পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$bు স্বাধ্যায় সমাপ্তির পর এই সংগীত হইল রাগিণী দেশী টাড়ি—তাল চিম তেতাল । তবে কি ফিরিব মান মুখে সখা, জর জর প্রাণ কি জুড়াবে না । আঁধার সংসারে আবার ফিরে যাব ? হৃদয়ের আশা পূরবে না ? রাগিণী ভৈরবী—তাল বাপ ভাল । | অসীম কাল সাগরে ভুবন ভেসে চলেছে, অমৃত ভবন কোথা আছে ভাস্থ কে জানে। হের, আপন হৃদয় মাঝে ভুবিয়ে, | এ কি শোভা ! অমৃতময় দেবতা সতত বিরাজে, এই মন্দিরে মুধা-নিকেতন। অনন্তুর ভক্তিভাজন আচাৰ্য্য শ্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্র নাথ ঠাকুর এই উপদেশ পাঠ করিলেন। অদ্য এই পুণ মাঘের এক দশ দিবসের } শুভ্ৰ প্ৰাতঃকালে পরম করুণাময় (রমেশ্বর -- আমাদের চিরন্তন পিতা মতা সুহৃৎ— আমাদের সকলের প্রতি তাহার প্রেমের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করিয়। দিবার জন্য আমা | ! দিগকে এখানে একর করিয়াছেন । পক্ষী যেমন শাবকদিগের উপর পক্ষ বিস্তার করে | সেইরূপ তিনি আমাদের উপর তাহার মঙ্গল চছায়। বিস্তার করিয়া এখানে বর্তমান রহিয়াছেন। অদ্য আইস আমরা এক মনে একপ্রাণে হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া তাহাকে হৃদয়ের সহিত আলিঙ্গন করি । আমাদের সকলের মন একমন হউক্—সকলের প্রাণ | দের পলাইবার উপায় নাই—তাহা হইলে এক-প্রাণ হউক্—সকলের হৃদয় এক-হৃদয় হউক্ এবং সেই একতান মন-প্রাণের প্রজলিত অনুরাগ-শিখা পরমাত্মাতে সমর্পণ করিগ। অতলস্পর্শ আনন্দ-সাগরে নিমগ্ন হই। উদ্যস্ত সূর্ধের সমক্ষে যেমন রজনীর ঘোর অন্ধকার তিষ্ঠিতে পারে না, সেইরূপ সেই &েমমপ্লের প্রেমমুখের জ্যোতিতে — করুণ| তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা YAS SSAAAASeeTS - eeeeSAMS AAAAA AAMMA TAAA AA AA AAAAMMA SASAASAAAS সিন্ধুর করুণা-সামীরণে, সংসারের যতপ্রকার পাপ-তাপ-কুজঝটিকা সমস্তই এখান হইতে তিরোহিত হইয়া যাউক। অদ্য পরমাত্মার প্রেম-নিশ্বাসের সহিত আমাদের হৃদয়ের অভাব-নিশ্বাস চির-বিচ্ছেদ-জনিত সন্তাপবাপ—মিলিত হইয়া তাহাকে যখন আমাদের হৃদয়-ধামে আনয়ন করিবে, ইহজীবনে আর-যেন আমরা তাহাকে বিদায় দিবার অবসর না পাই, সংসারের মোহ-মরীচিকাতে আর যেন আমরা প্রতারিত ন হই, তাহাকে ছাড়িয়া অার-যেন আমরা শোকে তাপে ভয়ে বিহবল হইয়া দীন-ভাবে ক্ৰন্দন না করি। তিনি যখন জগতে আছেন তখন জগৎ আমাদের মঙ্গল ভিন্ন অমঙ্গল করিতে পরিবে ম, আমাদের শত্ৰু-মিত্ৰ সকলেই আমাদের উপর মঙ্গল বর্ষণ করিবে; তিনি যখন আমাদের হৃদয়ে অাছেন তখন হৃদয়ের গল্পীর বেদন ও আনন্দের উচ্ছাস উভয়ই আমাদের মঙ্গল । ঈশ্বর আপন হস্তে আমাদিগকে যাহা দেন তাছাই অমৃত । যে ব্যক্তি তাছার করুণ জামে না সেই কেবল এ কথায় সংশয়স্বিত হয় । মাতার প্রদত্ত আয়ের প্রতি বালকের সংশয় কি ভয়ানক ! পতিপত্নীর পরস্পরের প্রীতির প্রতি পরম্পরের সংশয় কি ভয়ানক ! ঈশ্বরের প্রেমের প্রতি, মঙ্গল-ভাবের প্রতি, সংশয় তাহা অপেক্ষ অল্প ভয়ানক নহে, অধিক ভয়ানক ! ঈশ্বর যদি আমাদের অমঙ্গল করেন, তবে আমা এই দণ্ডে আমাদের বিনাশই শ্রেয়—কিন্তু তাহা কি কখন সম্ভবে ? মঙ্গল তাহার নাম, মঙ্গল তাহার ধাম, মঙ্গল উহার কার্য্য, তিনি মঙ্গল-নিদান, অমঙ্গলের লেশ-মাত্রও র্তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না। আমরা যে, পরম করুণাময় পিতার স্নেহময় মাতার প্রেমময় বন্ধুর মঙ্গল-ভাবের প্রতি সংশ