পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫ్ఫిసి তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা । חידש א,שא לג কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না ; পুষ্প- মাত্মার মন্দিরের দ্বার অগণ্য ;-কিন্তু দুই কলিকা যেমন যথাক্রমে যথা-নিয়মে বিকসিত । যথাক্রমে যথানিয়মে আল্পে অল্পে বিকসিত হইয়। অদ্যকার এই কঠোর শৃঙ্খলের মধ্যেও আমাদের হৃদয়ে অমৃত বর্ষণ করিতেছে — তাহাতেই আমরা সজীব রচিয়াছি ; নাহিলে আমাদের কি দুৰ্গতি হইত তাহা একবার ভাবিয়া দেখ ; যদি আমাদের দেশ হইতে ত্রহ্মোপাসনা উঠিয়া যায়—মনে কর দেখি আমাদের দেশ কি ঘোর অন্ধকারের গৰ্ত্তে প্রবিঃ হয় । কিন্তু ঈশ্বরের করুণ নিশ্চয়ই আমাদিগকে সেরুপ দারুণ বিপদ-গ্রাসে পতিত হইতে দিবে না ; আমাদের দেশ এত দ্বার সর্বাপেক্ষা বিশাল, চক্র পুর্ঘ্য গ্রহ তারা হয়, সেইরূপ ঈশ্বরোপাসনা আমাদের দেশে আমাদিগকে অসীম মহাকাশ দেখাইয় দেয়—আত্মা আমাদিগকে অপরিবর্তনীয় মহাকাল দেখাইয়া দেয় ; এই দুই দ্বার দিয়৷ পূৰ্ব্বতন ঋষিরা পরব্রহ্মের মন্দিরে প্রবেশ করিয়া তাহার উপাসনা করিতেন ; চন্দ্র সুর্য্য গ্ৰহতারাময় আকাশের মধ্যদিয়৷ র্তাহারা মহাকাশে ঈশ্বরের অনন্ত ঐশ্বৰ্য্য অবলোকন করিয়া তাহাকে হৃদয়ের সহিত অর্চনা করিতেন এবং আত্মার মধ্য দিয়৷ তাহারা ঈশ্বরের ধ্রুব অপরিবর্তনীয় শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত ভাব—সচ্চিদানন্দ মূৰ্ত্তি—অবলোকন করিয়া তাহার সহিত সমস্ত কামনার ফল কঠিন প্রস্তর নছে যে, তাহাতে পড়িয়া । - স্তরে বাহিরে সর্বত্রই জ্ঞানময় প্রেমময় আমাদের পুরাতন পিতৃপুরুষদিগের রোপিত ব্রাহ্মধর্মের বীজ একেবারেই নিষ্ফল হইলে । আমাদের পূর্বতন আচাৰ্য্যদিগের নিকট হইতে আমরা পাইয়াছি যে, আত্মাতেই পরসত্বাকে অবলোকন করিবে ; ইহা কি সারগর্ভ বচন তাহ। একবার ভাবিয়া দেখ ! এক সূর্য অস্তমিত হইলে যেমন সমস্ত পুথিবী | অন্ধকারে নিমগ্ন হয়, সেইরূপ এক কেবল আত্মার আবিদ্যমানে আমাদের সম্বন্ধে সমস্ত জগৎ একেবারেই কিছুই না হইয়া যায় ; এ জন্য আমাদের নিকট আমাদের আত্ম। জগৎ-প্রকাশের প্রদীপ-স্বরূপ,-“হবে কি হবে দিব|-আলোকে জ্ঞান বিনা সব অন্ধকরি।” আমার আত্মা না থাকিলে যেমন আমার নিকট কিছুই প্রকাশ পাইত না— আমার আত্মা থাকতেই আমার সমক্ষে জগৎ দেদীপ্যমান হইতেছে, সেইরূপ পরমাত্মা থাকাতেই জগৎ তাহাকে অবলম্বন করিয়া বৰ্ত্তিয়া থাকিতেছে,-সমস্ত জগৎ পরমাত্মারই মঙ্গল-সুত্রে-প্রেম-সূত্রে—লম্বমান রহিয়াছে---সংগ্রথিত রহিয়াছে। পর উপভোগ করিতেন। এইরূপে র্যাহারা অ মঙ্গলময় পরমাত্মাকে অবলোকন করেন, তাছাদের আনন্দের আর সীমা পরিসীম। নাই--তাহারা মুক্তভাবে স্বাধীনভাবে— জগতে বিচরণ করেন ; অন্যের। কারাবদ্ধ টেরের ন্যায় কুষ্ঠিতচিত্তে সংসারে বাস করে । সমস্ত জগৎ-সংসার ব্রহ্মপরায়ণ ব্যক্তির নিজের অালয়, -সন্দিগ্ধচিত্ত—আস্থা শূন্য শ্রদ্ধাহীন ব্যক্তির তাহাতে কোন অধিকার নাই। নিম্পাপ শুদ্ধাচারী ব্ৰহ্মপরায়ণ ব্যক্তি পিতার ভবনে বিচরণ করেন— মাতার ভবনে বিচরণ করেন—প্রিয়তম মুহৃদের ভবনে বিচরণ করেন—তাছার কিছু তেই কুষ্ঠিত হইবার কথা নাই-ভীত হইবার কথা নাই—কিছুতেই সঙ্কোচ করিবার কথা নাই। যিনি ব্রহ্মপরায়ণ ব্রহ্মনিষ্ঠ, যিনি কাহারে অনিষ্ট করেন না, মঙ্গলই যাহার ব্রত,যাহার আত্মা অপবিত্র বিষয়-ব্যাধি হইতে মুক্ত হইয়াছে, যাহার আত্মা আত্মপ্রসাদে ধৌত এবং ব্রহ্মানন্দে উদ্দীপিত হইয়াছে, তাহার কিছুতেই ভয় নাই—