পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - 5 - 6פ"לא אסט ২৩৩ পারি।” শাস্তুংশিবমদ্বৈতং” এই বচনটি আসিয়া আমাদের অভ্যন্তরে অধিষ্ঠান কর, ব্রাহ্মধর্শ্ব-পথিকের আশ্রয়-যষ্টি ;. পরব্রহ্ম তাছা হইলে আমরা বিশ্ববিজয়ী সন্তোর বলে শান্ত--তিনি আজ একরূপ কাল একরূপ নহেন—তাহাকে অবলম্বন করিলে এ বলিয়৷ ভবিষ্যতে অনুতাপ করিতে হয় না সে, “আমি মনে করিয়াছিলাম অটল ভিত্তিমুলের উপর গুহ-প্রতিষ্ঠা করিয়াছি এখন দৈখিতেছি তাহ বালির বাধ ।” তিনি মঙ্গল-স্বরূপ,—র্তাহাকে অবলম্বন করিলে ভবিষাতে এরূপ অনুতাপ করিতে হয় না যে “আমি তাহাকে আমার পরম হিতৈষী জানিয় তাহার উপর অটল বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছিলাম এখন দেখিতেছি তিনি আমার পরম শত্র " তিনি অদ্বিতীয়, তাছাকে অবলম্বন করিলে ভবিষ্যতে এরূপ অনুতাপ করিতে হয় না যে, “যত দিন তাহার রাজত্ব ছিল তত দিন আমাদের সুখের সীমা ছিল না-এখন আমাদের সে রাজাও নাই সে মুখও নাই” এতএব “শাস্তংশিবমদ্বৈতং বলিয়া পরমাত্মাকে আমরা যেমন অকুষ্ঠিত চিত্তে, অসংকোচে, নিরাতঙ্কে অবলম্বন করিতে পারি, এরূপ কোন পুত্র পিতাকে পারে না, প্রজা রাজাকে পারে না, বন্ধু বন্ধুকে পারে না, শিষ্য গুরুকে পারে না ; তিনি আমাদের সক্ষাং অভয় স্বরূপ—সাক্ষাৎ মুক্তি-দাতা ; আমরা যদি আন্তরিক শ্রদ্ধ৷ ভক্তি বিশ্বাস ও প্রেম সহকারে তাহার নিকট গমন করি—তাহ হইলে তিনি আমাদের সমস্ত ভয় তাপ দূর করিয়া দেন, সমস্ত বন্ধন মুক্ত করিয়া দেন,—এরূপ আশ্রয়দাতাক যদি আমরা ভুলিয়া থাকি তবে জার্মাদের মনুষ্য জন্ম কিসের জন্য। হে পরমাত্মন, তুমি আমাদের আত্মচক্ষু পরিস্ফুট করিয়া আমাদের অন্তরে প্রকাশমান হও— তোমাকে দেখিয়া আমাদের নয়ন মন সার্থক হউক! তুমি একবার | t | s: :|i বলীয়ান হইব ; তুমি তোমার এক সিন্দু রশ্মি আমাদের মধ্যে প্রেরণ কর, ত: ছুই জ্ঞানের আলোকে আমাদের সকল সংশয় তিরোহিত হইয়া যাইবে ; ও তোমার অনন্ত অপার গম্ভীর জ্ঞান প্রেমের দীর আমাদের হৃদয়ে উদঘাটন বর, তাঙ্গ ছুইলে আমরা তাহার আকর্ষণে আকৃষ্ট হইয়। সংসারের সমস্ত মোহবন্ধন তুচ্ছ করিতে পারব ;– তোমার সত্যং জ্ঞানমনস্তং মুর্কি আমাদের নিকট প্রকাশিত কর এই আমাদের প্রার্থন । ও একমেবাদ্বিতীয়ং । রামমোহন সাধারণতঃ আমরা প্রতিদিন গুটিকতক ছোট ছোট কাজ লষ্টয়াই থাকি ; বড়ঘার মত নিজের ভিতর হইতে টনিয়া টানিয়া আমাদের চারিদিকে স্বার্থের জাল নিৰ্ম্মাণ করি ও দ্বীত হইয়া তাঁহারই পখনটিতে বুলিতে থাকি, সমস্ত জীবন দৈননিন খুটিনাটির মধ্যে সমাহিত হইয়। অল্পীর ও সস্কীর্ণতার গর্ভে স্বচ্ছন্দস্থখ ও সব করি । আমাদের প্রতিদিন পূৰ্ব্বদিনের নরাবৃত্তি যাত্র, আমাদের ক্ষুদ্র জীবন একটি গ্লাবাহী উন্নতির কাহিনী নহে। সেই প্রতি দিবসের উদরপূর্তি প্রতিরীপে নিদ্রা-বৎসরের মধ্যে এই ঘটনা ও ইহারই আনুষঙ্গিক অমুষ্ঠানগুলিরই তিন শ পয়ষট্টিবায় করিয়া পুনরাবৰ্ত্তন এই ত আমাদের জীবন-ইহাতে আমাদের নিজের প্রতি শ্রদ্ধা হয় না ; জহস্কার ও আত্মাভিমানের অভাব নাই বটে কিন্তু আপনাদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নাই । এক প্রকার নিকৃষ্ট জাতীয় জীবাণু আছে সে কেবল গতি-বিশেষ অবলম্বন করিয়া ঘুরিতেই