পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭ના উহাকে শলাকা দ্বারা বিদ্ধ করিয়া দেখেন— কতদূর রক্তমাংস দূষিত হইয়াছে, তিনিও তেমনি আপনার আস্তর রোগের আপনি চিকিৎসক হইয়া—গভীর রূপে নিজ অন্তরে প্রবিষ্ট হইয় এমন কি অতি সামান্য ত্রুটি ও | পাপের অবধি পরিচয় লইয়া থাকেন। সত্য বটে ইহাতে আপাততঃ ক্লেশ বোধ হয়— যেমন অতীত বিষয় কীর্তনের সময় তাহাকে প্রত্যক্ষানুভূতের ন্যায় বোধ হয়, তেমনি স্বীয় কত পাপ সকলের আলোচনার সময় অবশ্যই তাহাদের বিকট মূর্তি মনোমধ্যে দেখিয়া প্রজ্বলিত হুতাশনে দগ্ধ হইতে হয়—কিন্তু সেই অনলেই—সেই অনুতাপানলেই আত্মা বিশুদ্ধ হয়। কে না দেখিয়াছেন যে মলিন স্বর্ণ দগ্ধ হইয়া কেমন উজ্জ্বলরূপ ধারণ করে। হা । সে কি মনোহর শোভা ! আত্মা যখন পাপ হইতে মুক্ত হইতে থাকে, তখন মেঘমুক্ত চন্দ্রমার শোভাও তাহার নিকট পরাজিত হয় । কি মুখী সেই মনুষ্য, সেই নিরভিমান মনুষ্য, যিনি সকল সময়ে আপনাকে এইরূপ সংশোধন করিতেছেন। তিনি নিমিষে নিমিযে মৃতন বল প্রাপ্ত হন। बूडन मृठन &मत्र ७ यांनन्झ उं*ट्ठांश করেন। তাহার শুভ্র আত্মাতে সেই চন্দ্রমার জোতি কেমন প্রতিফলিত হয় । পুণ্য কি নিমিভ যে প্রাণদ বলিয়া উক্ত ছইয়াছে – তাহীর অর্থ তিনি স্বীয় জীবনপুস্তকে পাঠ করিতে থাকেন। তিনি স্পষ্ট্র দেপিতে পান যে অন্তরতম পরমেশ্বর ও মনুষের মধ্যে পাপ ভিন্ন আর কোন ব্যবধানই হইতে পারে না। পাপই মনুষকে ঈশ্বর হইতে দূরে নিক্ষেপ করে । মনুষ্য যত পবিত্র হয় সে তত তাহার নিকটবর্তী হয়। দিন দিন তাহার নিকটবর্তী হওয়া যে কি সুখ--জনি না কি বাক্যে তাহা ব্যক্ত করিব। দুরস্থিত কুসুম-কাননের মনোহর মুগন্ধ-বা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা হৃদয়-প্রফুল্লকর সঙ্গীত লক্ষ্য করিয়া পথিক যতই তাহদের নিকটবর্তী হয় ততই তাহার মন আনন্দে নৃত্য করিতে থাকে, সেই প্রকার যিনি প্রতিদিন স্বীয় পাপরাশিকে নিজ সত্ত্ব ও ঈশ্বরের প্রসাদরূপ বারি দ্বারা প্রক্ষালিত করিয়া পবিত্র ঈশ্বরের অভিমুখে গমন করেন, তাহার আনন্দ দিন দিন বৃদ্ধি পাইতে থাকে। হায় । সে আনন্দের তুলনা কোথায়। কি অমুখী সেই আত্মা যিনি মোহনিদ্রায় হইয়া—অভিমানের দাস হইয়। আপনার ক্রটি দোষ ও পাপের পরিচয় লন না—যিনি আপনাকে সংশোধন করিতে চান না । যিনি আমোদ প্রমোদের আবরণে পাপের অগ্নিকে আবরণ করিতে যান, বিলাস রূপ ঘৃত দ্বার স্বকৃত পাপ-হুতাশনকে নিৰ্ব্বাণ করিতে প্রবৃত্ত—হ কি ভ্রান্তি ! হা ! তাহার অবস্থা কি শোচনীয়। যে সুশীতল জলে এ অনল নিৰ্ব্বাণ হঠব, তাহাকে সে বিষবৎ পরিত্যাগ করিল। . হে করুণাময় পরমেশ্বর ! তুমি অনুকুল হইয় তাহার মোহ-নিদ্রা ভঙ্গ করিয়৷ দেও, তোমার পবিত্র কার্য্যে তাহার মনকে নিয়োগ কর । হে অনাথশরণ পতিতপাবন ! তুমি আমাদের একমাত্র পরিত্রাতা। তোমার নিকট আমরা ব্যাকুল অস্তরে প্রার্থনা করিতেছি, তুমি আমাদের দুষ্প বৃত্তি সকল দমন কর । পাপকে সমূলে বিনষ্ট কর, আত্মপ্রসাদে মনকে প্রফুল্ল কর, হৃদয়কে তোমার দুর্লভ প্রীতি-রসে নিমগ্ন কর –তোমাকে যেন দিনে নিশীথে হৃদয়ে হৃদয়ে রাখিতে পারি—তুমি ভিন্ন আর আমাদের গতি নাই। হে অগতির গতি । তুমি আমাদিগকে ক্ষণমাত্রও পরিত্যাগ কর নাই-আমরাও যেন নিমেষের জন্য তোমাকে পরিত্যাগ নী করি । । -- g অভিভূত