পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রের খণিতে যদি বিদ্যুৎশিখা প্রবেশ করে তবে সে কি কাগুই উপস্থিত হয় ভূগর্ভ শ: : বিদীর্ণ ইয়া যায় । তেমনি সহসা জ্ঞানের নূতন উচ্ছলি কয়জন ব্যক্তি সহজে ধাপ | করতে পারে ? কোন বালক ত পারেই না । কিন্তু রামমোহন রায় অত্যন্ত মহৎ ছিলেন এই জন্য এই জ্ঞানের বন্যায় র্তাহার হৃদয় অটল ছিল, এই জ্ঞানের বিপ্লবের মধ্যে মাথা তুলিয়া যাহ আমাদের দেশে ধ্ৰুব মঙ্গলের কারণ হইবে তাহ নিৰ্ব্বাচন করতে পারিয়াছিলেন । এ সময়ে ধৈর্য্য :ক করা যায় কি ? আজিকার ফলে আমরাত ধৈর্য্য কাহাকে বলে জানিই না। কিন্তু রামমোহন রয়ে কি আসমান্য ধৈৰ্মাই ছিল । তিনি তার সমস্ত ফেলিয়া পৰ্ব্বতপ্রমাণ স্তুপাকার ভরের মধ্যে আচ্ছন্ন যে অগ্নি, ফু দিয়া দিয় তাহাকেই প্রজ্বলিত ক রিতে চাহিয়াছিলেন । ত{ড় ত{ড় চমক লাগাইবার জন্য বিদেশী দেশালই কাঠি জ্বালাইয়া যাদুগিরি করিতে চাহেন নাই। তিনি জানিতেন ভক্সের মধ্যে যে অগ্নিকণিকা অবশিষ্ট্র অাছে ৩ছি। ভারতবাসীর হৃদয়ের গুঢ় অভ্যন্তরে নিহত, যে অগ্নি প্রজ্বলিত হইয়া উঠিলে সে আর fলভিবে না। এত বল এত ধৈর্য্য নf: লে তিনি রজ কি দিল্লির সম্রাট তাহাকে রজোপাধি দিয়াছেন কিন্তু দিল্লির সমাটের সম্রাট তাছাকে রাজ করিয়া পঠাইয়াছেন। ভারতবর্ষে বঙ্গসমাজের মধ্যে ৫নি তাঁহার রাজসিংহাসন প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । তবে মামরা কি তাছাকে সম্মান করিব না ? রামমোহন রাম যখন ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করেন তখন এখানে চতুর্দিকে কাললাত্রির অন্ধকার বিরাজ করিতেছিল ! আ সের { হইয়াছিল। মিথ্যা ও মৃত্যু নামক মায়াবী রাজাদের প্রকৃত বল নাই,অমোঘ অস্ত্র নাই, কোথাও তাহদের দাড়াইবার স্থল নাই, কেবল নিশীথের অন্ধকার ও একপ্রকার অনিৰ্দ্দেশ্য বিভীষিকার উপরে তাহদের সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত । আমাদের অজ্ঞান আমাদের হৃদয়ের দুৰ্ব্বলতাই তাহাদের বল। অতিবড় ভীরুও প্রভাতের আলোকে প্রেতের নাম শুনিলে হাসিতে পারে, কিন্তু অন্ধকার নিশাঁখিনীতে একটি শুষ্ক পত্রের শব্দ একটি তৃণের ছায়াও অবসর পাইয়। তামাদের হৃদয়ে নিষ্ঠ আদিপত্য করিতে থাকে। যথার্থ দ্যুভয় অপেক্ষা সেই মিথ্যা অনিৰ্দেশ্য ভয়ের শাসন প্রবলতর । অজ্ঞানের মধ্যে মানুষ যেমন নিরুপায় যেমন অসহায় এমন আর কোথায় ! রামমোহন রায় যখন জাগ্রত হইয়। বঙ্গসমাজর চারিদিকে দৃষ্টিপাত করিলেন তখন বঙ্গসমাজ সেই প্ৰেতভূমি ছিল। তখন শ্মশানস্থলে প্রাচীনকালের জীবন্ত হিন্দুধৰ্ম্মের প্রেতমাত্র রাজত্ব করিতেছিল, তাহা জীবন নাই অস্তিত্ব মাই কেবল অনুশাসন ও ভয় আছে মাত্র । সেই নিশীথে শ্মশানে সেই ভয়ের বিপক্ষে মাভৈঃ শব্দ উচ্চারণ করিয়া যিনি একাকী অগ্রসর হুইয়াছিলেন, তাছার মাহাত্মা আমরা তাজিকার এই দিনের তা লোকে হয়ত ঠিক অনুভব করিতে পারিব না । যে ব্যক্তি সপ বধ বরিতে অগ্রসর হয় তাহার কেবলমাত্র জীবনের আশঙ্কা থাকে কিন্তু যে ব্যক্তি বাস্তুসপ মারিতে যায় তাহার জীবনের আশঙ্কার অপেক্ষ অনিৰ্দেশ্য অমঈলের আশঙ্কা বলবত্তর হইয়া উঠে । তেমনি রামমোহন রায়ের সময়ে হিন্দুসমাজের ভগ্নভিত্তির সহস্র ছিদ্রে সহস্র বাস্তু-অমঙ্গল কাশে মৃত্যু বিচরণ করিতেছিল। মিথ্যা উত্তরোত্র পরিবর্ধমান বংশপরম্পর লইয়া ও মৃত্যুর বিরুদ্ধে তাহাকে সংগ্রাম করিতে প্রাচীনতা ও জড়তার প্রভাবে অতিশয় স্কুল