পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৪ এই প্রকাও ব্যাপারে পরিণত হইয়াছে তাছাও জানিতে পারিব । আমি আজ যাহা সৰ্ব্বসমক্ষে পাঠ করিতে উঠিয়ছি তাছা এই বৃদ্ধ আদি ব্রাহ্মসমাজের শৈশবাবস্থায় যতগুলি উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছিল তাহার অন্যতর। রজনীর অন্ধকার ভেদ করিয়া প্রাতঃসূৰ্য্য কিরূপে রক্তিম আভায় অল্পে অল্পে চতুর্দিক রঞ্জিত করিতেছিল ইহাতে তাহারই নিদর্শন আছে। আদি-দ্রাহ্মসমাজ-স্বষ্টির গভীরতম প্রদেশে প্রবেশ করিলে এই যে একটী স্তর পাওয়া স্বায় ইহা পরীক্ষ কর দেখিতে পাইবে যে, বেদবেদাস্তাদি শাস্ত্রে যে ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রতিপাদিত হইয়াছে তাঁহাই এই সমাজের উপাদান। যে জ্ঞান রাজর্ষি জনককে গৃহী এবং শুক সোনকাদিকে উদাসী করিয়াছে, সৰ্ব্বত্র সাম্য যাহার বাজ মন্ত্র, অহিংসা ধৈর্য্য ক্ষম। ইত্যাদি যাহার লক্ষণ, সেই বেদোক্ত ধৰ্ম্মই আমাদের ঈশ্বর ঋষি সেবিত বৈদিক ঈশ্বব, আমাদের স্তুতি ঋষি শহর উপাদাম । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | ইছার আলোচনা করিতেন ।

    • कछ, २ खाँ*

কিন্তু ‘কালেtহায়ং নিরবধিঃ কাল অনন্ত, এক শস্য পাকিয়া পড়িতেছে,আর এক শস্য তেজ ও লাবণ্যে ভূমি ভেদ করিয়া উঠিতেছে। কালের ক্রীড়া এইরূপই । আদি সমাজের এই যে পদাঙ্ক, আশা করি, ভবিষ্যৎবংশীয়ের সযত্নে ইহার অনুসরণ করিবেন। ইহাতে নিজের মঙ্গল, বঙ্গদেশের মঙ্গল, এবং সমস্ত ভারতের মঙ্গল । আমি অদ্য মাহ পাঠ করিব তাহ ১৭৫০ শকে বিবৃত আচার্ষ্য রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের উপদেশ । তখন এই মাঘোৎসবের স্বষ্টি হয় নাই, এই বৃহৎ তৃতল গুহও প্রস্তুত হয় নাই, তখন ব্রহ্মজ্ঞানপ্রচারের বীজ নষ্ট করিবার জন্য চতুর্দিক হইতে ক্ষারবৃষ্টি হইতেছিল । তখন ভয়ানক সামাজিক উপদ্রব । এমন অনেক ধৰ্ম্মপিপাসু লোক ছিলেন র্তাহার সভয়ে গোপনে আসিয়া এই সারগৰ্ভ উপদেশ শুনিতেন এবং সভয়ে গোপনে এখন জার সে সামাজিক উপদ্রব নাই, এখন আর সে গ্রণীত বৈদিক স্তুতি,আমাদের ধান বেদোক্ত ভয় নাই, আমি সেই উপদেশ এই দীপ্ত গায়ন্ত্রী মস্ত্রে এবং আমাদের উপদেশ বেদ দিবালোকে পাঠ করিতেছি, তোমরাও শ্রদ্ধার ETF এখন বুঝিলাম এই আদি ব্রাহ্মসমাজের উপাদান ক্কি । এখন স্থষ্ট্রিপরীক্ষার ফল মৃতীতের সহিত বর্তমানের যোগবন্ধনের কথা কিঞ্চিৎ বলি । আমরা দেখিতেছি ঋ ঘির রক্তে আমাদের শরীর, ঋষির উৎসৃষ্ট । জ্ঞানে আমাদের জ্ঞান, এবং ঋষির গৌরবেই আমাদের গৌরব । যদিও বর্তমান সামাজিক বিপ্লব বল পূর্বক একে একে আমাদের সমস্ত প্রাণের ধন কাড়িয়া লইতেছে কিন্তু সহিত শ্রবণ কর । ” প্রশান্ডচিত্তায় শমাস্থিতার মুণ্ডকশ্রুতি দপাদিদেtষরহিত এবং ইন্দ্রিয়দমনে যত্নবান্‌ ব্যক্তি আত্মোপাসনার যোগ্য হন । যথোক্রান্যপি কৰ্ম্মাণি পরিস্থায় দ্বিজোত্তমঃ। আত্মজ্ঞানে শমে চ স্যাম্বেদাভ্যাসে চ যত্নৰান। মন্থ পূৰ্ব্বোক্ত বর্ণাশ্রমবিহিত কৰ্ম্ম সকল পরি ত্যাগ করিয়াও ব্রাহ্মণ পরমাত্মার চিস্তনে ও ইন্দ্রিয়শাসনে এবং প্রণব উপনিষদাদি বেরা আদি ব্রাহ্মসমাজের এই সমীচীন প্রাচীন দৃষ্টি ভ্যাসে যত্ন করবেন। কড়িয়া লইঃ ত পরে নাই । ইয়ার শৈশবে যে ভাব বিকশিত হইয়ছিল এখনও তাহার পূৰ্ব্ব • • ব্যাখ্যানে যৎ তৎ শব্দের দ্বারা উপলক্ষিত হইয়াছেন যে পরমেশ্বর ৪৭ প্রভাব । এই টুকুই ইস্থার প্রতিষ্ঠ তাহার সাক্ষাৎ উপাসনার শ্রেষ্ঠত্ব হয় ইহা