পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০

ཅཐརྨ་སཾ་བྷ་ཝ་མ་ ་་་་ ঋষি-উপাখ্যান । כל ("א ঋষি-উপাখ্যান। উঠিল জাগিয়া চকিতে পবন . . . . . . # ঘুম ঘোরে জীত শিশুর মতন। পূৰ্ব্ব পশ্চিমের দুইটি কন্দরে ইঙ্গিতে অমনুিfক্রমের শরীরে যমুনা জাম্বুৰী ঘুমাইয়া করে। জীবন ফিরিয়া এ’লো ধীরে ধীরে । অকম্পিত বায়ু, স্তব্ধ চারিদিক, অচেতন পার্থী পাইল চেতন, নহেক কিছুই যেন নৈসর্গিক। নিদ্রা ত্যজি’ উঠি এ’লে জাগরণ । বন বনস্পতি তুলির লিখন, নাহিও জীবন নাহিও মরণ । আধার হইতে বিচুত হইয়। আছে বর্ণ শুধু আকাশে ঝাপিয়।। নাহি একটিও পিছঙ্গের রব মৃত্যুতে ভুবিয়া আছে যেন সব! পাষাণ করিয়| বাস্থ প্রসারণ প্রকৃতির গতি করছে বারণ। দিগন্ত ছাড়ায়ে গিয়; দিগন্তরে অম্বর ফুটয় রয়েছে অম্বরে। সে হিমাদ্রি দুড়ে নিবিড় দুর্গম কেবল একটি তাপস আশ্রম। এক শিষ্য তার দ্বার আগুলিয়া স্বমৰ্ত্তি সম আছে দাড়াইয়া । অশ্রমের মাঝে কৃত্তির আসনে মহর্ষি দেবল বসিয়া ধেয়ানে । তুষার ধবল কুন্তল যাথায় শ্বেত শ্মশ্র কোলে পড়িয়া লুঠায় । আছে প্রাণ-বায়ু বহে না নিশ্বাস মুখে ব্ৰহ্ম-তেজে আনন্দের ভাস । করি সমুন্নত বক্ষ গ্রীর শির আসনে অচল স্থাপিয়া শরীর সকল ইন্দ্রিয় নিগ্ৰহ করিয়া দেশ কাল দুর পশ্চাতে ফেলিয়া ..গিয়াছেন চলি সমাধি প্রবীণ ব্রহ্মের উদ্দেশে আজি কয় দিন। আজি কয় দিন অবসান প্রায়, অন্তরীক্ষে ভানু অস্ত যায় যায় এমন সময়ে, সমাধি ভাঙ্গিয়৷ অটল তাপস উঠিল জাগিয়া । অা:ি নাছি মেলিতে মেলিতে ঋষি কহিলেন ধীরে আসনেই বসি, “কোথা বৎস গেলি ওরে বি প্রসদ, আশ্রম ধর্মের দেখি ধে বিপদ ।” শুনে বিপ্রসদ বুঝিল হৃদয়ে উঠিলেন গুরু সমাধি করিয়ে । দীন সম তবে তাহার সদন আসিয়া বন্দিল যুগল চরণ। আদেশ ! "আদেশ !” দুইবার বলি দাড়া’লো সম্মুখে হয়ে কৃতাঞ্জলি। ঋষির ললাট ব্রহ্মতেজে ভর, আগুন স্বলিছে নয়নের তারা । মুহুর্ভে ছেরিয়া শিষ্যের আনন করিলেন তথি উদ্ধে উত্তোলন, কি যেন স্মরিয়া কি যেন বচন বলি’ করিলেন ওষ্ঠ বিকম্পন । গুণধার ঋষি কহিলেন ধীরে, প্রত্যাখ্যান করিয়াছ অতিথিরে ! এসেছিল দ্বারে অতিথি তোমার কর নাই কিছু তাহার সৎকার, দাড়াইয় দ্বারে ছিলে অন্যমন ভুলিয়া জগৎ ভুলিয়া আপন । শনৈঃ আসিয়া শনৈঃ চলিয়। গিয়াছে অতিথি স্বধৰ্ম্ম রক্ষিয় । বৎস! অগ্নিসম অতিথি দুর্জয় যাহার আশ্রমে প্রত্যাখ্যাত হয়, রহে না তাহার ইষ্টপূর্ত ফল, ভবিষ্যের আশা বিনষ্ট সকল । সত্য আচরণে যত পুণ্য হয় ফিরিলে অতিথি তাও হয় ক্ষয়।