পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৩ নিকট পরকাল প্রতিভাত হয় না । ব্রহ্মজ্ঞ ব্রাহ্ম যেমন অপেন জীবনের তাবৎকার্ধোই--- ক্টাহার বহিঃক্ষেত্রে, তাহার ভোজনে শয়নে, তাহার গমনে উপবেশনে, তাহার স্ত্রী পুত্র প্রতিপালনে এক মাত্র ঈশ্বরেরই ইচ্ছা ও আদেশ দেখিতে পান এবং তাহার অধীনে থাকিয় তাহ পালন করেন, তাহারা তাহা কিছুই বুঝিতে পারে না। তাহারা একমাত্র ইন্দ্রিয় সেবাকেই মুখ-প্রাপ্তির হেতু জানিয়া মহামোহে মুগ্ধ হইয়া যায় । ইন্দ্রিয়ের গোচর যাহা, ইন্দ্রিয় তাহাই মনুষ্যকে আনিয় দিতে পারে । ইঞ্জিয়তীত বস্তুতে তাহার কি অপিপার ? ইলিয়গোচর এই যে বিষয়-সকল ইতস্তত নিরীক্ষণ করি, তাহা স্থল ও পরিমিত। ইন্দ্রিয়াতীত যাহা তাহা আমন্ত, সত্য ও মুখস্বরূপ । তাছাই ভূমা পরমেশ্বর। যে মনুষ্য সেই সুখস্বরূপকে চক্ষু দ্বার। দেখিতে চায়, হস্ত দ্বার গ্রহণ করিতে চায় এবং কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করিতে চায়, সে কি ! ভ্রান্ত । সে জলভ্ৰমে মৃগতৃঞ্চিকর বণ্টকময় । ক্ষেত্রে বিচরণ করিয়| আপনার বক্ষকে ক্ষত । বিক্ষত করে । অতএব তপস্য ও জ্ঞানাভ্যাসের দ্বার| সত্য-জ্ঞান-মঙ্গল স্বরূপ ব্রহ্মের জ্ঞান উপার্জন করিপেক । ব্রহ্মজ্ঞানে তনুরাগশন হইয়৷ ইহামুত্র কোন প্রকার বিষয়ানুরাগেই আত্মজীবন বিসর্জন করিবেক না । বেদে অাছে ‘লীহারেণ গ্রাবৃত জল্পা নীতে গৰ্ব্বিত হইয়া পুথিবীতে বিচরণ করেন । রসণতৃপ্তিকর অন্নপানে পুষ্ট হইয়া, নয়নমৃখকর বস্ত্রাভরণে স্থসজিত হইয় তাহাদের প্রবৃত্তির মে বিশ্রাম হয় তাহাই তাছাদের প্রাণের তৃপ্তি । শত বৎসর পর্য্যন্ত পরমায়ু সাম্প্র, পুত্র পশু প্রভৃতি গৃহশ্ৰী, ধন ধান্য স্বর্ণ প্রভৃতি মস্পত্তি, দাস দামী প্রভৃতি পরি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । ŞY कल, 象为饵 চারক এবং মহারাজ্যের মহদায়তন প্রাপ্তি র্তাহাদের কামনার পরিসমাপ্তি । তাহাদের দৃষ্টি ঐশ্বর্ঘ্যের প্রতি এবং এই ঐশ্বর্য্যের কামনা পূর্ণ করাই তাহাদের স্বর্গবাসের অভিসন্ধি । ব্ৰহ্মপ্রাপ্তি এবং ব্রহ্মানন্দ তাহাদের লক্ষ্য নহে । যিনি যজ্ঞাদিকৰ্ম্মবিহীন হইয়া, বিষয়ানুরাগশূন্য হইয়া এবং প্রতিমায় ব্রহ্মবুদ্ধি । না করিয়া স্বীয় আত্মাকে জানিতে পারেন তিনিই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিয়া আপনার মুক্তির পথ পরিষ্কার করিতে পারেন এবং মঙ্গলময় ব্রহ্মের প্রসাদে অনন্ত জীবন লাভ করিয়া স্থায়ী সুখে, স্থায়ী আনন্দে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া জন্মের সফলতা সম্পাদন করেন । হে পরমাত্মন। এই পুথিবীতে মমুয্যের মোহবশত সরল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যাইয়। তোমার অস্তিত্বে ও স্বরূপে নানা প্রকার সংশয় আনয়ন করিয়াছে । কেহ বা তোমার সত্য স্বরূপ একেবারে অস্বীকার করে । কেহ বা জড়ে ও প্রতিমাতে তোমার রূপ কল্পনা করিয়া সত্যের প্রতি মিথ্যার জল্পনা সমুখীন করে । তোমার সকৃৎজ্যোতি, সনাতন সত্যজ্ঞান, সূৰ্য্যরশ্মির ন্যায় সততই যে মনুষ্য-বুদ্ধিতে আগমন করিতেছে, ভ্ৰমান্ধ লোকের তাহ দেখিতে না পাইয়া দুঃ বিষাদে জর্জরিত হইতেছে। করুণাময় বিঢাস্তৃপ উৰ্ব্বথ শামশ্চরম্ভি"যাজ্ঞিকের অজ্ঞান- , গণ নীহারে প্ররিত হইয়া এবং মিথ্যা জ্বল্প- | ধাত ! তুমি আমাদের স্বজাতির এই দুর্দশ মোচন করিয়া দাও । তোমার সত্য-জ্ঞান সমস্ত মোহ-অন্ধকার বিনষ্ট করিয়া মনুষ্যহৃদয়ে প্রকাশিত হউক। তোমার শাস্তিতে সকল সংশয় ছিন্ন হইয়া পৃথিবী শীতল হউক। তোমার মঙ্গলে প্রত্যেক গৃহ পরিপূর্ণ হউক । তুমি মনুষের আত্মাতে জীবন্ত রূপে প্রকাশিত থাক, তোমার নিকটে আমাদিগের এই প্রার্থন ।