পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२” হৃদয়ের থালে লয়ে এস তাই প্রেম ফুল রাশি রাশি । নীরস হৃদয়ে আপনা লইয়ে রছিলে র্তাহারে ভুলে, অনাথ জনের মুখপালে অ৷ ৷ চাছিলে না মুখ তুলে । কঠোর আঘাতে ব্যথা পেলে ক্যঙ্গ খ্যখিলে পরের প্রাণ । তুচ্ছ কথা নিয়ে বিবাদে মাতিয়ে দিব হল অবসান । তার কাছে এসে তবুও কি আজি আপনারে ভুলিবে না। হৃদয় মাঝারে ডেকে নিতে তারে হৃদয় কি খুলিবে না। লইব বাটিয়া সকলে মিলিয়া প্রেমের অমৃত তালি, পিতার অসীম ধন রঙমের সকলেই অধিকারী। মহিলা সমাজ । এবার শ্রীমৎ প্রধান আচাধ্য মহাশয়ের অন্তঃপুরে মহিলারা ব্রহ্মোৎসব পরিয়াছি লেন । এই উৎসবে প্রায় শতাধিক সন্ত্রাস্ত । স্ত্রীলোক সমবেত হইয়াছিলেন। শ্ৰীমতী প্তাদের মিষ্ট খাসিয়াখা মুখে মধুর কথা শুনি, পাখীয়া উল্লাসের গান গায়, সমস্ত জগৎ পত্র পুষ্পে সজ্জিত, মুবর্ণ মুকোমল সূৰ্য্য-কিরণে রঞ্জিত দেখি, সকলে সুখ-উপহার হাতে লইয়া আইসে । দুঃখ দারিদ্রোর কষ্টকময় পাষাণ-শয্যায় পড়িয়া আমরা ঈশ্বরের উপদেষ্ট গুরুর মূৰ্ত্তি দেখি। দয়া, মায়া, মমতা, সহিষ্ণতা প্রভৃতি গুণগুলি দুঃখ কষ্ট্রের নিকট হইতেই আমরা শিক্ষা পাই। পৃথিবীতে দুঃখ ক্লেশ না থাকিলে এই কোমল, মহান, দেবতামুরূপ গুণগুলিও থাকিত না । যে ব্যক্তি নিজে কখন কোন দুঃখ শোক ভোগ করে নাই সে কখনই পরের দুঃখ শোকের সময়ে তাহার প্রতি যথার্থরূপে মমতা করিতে পারে না। পুত্ৰশোক কথাট। শুনিলেই সকলেরি মনে হয় বটে যে, সে অতি ভয়ামক শোক, কিন্তু যে ব্যক্তি নিজে পুত্ৰশোক পাইয়াছে সে একজন পুত্ৰশোকাতুর ব্যক্তির অসহ্য মৰ্ম্মভেদী তীব্র যাতম। সমস্ত প্রাণের সহিত অনুভব করিয়া তাহাকে যেমন মমতা করিবে তেমন আর কেহই পরিবে না। শ্রাবণের ঘন অন্ধকার মেঘরাশি সৌদামিনী দেব উপাসনাকার্য্য সমাধা করেন, ও অবিরল ধারা ভেদ করিয়া পরিমান চন্দ্র শ্ৰীমতী স্বর্ণকুমারী দেবী ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পাঠ ও ব্যাখ্যা করেন এবং শ্ৰীমতী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী এই উপদেশ পাঠ করেন্স । আমরা সুখদুঃখপূর্ণ নানা ঘটনার তরঙ্গে বারম্বার উত্থিত পতিত ও প্রবাহে নানাদিকে চালিত হইয়। পরম পিতার প্রসাদে আর এক বৎসর কাল অতিবাহিত করিলাম। মুখ ঐশ্বর্ষ্যের ক্রোড়ে বসিয়া আমর ঈশ্বরের সন্তানবৎসল। পরমস্নেহময়ী মাতার ভাব দেখিতে পাই । তখন মাতার আজ্ঞাবহ পবন মৃদু হিল্লোল উঠাইয়া, সুগন্ধ ছড়াইয়া আমাদের শরীর স্নিগ্ধ করে, বন্ধুবান্ধবের আদরের দোলায় আন্দোলিত হই, কিরণ প্রকাশের ন্যায় সেই মমতার অতি মধুর স্নিগ্ধ আলোক ধারা অতি ধীরে ধীরে আকুল প্রাণেতে প্রবেশ করে, তাহার যাতমার তীব্রতা ক্রমে লাঘব হইয়। আইসে । মমতাময় হৃদয় যখন পরদুঃখে আত্মবিস্মৃত হইয়৷ একেবারে দ্রবীভূত হইয় পড়ে সে কি সুন্দর দৃশ্য। মমতার মত খাটি নিঃস্বার্থ, বিশুদ্ধ স্বৰ্গীয় ভাব পৃথিবীতে আর কিছুই নাই। কষ্ট না থাকিলে দয়া, মায়া, সহিষ্ণুড়। : কোন অর্থই থাকে না। দয়া, মায়া, সহিখুড়া না থাকিলে এই সংসারে কি ভয়ঙ্কর বিশৃঙ্খলা কি অনর্ধপাত উপস্থিত হইত। যখনি কাহারও কেহ অনিষ্ট করিয়াছে, ৰে