পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ করিয়া সম্ভলে না । ইন্দ্রিয় অনেক কিন্তু আত্ম একমাত্র ; ইন্দ্রিয়-পরিচালনের বিস্তর প্রকার-ভেদ আছে,—আত্ম-সমাধানের একই ভাব। সেই একমাত্র আত্মার একমাত্র প্রকরণ-দ্বারা আমরা সত্যং জ্ঞানমাস্তং ব্রহ্মকে নিঃসংশয়রূপে অস্তঃকরণে উপলব্ধি করি ;– এই জন্য ব্রাহ্মধৰ্ম্মে উক্ত হইয়াছে “একাত্মপ্রত্যয়সারং” পরব্রহ্মকে উপলব্ধি করিবার নিমিত্ত এক আত্ম-প্রত্যয়ই কেবল সার । আত্ম-প্রত্যয়ের স্থান যদি সংশয় দ্বারা অধিকৃত হয়, তবে তাছা অতি ভয়ানক ; তবে সত্যের দ্বার অবরুদ্ধ হইয়া যায়। এক ইন্দ্রিয়ের সংশয় আর এক ইন্দ্রিয় দ্বার দূরীকৃত হইতে পারে, মনের এক অবস্থার সংশয় আর এক অবস্থায় দূরীকৃত হইতে পারে, কিন্তু সকল মানসিক অবস্থার মূলস্থিত যে এক আত্ম! তাহার সংশয় সে আপনি না নিবারণ করিলে আর কেহই তাহা নিবারণ করিতে পারে না । মনুষ্য-শরীরে দুই আত্মা নাই যে, এক আত্মার সংশয় আর এক আল্লা নিবারণ করিবে ; তা কোন দুই বুদ্ভির মধ্যেকার এক ঝুঁকি নহে মে, অনাতর একৃত পক্ষে বিশুদ্ধ আত্মার অভ্যন্তরে সংশয়ের স্থান নাই—অলোকের অভ্যস্তরে অন্ধকারের স্থান নাই—সেখানে কেবলি প্রত্যয়—কেবলই আলোক ;- সে আলোককে কোথা হইতেও ধাচিয়া আনিতে হয় না--- সে আলোক আত্মা নিজেই। আত্ম-প্রত্যয় যাহা বলে তাহা যদি আমাদের পাপাসক্ত মনের সহস্রও প্রতিকূল হয়, তথাপি সম্পূর্ণ । শ্রদ্ধা-ভক্তির সহিত – একান্ত বিশ্বাসের সহিত-তদগত চিত্তে আমরা যেন তাহা শ্রবণ-মলন করি—“একত্মিপ্রত্যয়সারং” এই ব।ক্যটি যেন আমরা হৃদয়ে গাথিয় রাখি । পরিপূর্ণ জ্ঞানালোকে আলোকিত সেই যে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

    • कन्न, ९ छात्र

সকল সত্যের মূল সত্য পরব্রহ্ম— যেখানে জ্ঞান যিনি তিনিই সত্য এবং সত্য-যিনি তিনিই জ্ঞান—সেই অনন্ত পরব্রহ্ম—শুদ্ধ কেবল আত্মপ্রত্যয়ের গম্য-শ্রদ্ধা ভক্তি পরিপূর্ণ একনিষ্ঠ নিষ্পাপ নিৰ্ম্মল আত্মপ্রত্যয়ের গম্য,-মনোবুদ্ধির গয্য নহেন। এই যে অমূল্য আত্ম-প্রত্যয়—এই যে আমাদের তৃতীয় চক্ষু—ইহাতে শেল বিদ্ধ করিও না-ইহাকে প্রস্ফুটিত কর –তাহা হইলে যেমন স্পষ্টরূপে এই সমাজের বেদী দেখিতেছ, তেমনি স্পষ্টরূপে আত্মা দেখিতে পাইবে,— এবং আত্মা ভেদ করিয়া পরমাত্মাকে দেদীপ্যমান দেখিবে,-“দগ্ধেন্ধন মিবানলং”—যেমন ইন্ধনকে দগ্ধ করিয়া | | | | | i | i | | | | অগ্নি উদ্ভাসিত হইয় উঠে, সেইরূপ পরব্রহ্ম আত্মার পাপ-মলিনতা দগ্ধ করিয়৷ সাধকের আত্ম-প্রত্যয়ে নিঃসংশয় রূপে আপনাকে প্রকাশ করেন – সত্যের মুখ অপাৰ্বত করিয়া দেন । তখন সাধক দেখিতে পান “আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি” ও তাহার অন্তঃকরণ বলিয়া উঠে “এযে আমি তোমার আনন্দরূপ জমৃতরূপ দেখিতেছি – দেবতারা যাহা নিয়ত বৃদ্ভিদবি| তাহার সংশয় নিবারিত হইবে ;– । দর্শন করেন সেইরূপ এখন দর্শন করিতেছি —এ কি সৌভাগ্য আমার আজ উদিত হইল –গভীর সত্য যাহাকে আমি অন্ধকারে আচ্ছন্ন মনে করিয় ভীত হইয়াছিলাম — তাহাকে জ্ঞানের জ্যোতিতে প্রভাসিত দেখিতেছি—জ্ঞানের জ্যোতি যাহাকে নীরস মনে করিয়াছিলাম, তাহাকে অমৃত আনন্দে ভাযমান দেখিতেছি –আমি মুক্তির ইচ্ছক চইয়া তোমার শরণাপন্ন হইতেছি । অtমাকে বিশ্বাসের বল দেও যে তোমাধে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিতে পারি—প্রেমের বল দেও যে তোমাকে আপনার করিয়া রাখিতে পারি—নিষ্ঠার বল দেও যে, তোমার কার্যো প্রাণ মন সমপর্ণ করিতে