পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৩ পরিপূর্ণ করিয়৷ কাৰ্য আকারে পরিস্ফুট হইয়া উঠিত। বাস্ত-সমস্ত চটুল স্রোতহিনীতে যেমন দেখিতে দেখিতে কাজ চড়া পড়ে কাল ভাঙ্গিয় যায়,—সেরূপ ভাঙ্গিয়৷ গড়িয় কাজ যত না হউক খেলা অতি চমৎকার হয়,--তাছাদের সে কালে সেরূপ ছিল না। মহন্থের প্রভাবে হৃদয়ের অনুরাগের প্রভাবে কাজ না করিলে কাজ করিবার আর ে ন প্রখৰ্বনাই তখন বর্তমান ছিল না । অথচ কাজের ব্যাঘাত এখনকার চেয়ে ঢের বেশী ছিল । রামমোহন রায়ের যশের প্রলোভন কিছুমাত্র ছিল না। তিনি যতগুলি কাজ করিয়াছিলেন কোন কাজেই তাহার সমসাময়িক স্বদেশীয়দিগের নিকট হইতে যশের প্রত্যাশ করেন নাই | নিন্দাগ্রানি শ্রাবণের বারিধারার ন্যায় তাহার মাথার উপরে অবিশ্রাম বর্ষিত হইয়াছে—তবুও র্তাহাকে তঁহার কার্য হইতে বিরত করিতে পারে নাই । নিজের মস্থত্ত্বে র্তাহার কি অটল আশ্রয় ছিল, নিজের মন্তত্ত্বের মধ্যেই তাহার হৃদয়ের কি সম্পূর্ণ পরিতৃপ্তি ছিল, স্বদেশের প্রতি তাহার কি স্বার্থশূন্য মৃগভীর প্রেম ছিল । তাহার স্বদেশীয় লোকেরা তাহার সহিত যোগ দেয় নাই ; তিনিও তাহার সময়ের স্বদেশীয় লোকদের হইতে বহুদূরে ছিলেন, তথাপি ভাস্কার বিপুল হৃদয়ের প্রভাবে স্বদেশের যথার্থ মর্শ স্থলের সহিত আপনার মুদৃঢ় যোণ রক্ষা করিতে পারিয়াছিলেন । বিদেশীয় শিক্ষায় সে বন্ধন ছিন্ন করতে পারে নাই এবং তদপেক্ষা গুরুতর যে স্বদেশীয়ের উৎপীড়ন তাছাতেও সে ব: ন্ধন বিচ্ছিন্ন হয় নাই। এই অভিমানশূন্য বন্ধনের প্রভাবে তিনি স্বদেশের জন্য সম্পূর্ণ আত্মবিসর্জন করিতে তিনি কি না করিয়াছিলেন ? শিক্ষা বল, রাজনীতি বল, বঙ্গভাষা বল’ বঙ্গসাহিত্য रुल,' नशांछ बल,' भन्{ बन' (कयणगांख झऊভাগা দেশের মুখ চাহিয়া তিনি কোন কাজে না রীতিমত হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন ? কোন কাজটাই বা তিনি আঁকি দিয়াছিলেন ? বঙ্গসমাজের যে কোন বিভাগে উত্তরোত্তর যতই উন্নতি হইতেছে সে কেবল র্তাহারই হস্তাক্ষর কালের নূতন নূতন পৃষ্ঠায় উত্ত রোত্তর পরিস্ফুটতর ছইয়া উঠিতেছে মাত্র। বঙ্গলমাজের সর্বত্রই তাম্বার স্মরণস্তম্ভ মাথা তুলিয়া উঠিতেছে ; তিনি এই মরুস্থলে যে সকল বীজ রোপণ করিয়াছিলেন তাহারা বৃক্ষ হইয়া শাখা-প্রশাখায় প্রতিদিন বিস্তত হইয়া পড়িতেছে। তাঁহারই বিপুল ছায়ায় বসিয়া আমরা কি তাছাকে স্মরণ করিব না ? তিনি যাহা করিয়াছেন তাহাতে র্তাহার মহত্ত্ব প্রকাশ পায়, আবার তিনি যাছা না করিয়াছেন তাহাতে তাহার মহত্ত্ব আরও প্রকাশ পায় । তিনি যে এত কাজ করিয়াছেন কিছুরই মধ্যে র্তাহার আত্ম-প্রতিষ্ঠা করেন নাই । তিনি যে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করি য়াছেন তাহাতে নিজের অথবা আর কাহারও পারিয়াছিলেন। । প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপন করিতে নিষেধ করিয়াছেন । তিনি যে সময়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন চে৪া করিলে একাদশ অবতারের পদ সহজে অধিকার করিয়া বসিতে পারিতেন। তিনি গড়িয়া পিটিয়া একটা নূতন ধৰ্ম্ম বানাইতে পারিতেন তাহ না করিয়া পুরাতন ধর্শ প্রচার করিলেন । তিনি নিজেকে গুরু বলিয়া চালাইতে পারিতেন তাঁহা না করিয়া তিনি প্রাচীন ঋষিদিগকে গুরু বলিয়া মানিলেন । তিনি তাহার কাজ স্থায়ী করিবার জন্য প্রাণপণ করিয়াছেন কিন্তু তাহার নাম স্থায়ী করিবার জন্য কিছুমাত্র চেষ্টা করেন দাই, বরং তাছার প্রতিকূলতা করিয়াছেন । এরূপ আত্মবিলোপ এখনত দেখা যায় না । বস্তুবড় সংবাদপত্রপুট পরিপূর্ণ করিয়া অবিশ্রাম