনা করিলেন কিন্তু গৃহীতার নিয়ম তদপেক্ষা জটিল। বেদে যেরূপ প্রার্থনা মৰ্ম্ম বুঝিয়া যাহা গ্রহণ করিবার তাছাই গ্রহণ হুইত, পুরাণের প্রার্থনা তদপেক্ষ অসরল, করিল—হংসোযথা ক্ষীরমিবায়ুমিশ্রং। মৌখিক ও পরম্পর-বিরুদ্ধ। উপনিষদের আমরা হিন্দু শাস্ত্র সকলের রচনার যেরূপ ক্রম প্রদর্শন করিলাম তাহাতে বিদিত হইবে পুরাণ শাস্ত্র সকল সৰ্ব্বশেষে রচিত। পুরাণ কলিযুগের শাস্ত্র । পুরাণ সৰ্ব্ব শাস্ত্রের মৰ্ম্মবোধক । পুরাণে এমন কি বেদ বিহিত ও স্মৃতিবিহিত ব্যবস্থাও নিয়মিত । হইয়াছে। কিন্তু পুরাণ সকলে কি আছে ? বিশেষ ৫ণিধান করিয়| দেখিলে প্রতীতি হ ইবে যে হিন্দুসমাজে চিরদিনের ধৰ্ম্ম-পি- ; রোধের যে স্রোত চলিয়া আসিতেছিল, পুরাণ সকলে তাহাই একত্রীভূত হইয়াছে। অথচ পুরাণের চেষ্ট্র। যে তদনুবভীদিগের মধ্যে ধৰ্ম্ম-বিরোধ না থাকে। সকলের স্বর"অন্ত্রি উচ্চ-অতি প্ৰভুত্ব-ব্যঞ্জক। _ +o+ ی۔ ۔ --سم مہ۔----- گء• : পুরাণ পিচিত্ৰ কৰ্ম্ম কুঙ্গেল, কিন্তু তাম্বার মধ্যে কোন বিচার বা অর্থ সঙ্কলন করিতে দেন না । পুরাণ বালকের নায় ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিতে এবং স্তব স্তুতি করিতে বলেন, কিন্তু ধান, চিন্তা, তপস্য ও তদুপযোগী দীর্ঘকাল ব্রহ্মচর্ষা করিতে দেন না । পুরাণ ভিন্ন ভিন্ন পথ-প্রদর্শক ; কিন্তু উগ্ৰবাবে বলেন, আছে, সেই পথেই থাক তাস্থাতেই মুক্তি পাষ্টরে । পুরাণ মিতা ধৰ্ম্মের নির্দেশ করিতে পারেন না ; কিন্তু ফলশ্রুতিতেই সকলকে আয়ত্ত করিতে চে& করেন । পুরাণের মৰ্য্যাদা এই যে সকল শাস্ত্রের সার ও মীমাংসা ইহাতে আছে; কিন্তু তাহা কিরূপ হইয়াছে, দেখ। বেদে যে সকল দেপতার নাম আছে, পুরাণে তাহার কতক আছে, কতক নাই, তদ্ভিন্ন ইহাতে আরো বহু দেবতার নাম হইয়াছে। বেদে যেরূপ অৰ্চনার নিয়ম, পুরাণে দেবার্চনার এজন পুরাণ । যে ব্রহ্মজ্ঞান, দর্শনকারদিগের যে বিচার, পুরাণে সে সকলের পরিচয় মাত্র আছে, কিন্তু নিম্প্রয়োজন। স্মৃতিকারদিগের মত পুরাণে অাছে, কিন্তু তাহাদের যে উদারত ছিল, পুরাণে তাঁহা নাই। এইরূপে পুরাণ সকলে প্রাচীন শাস্ত্রের আংশিক ধৰ্ম্ম সকল সংগৃহীত হইয়াছে। কিন্তু অদ্ভুত ইতিহাস, বিচিত্র ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গ, অসাধারণ ও অলৌকিক ধৰ্ম্মফল পুরাণের প্রাণ। এই সকলের প্রাচুর্য থাকাতে পুরাণ স্ত্রী শূদ্র দ্বিজবন্ধু-অৰ্থাৎ ইতর সাধারণ লোকের হৃদয়গ্রাহী হইয়াছে । অধিকন্তু পুরাণ গুলি আপনাদের গৌরব আপনারা এরূপ ব্যক্ত করি য়াছেন, আপনাদের মাহাত্ম্য এরূপে কীৰ্ত্তন যে ব্যক্তি যে পথে i | | | | করিয়াছেন যে, তাহাদের কথার উপরে কীহারে দ্বিরুক্তি করিবার যে নাই। পুরাণের বিষয়ে তর্ক চলে না, বিচার চলে না, চিন্তা চলে না। যে সকল পুরাণ পরস্পরবিরোধী তোমাকে তাহার সকলকেই মানিতে হইবে । পুরাণের মধ্যে প্রাচীন বৈদিক ঔপনিষদিক বা দার্শনিক যে সকল বিরুদ্ধ মত সঙ্কলিত হইয়াছে, তাহার সকলই তোমাকে মান্য করিতে হুইবে । পুরাণ-বাক্যে তুমি সংশয় করিতে পরিবে না ; তাহাতে যে সকল ইতিহাস ব্যক্ত আছে, তাহার বাস্তবিকতার প্রমাণ চাহিতে পরিবে না, শ্লোকের সংখ্যা যদি ঠিক না হয়, বুক যে অনেক লোপ হইয়াছে। এমন কি শাস্ত্র না পড়, তাহাতেও ক্ষতি নাই। পুস্তক লিখিয়া গৃহে রাখিলেও যথেষ্ট ফল হুইবে । পরস্তু সমগ্র হিন্দুশাস্ত্রের শিক্ষা সেরূপ নহে। . শাস্ত্র সকলের রিরোধিতা স্বীকার করা আছে এবং শাস্ত্রবিরোধস্থলে কিরূপে