পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२२ তিনি নিজেই সেতু স্বরূপ হইয়া রহিয়াছেন । সে সেতুর ও পারে দিন রাত্রি যাইতে পারে ন। । কালের নিশ্বাসে তথায় প্রেমের কুক্ষম শুষ্ক হয় না । সেখানে জর মৃত্যু শোকও উত্তীর্ণ হইয়। যাইতে পারে না । “সসেতুৰ্পিবৃত্তিরেষাং লোকানামসম্ভেদায় । নৈনং সেতুমঙ্গোঃ।ত্রে ভরত: ন জরা ন মৃত্যু নশোক । ও একমেবাদ্বিতীয়ং পরে আবার কীর্তন হইতে লাগিল । রারি উপস্থিত। স্ত্রীমৎ প্রধান আচার্য্য মহাশয়ের গৃহ দীপালোকে উজ্জ্বল হইয়া উঠিল । বৃহৎ প্রাঙ্গুণের চতুঃসীমায় প্রত্যেক স্তম্ভে পর লুপের নানা রূপ রচনা এবং প্রাঙ্গণের উপান্ত ভাগে নান! প্রকার বৃক্ষ অপূৰ্ব্ব শোভা বৃদ্ধি করিয়াছিল। উচ্চ স্থানে আচার্য্যদিগের রক্তপট্টমণ্ডিত মাল্যশোভিত বেদি, এবং তাহার সম্মুখের সোপানে দুইট বৃহৎ ধাতুময় স্তম্ভর শাখায় শাখায় আ ሓos تین Ꮉ ~ পত্র ও পুষ্পের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৃক্ষ কৃত্রিম উদ্যানের শোভা বিস্তার করিয়াছিল। প্রাঙ্গণের অপর প্রান্তে পত্রপুষ্পখচিত স্বৰ্দশ্য সঙ্গীতবেদি। দেখিতে দেখিতে এই সভামণ্ডপ লোকরণ হইয়া উঠিল। সকলেই ব্রহ্মোৎসব উপভোগের জন্য একান্ত সমুৎস্থক । ইত্যবসরে গায়কের এই সঙ্গীত আরম্ভ করিলেন । ब्रां★भैौ हेगन कगा|१-उाश ८$ौडॉल । ডাকি তোমারে কাতরে, দয়া কর দীনে, রাখছে রাখছে অভয় চরণে । ধন জন তুচ্ছ সকলি সকলি মোছমায়, বৃথা বুথ, জানিছে, প্রাণ চাহে যে তোমা পানে । অনস্তর ভক্তিভাজন খ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উপদেশটা পাঠ করিবেন। জগৎ যদিও এক-কিন্তু দুই রূপ দৃষ্টিতে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | | זרוש א שא צג তাহার দুইরূপ মূৰ্ত্তি নয়নগোচর হয় । বাস্থ্যদৃষ্টিতে দেখিলে জগৎ একটা প্রকাও ধন্ত্র বলিয়া মনে হয়, ও মনে হয় যে, আমরা সকলেই—সকল জীব-সকল বস্তু—সেই এক মহাষন্ত্রের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, সকলই এক মহৎ সেই যন্ত্র-বলের তুমুল তাড়নায় বিভ্রান্ত হইয়া চলিতেছে। সে যন্ত্র এক মূহূৰ্ত্তও থামিয়া থাকে না,-অনাদি কাল হইতে তাহা চলিয়াছে এবং অনস্ত কাল পর্যন্ত তাহ চলিবে। বাহা দৃষ্টিতে দেখিলে মনে হয় যে, বাদ্য-যন্ত্র ছষ্টতে যেমন একে একে স্বর বিনির্গত হয় সেইরূপ জগৎযন্ত্র হইতে প্রাণ মন বিদ্যা বৃদ্ধি জ্ঞান ধৰ্ম্ম সমস্তই যথানিয়মে বিনির্গত হইতেছে। বাস্থ্য দৃষ্টিতে দেখিলে জগতের কোন লক্ষ্য দেখিতে পাওয়া যায় ন-মনে হয় যে, এই প্রকাও ব্রহ্মাণ্ড কেবল এক অন্ধ ভৌতিক তাকর্মণের উপর লম্বমান রহিয়াছে—যে আকর্ষণে পৰ্ব্বত হইতে হিমশিল দ্রুত হইতে দ্রুততর বেগে নিম্নে নিপতিত হয়, সে সেই আকর্ষণ—তাহা ছাড়া আর কিছুই নহে। অস্তদৃষ্টিবিীন দর্শক যতই চিন্তা করেন, ততই তাহার নেত্র-সমক্ষে বিশ্বসংসারের এক ঘোর ভয়ঙ্কর মুর্তি জাগরুক হইয় উঠে—সে মূৰ্ত্তি ভীষণ শ্মশানের মূৰ্ত্তি—কালের করাল মুর্তি ! সে মুর্ভির বিশাল বক্ষের উপর-পঞ্চভূতের উচ্ছ জ্বল নৃতা, শূন্যগৰ্ত্ত আমাদের গগনভেদী ছোহা ধ্বনি, দুঃখশোকের হৃদয়ভেদী হাঙ্কাকার, বলবানের দর্শ আস্ফালন তাড়না ভৎসন। ও উৎপীড়ন, বলহীনের শ্রান্ত ক্লান্ত অবসর চিত্ত ও সর্বসহিষ্ণতা-এই এক জাগ্রত দুঃস্বপ্ন নিরস্তর ক্রীড়া করিতেছে। এই জগৎকে আবার অস্তদৃষ্টিতে দেখিলে--জগতের অতি-এক সুন্দর পবিত্র আনন্দদায়িনী মুর্ভি আমাদের নয়নে অগ্নিভূত হয় ; তখন জগতের শতকঠিন সহস্ৰ