পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२० প্রতি পলে পলে ডুবে রসাতলে কে তারে উদ্ধার করিবে। চারিদিকে চাই নাহি হেরি গতি, নাছি যে আশ্রয় অসহায় আতি, আজি এ ত"াধারে বিপদ পাথারে কাছার চরণ ধরিবে ! তুমি চাও পিতা যুগও এ দুখ, অভাগা মেশেরে হুয়োনা বিমুখ, নছিলে অণধারে বিপদ পাথরে কাহার চরণ ধরিবে । দেখ চেয়ে তব সছঅ সন্তান লাজে নতশির, ভয়ে কম্পমান, ক দিছে সহিছে শত অপমান লাজমান আর থাকে না ! হীনতা লয়েছে মাথায় তুলিয়া তোমারেও তাই গিয়েছে ভুলিয়া, দয়াময় বলে আকুল হৃদয়ে তোমারেও তারা ডাকে না । তুমি চাও পিতা তুমি ঢাও চাও, এ হীনতা, পাপ, এ দুঃখ যুচাও, ললাটের কলঙ্ক মুছাও মুছাও মছিলে এ দেশ থাকে না । তুমি যবে ছিল এ পুণ্য ভবনে, কি সৌরভ মুহা বছিত পবনে, কি আনন্দ গান উঠিত গগনে, কি প্রতিভা-জ্যোতি জ্বলিত ! ভারত অরণ্যে ঋষিদের গান অনন্ত সদনে করিও প্রয়াণ তোমারে চাছিয়া পুণ্যপথ দিয়া সকলে মিলিয়া চলিত ! আজ কি হয়েছে চাও পিতা চাও, এ তাপ, এ পাপ, এ দুখ যুচাও, মোরা ত রয়েছি তোমারি সত্তান যদিও হয়েছি পণ্ডিত্ত । זיtשא לא נ3 এবার অপরান্ধুে শ্ৰীমৎ প্রধান আচাৰ্য্য মহাশয়ের ভবনের বহিঃপ্রাঙ্গণে ব্রহ্মোৎসব হইয়াছিল। এই সময় কীৰ্ত্তন ও ধৰ্ম্মালোচনা হয়। তৎকালে এক জন স্থপণ্ডিত পরম ংস ঈশ্বরপ্রসঙ্গে দার্শনিক গভীর তত্ত্ব সকল অতি সরল ভাবে লোকের হৃদয়ে মুদ্রিত করিয়া দেন। উপদেশ অতি সারগর্ভ ও হৃদয়-গ্রাহী হইয়াছিল। ইহার পর কীৰ্ত্তন হয়। আমরা কী ত্তনের বিলক্ষণ পক্ষপাতী কিন্তু বর্তমানে কীৰ্ত্তন স্বরুচিসঙ্গত হয় না বলিয়া এত দিন তাহাতে ঔদাসীন্য প্রদর্শন করিয়া আসিয়াছি, কিন্তু ধৰ্ম্মপ্রচারের এই প্রাচীন প্রথা রক্ষা করা এবং তাহা সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর করা আবশ্যক। বলিতে কি, আমরা তদ্বিষয়ে সম্যক্ৰ কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি। এক জন স্বপ্রসিদ্ধ প্রধান কবি পদ রচনা করিয়াছেন এবং এক জন উৎকৃষ্ট গায়ক তাহা গান করিয়াছিল। ফলত শ্রোতৃগণের মধ্যে কেহই এই হৃদয়হারী সুমধুর কীৰ্ত্তন শুনিয়া অশ্র সম্বরণ করিতে পারেন নাই। ইহার পর ব্রহ্মোপাসনা হয় । শ্রদ্ধাস্পদ ঐযুক্ত শম্ভনাথ গড়গড়ি অনুরাগ ও উৎসাহের সহিত যে উপদেশ দিয়৷ ছিলেন তাহার সারাংশ উদ্ধৃত করা গেল। “অন্ধকার জগতের যিনি আলোক, যিনি হৃদয়ের প্রিয়ধন—সস্তাপছরণ, তিনিই আমাদের উৎসবের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা। তাছাকে লইয়াই আমাদের উৎসব। এই মৃত্যুর প্রতিকৃতি অধস্থ মর্ত্যলোকে এমন কি পদার্থ আছে যাহাকে লইয়া আমরা প্রকৃত উৎসব করিতে পারি ? এখানে যাহাকে লইয়৷ অদ্য মহামহোৎসব—কল্য তাহাকে লইয়াই অশ্রুপাত ও হাহাকার। এখানকার সম্পদ, বিপদে, ও মুখ, দুঃখে পরিণত হয়। “সম্পদ তড়িত-সমান, উষ্মীলি নিমীলয়ে” । এখান কার কমল মুদিত হইবার জন্যই প্রস্ফুটিত