পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৪

धांझन »vee সঙ্কোচ নাই—গ্লানি নাই; এইরুপ মহাত্মাই জীবন্মুক্ত বলিয়া সকল শাস্ত্রে, গীত হইয়াছেন। এইরূপ জীবন্মুক্ত ব্যক্তি মনুষ্যত্বের শ্রেষ্ঠতম আদর্শ। হে পরমাত্মন! করে আমরা তোমার অজর অমর অভয় অমৃত নিকেতনের পথিক হইব । আমাদের দেশের দরিদ্র দুঃখ হাহাকার মারী দুর্ভিক্ষ রাজভয়-সমস্তই তামাদের সহ্য হয়, যদি তোমার অভয় বীণা আমাদের কর্ণপথে এই শুভ সমাচার জানয়ন করে যে, “তুমি যখন সৰ্ব্বোপরি বর্তমান আছ—তুমি যখন আমাদের হৃদয়ে বর্তমান আছ—তুমি যখন আমাদের পূর্বতন পিতৃপুরুষদিগের হৃদয়ে ব্রহ্ময়ি উদ্দীপন করিয়৷ এখনো সমস্ত ভারতভূমি আলোকিত করিয়া রাখিয়াছ--তখন আমাদের আর ভয় নাই— তখন আমাদের রোগে ভয় নাই—শোকে ভয় নাই--জরাতে ভয় নাই—ইহুলোকে ভয় নাই—পরলোকে ভয় নাই ! ” ছে পরমাত্মন! তোমার এই অভয় বাণী শুনিয়া তামাদের মন তোমার পথ আম্বেষণ করিতেছে—আমাদের হৃদয় তোমার দর্শনের জন্য চারিদিক নিরীক্ষণ করিতেছে,— তোমার পথ তুমি আমাদিগকে দেখাইয়। দেও,--যাহাতে তোমার আনন্দ আমাদের আনন্দ হয়—তোমার অভিপ্রায় আমাদের অভিপ্রায় হয়—তোমার প্রিয় আমাদের প্রিয় হয়—তোমার কার্য্য আমাদের কার্য্য হয়— তুমি আমাদিগকে সেই আশীৰ্ব্বাদ প্রদান কর—তাহাই আমাদের একমাত্র প্রার্থন । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । $ পঞ্চপঞ্চাশ সাম্বৎসরিক ব্রহ্মোৎসব। $s ट्रे মাম্ব প্রাতঃকাল । পূৰ্ব্বদিক উষারাগে রঞ্জিত,শীতল প্রাতঃ সাম্বৎসরিক ব্রহ্মোৎসব বস্তু পাইয়। তাঁতীতের সহিত বর্তমানেল ২১৩ স্বাদ প্রচার করিতেছে । আমির ও ৫,ীড়াতিক স্নানদি সমাপন করিয়া পরিবে: অভিমাত্র হর্স উল্লাসে সমাজগুহে উপস্থিত হইলাম। আজ ব্রহ্মোৎসব ! দেখিতে গৃহের চতুর্দিক লোকে পরিপূর্ণ হইয় গেল। বালক বালিকার উজ্জ্বল বেশে উপস্থিত ইয়া সভার অপূৰ্ব্ব শোভা বৃদ্ধি করিল। লোকাকীর্ণ বৃহৎ গুহ নীরব । ইত্যবসরে গায়কের কলকণ্ঠে দেহত্তজ্ঞান দিলা জ্ঞান’ এই গানট সমস্বরে গাইতে লাগিলেন । পরে তাঁচার্মের বেদি গ্রহণ করিলে শ্রদ্ধাস্পদ স্ত্রীযুক্ত হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন স্ববক্তদের সহিত পূৰ্ব্বাচার্য রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের একটী সারগর্ভ উপদেশ পাঠ করিলেন । “স্মৃষ্ট্রির অতীত প্রদেশে দাড়াতীয় না দেখিলে স্বষ্টি কিরূপে হইয়াছিল গুহ। ঠিক বুঝা যায় না। কিন্তু সেইটী অসম্ভব । ই আযর ভূগর্ভের গভীরতম প্রদেশে শিল্প স্তর অনুসন্ধান করি । ইহাতে আমাদের দুইট উদ্দেশ্য সফল হয়। প্রথম, প্রাচীন (リ একটী যোগবন্ধন কলি ! , কি:hপ উ. পাদান স্তরের উপর স্তর প্রস্থ কুরিয়৷ এই প্রকাগু ভূখণ্ডে পরিণত হইয়াছে ইহা উপলব্ধি করিয়া চরিতার্থ হই । এই আদি ত্ৰান্সমিধাজে স্থষ্টিতত্বের কথাও আমাদের পক্ষে এইরূপ । আমরা সকলেই ইস্থার নিকট তরুণ । ইহার অতীত প্রদেশে দাড়াইয়া না দেখিলে বুঝিতে পারি না যে কিরূপে ইহার স্মৃষ্টি হইয়াছিল। কিন্তু এখন সেইটী আমাদের পক্ষে অসম্ভব। তাই আজ ইয়ার গভীরতম প্রদেশে গিয় স্তর অমুসন্ধান করিতেছি । ইহাতে আমাদের লাভ এই যে, ইহা দ্বারা অতীতের সহিত বৰ্ত্তমানের সমীর মৃদুমন্দভাবে বহিতেছে, পক্ষি সকল একটা যোগবন্ধন করিতে পারিব এবং কিরূপ কলরব করিয়া সৰ্ব্বত্র অরুণোদয়ের শুভ স উপাদান স্তরের উপর, স্তর প্রস্তুত করিয়া