পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

吠8 जां८न, cन नगरठ यौवम ७कहे शूबन धूब्रि

    • कल, २ छात्र

বলিলে শিক্ষার স্থল বললাভের স্বল ৰু তেছে, তাহার সহিত আমাদের বেশী প্রভেদ খায়। মহাপুরুষদিগের মহৎকাৰ্য্য সকল দেখিতে পাই না। আমাদের আহ্নিক গতি আছে বার্ষিক গতি নাই—আমরা নিজের চারিদিকে ঘুরিতেছি নিজের মাভিকুণ্ডল প্রদক্ষিণ করিতেছি কিন্তু অনন্ত জীবনের কক্ষপথে এক পা অগ্রসর হইতেছি না। এই পরম কৌতুকাবহ আত্ম-প্রদক্ষিণ-দৃশ্য চতুর্দিকে দেখা যাইতেছে—সকলে মাটির উপরে বিন্দুমাত্র চিহ্ন রচনা করিয়া লাটিমের ন্যায় সূচ্যগ্রপরিমাণ ভূমির মধ্যেই জীবনের সুদীর্ঘ ভ্রমণ নিঃশেষ করিয়া দিতেছে। প্রতিদিন চারিদিকে ইহাই দেখিয়া মনুষ্যত্বের উপরে আমাদের বিশ্বাস হ্রাস হইয়া যায়— স্বতরাং মনুষ্যত্বের গুরুতর কর্তব্য সাধন করিবার বল চলিয়া যায় । এই জন্য মহাস্মাদের প্রতি মাঝে মাঝে দৃষ্টিপাত করা আমাদের নিতান্ত আবশ্যক । মহাত্মাদের জীবন আলোচনা করিলে মনুষ্যত্ব যে কি তাহ বুঝিতে পারি, “আমরা মানুষ’ বলিলে যে কতখানি বলা হয় তাহ উপলব্ধি করিতে {{ল, জানিতে পারি যে আমরা কেবল অস্থি৮ৰ্মনিৰ্ম্মিত একটা জাহার করিবার যন্ত্র সত্ৰ নই, আমাদের সুমহৎ কুলমর্য্যাদার খবর পাইয়া থাকি । আমরা যে আমাদের চেয়ে ঢের বড়, অর্থাৎ মনুষ্য, সাধারণ মানুষদের চেয়ে যে অনেক পরিমাণে শ্রেষ্ঠ ইহাই মনের মধ্যে অনুভব করিলে তবে আমাদের মাথা তুলিতে ইচ্ছা করে, স্থত্তিকার আকর্ষণ হ্রাস হইয়া যায় । মহাপুরুষের সমস্ত মানবজাতির গৌরবের ও আদর্শের স্বল বটেন, কিন্তু তাহারা জাতিবিশেষের বিশেষ গৌরবের স্থল তাহাতে আর সন্দেহ নাই। গৌরবের স্থল বলিলে যে কেবলমাত্র সামান্য অহঙ্কারের স্থল বুঝায় তাহী নহে, গৌরবের স্থল দেখিয়া কেবলমাত্র সত্ৰম-মিশ্রিত বিস্ময়ের উদ্রেক হইলেই যথেষ্ট ফললাভ হয় না— র্তাহাদের যতই ‘আমার’ মনে করিয়া তাহাদের প্রতি যতই প্রেমের উদ্রেক হয় ততই র্তাহাদের কথা তাহাদের কার্য্য র্তাহাদের চরিত্র আমাদের নিকট জীবস্ত হইয় উঠে । যাহাদের লইয়। আমরা গৌরব করি তাছাদের শুদ্ধমাত্র যে আমরা ভক্তি করি তাহা নহে, র্তাহদের ‘আমার বলিয়া মনে করি। এই জন্য তাছাদের মহত্ত্বের আলোক বিশেষরূপে আমাদেরই উপরে আসিয়া পড়ে, বিশেষরূপে আমাদেরই মুখ উজ্জ্বল করে। শিশু যেমন সহস্র বলবান ব্যক্তিকে ফেলিয়া বিপদের সময় পিতার কোলে আশ্রয় লইতে যায়, তেমনি আমরা দেশের সুগতির দিনে আর সকলকে ফেলিয়। আমাদের স্বদেশীয় মহাপুরুষদিগের অটল আশ্রয় অবলম্বন করিবার জন্য ব্যাকুল হই । তখন আমাদের নিরাশ হৃদয়ে তাহারা যেমন বলবিধান করিতে পারেন এমন আর কেহই নহে। ইংলণ্ডের দুৰ্গতি কল্পনা করির কবি ওয়াড় স্বার্থ পৃথিবীর আর সমস্ত মহাপুরুষকে ফেলিয়। কাতর স্বরে মিণ্টনকেই ডাকিলেন, কছিলেন "মিণ্টন, আহা তুমি যদি আজি বাচিয়া থাকিতে ! তোমাকে ইংলণ্ডের বড়ই আবশ্যক হইয়াছে।” ষে জাতির মধ্যে স্বদেশীয় মহাপুরুষ জন্মান নাই, সে জাতি কাহার মুখ চাহিবে তাহার কি দুর্দশা । কিন্তু যে জাতির মধ্যে মহাপুরুষ জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন কিন্তু তথাপিও যে জাতি কল্পনার জড়ত হৃদয়ের । পক্ষাঘাত বশতঃ তাহার মহত্ত্ব কোনমতে অনুভব কৃরিতে পারে না তাহারকি দুর্ভাগ্য! আমাদের কি দুর্ভাগ্য । আমরা প্রত্যেকেই নিজে নিজেকে মস্তলোক মনে করিয়া