পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- قیچی سه همه تعمیم حتی عیت اعتچیاچة

  • ¢रक्द्र প্রসাদ ভিন্ন সিদ্ধ হয় না। এই ! মহীয়ানকে ইহার আয়ত্ত করিতে পারব।

গাধনের বলে আত্মায় রজস্তমের অভিভব | শিশু যত বাড়িবে চন্দ্র তার তত দুরে। আ ও সত্ত্বের উদ্রেক হইবে। রজস্তমের সততই বহিমুখপ্রবৃত্তি। ইহাতে আত্মা অস্থির হয় । কিন্তু সত্ত্বের সততই অস্তমুখপ্রবৃত্তি। ইহাতে আত্মা স্থির হয় । এইরূপ সত্ত্বের উদ্রেকে আত্মার স্থিরতা সম্পাদন করিতে পারিলে তবেই ঈশ্বর তাহার গ্রাহ্য হইবেন। 弱 কিন্তু আত্মা স্থির হইলে মনে করিও না সেই পূর্ণস্বরূপকে সম্পূর্ণ রূপে গ্রহণ করিতে পারিবে । অজ্ঞান শিশু পূৰ্ণকল চন্দ্রমণ্ডল ধরিবার জন্য করপ্রসারণ করে। সে দেখিতেছে ঐ তো চন্দ্র, কেন ধরিতে পারিব না, কিন্তু চন্দ্রমণ্ডল তার বহু দূরে। সে ধরিতে পারিল না বটে কিন্তু হতাশ হয় না, সে স্বচক্ষে সুস্পষ্ট চন্দ্রকে দেখিতে পায়, চন্দ্রকিরণে উৎফুল্ল হয় এবং আবার ধরিবার চেষ্টা করে । আমাদের অবস্থাও ঠিক এইরূপ । আমরা আত্মার চক্ষে ঈশ্বরকে দেখিতে পাইতেছি, তাহার সৌন্দর্য্যচ্ছটায় মো হিত ও বিমল জ্যোৎস্নায় উৎফুল্ল হইতেছি । এবং তাহাকে ধরিবার জন্য শিশুর ন্যায় ক্ষুদ্র হস্ত পুনঃ পুনঃ প্রসারণ করিতেছি কিন্তু তাহাকে ধরিতে পারিতেছি না, তিনি ! আমাদের বহু দূরে । কিন্তু ইহাতেও আমরা হতাশ হুইতেছি না। আমরা দেখিতেছি তিনি আমাদের অন্তরের অন্তর, অমর কেন তাকে ধরিতে পারিব না, উৎসাহের সহিত আবার হাত বাড়াইতেছি কিন্তু তিনি দূরাৎ স্বদূরে। সম্ভবত আমাদের এইরূপ অবস্থাই স্থায়ী। আমরা শিশুর ন্যায় চির দিনই করপ্রসারণ করব কিন্তু র্তাহাকে ধরিতে পারিব না । আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানের অনস্ত কাল ধরিয়া এত প্রসার হুইবে না যে আমরা সম্পূর্ণরূপে সেই মহতো মর যত বাড়িব ঈশ্বরও আমাদের তত দুরে সেই পুর্ণকল চন্দ্র আমাদের নেত্ৰচকোর পরিতৃপ্ত করিয়া চির দিনই সম্মুখে উদিত থাকিবেন, কিন্তু তিনি সম্পূর্ণরূপে কখনই আমাদের আয়ত্ত হইবেন না । বুদ্ধি তাহার নিকট পরাস্ত কিন্তু হৃদয় পরাস্ত হয় না। সে র্তাহাকে পাইয়াছে। সে আপনার উপর সেই রাজগণরাজের স্বর্ণসিংহাসন প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে। বুদ্ধির অতৃপ্তি কিন্তু হৃদয়ের অতৃপ্তি নাই । মুরনদী মন্দাকিনী স্বৰ্গ মর্ত্য পাতাল ভেদ করিয়া অনন্ত স্রোতে অনন্ত পথে চলিয়াছে। ইহার আদি কোথায় অন্তই বা কোথায় কিছুই নির্ণয় হুইবার নয়। হৃদয় সেই স্রোতে ভাসিয়াছে এবং তাহার অমৃত বারি পান করিয়া শীতল হইতেছে, এই তাহার তৃপ্তি। বুদ্ধি । ! | | ! | | | নিবোধ বুদ্ধি । যাহা পৃথিবীর ক্ষুদ্রাৎ ক্ষুদ্রতর একটী বিন্দুকে অধিকার করিয়া আছে তুমি সেই সামান্য রেণুকে জানিতে পার না, কিন্তু যস্য ভূমিঃ প্রম’ পৃথিবীর র্যার পদ, ‘অন্তরীক্ষমুতোদরং আকাশ যার উদর, দিব্য যশ্চক্ৰে মুৰ্দ্ধানং দু্যলোক যার মস্তক, ‘সূর্য্যশ্চক্ষুশ্চন্দ্রমাশ্চক্ষুঃ চন্দ্র সুর্য্য যার চক্ষু, বেদ এইরূপ বিরাট রূপে যাহাকে দেখিয়া স্তম্ভিত হইয়াছে তুমি সেই সৰ্ব্বব্যাপী জ্ঞানময় অসীম সত্তাকে সম্পূর্ণরূপে জানিতে চাও ? কি ভ্ৰম ! কি সাহস । হৃদয়েই ঈশ্বরের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা, এই ক্ষুদ্র সেই অনন্ত ভার উপস্থিত। আমরা পৃথিবীর নিৰ্য্যাভনে বারংবার উৎপীড়িত, রোগে কাতর, শোকে আকুল, আমাদের চতুর্দিকে ঘন বিষাদের অন্ধকার ; সন্মুখে সমস্তই চুঞ্চল ও অস্থির পদার্থ, আমরা মুখের প্রত্যাশায় পদে পদেই প্রতারিত হই, আমাদের