পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য়াছে—সেইরূপ সনাতন আদি সূর্য হইতে— জ্ঞান সূর্য প্রেম-সুর্য্য ইতে—আমাদের আত্মা প্রসূত হইয়াছে ; সমস্ত মৌর জগতের মধ্যে পুথিবী নাকি আমাদের নিকটতম বাসস্থান—তাই উপরে পৃথিবীর কথা উল্লেখ করিয়ছি।--তেমনি সমস্ত ভালবাসার বস্তুর মধ্যে তাত্মা নাকি তামাদের নিকটতম বস্তু, । তাই অনুগ্র আমরা আত্মার কথা উল্লেখ করিতেছি ; সমস্ত জগৎই পরমাত্ম হইতে প্রসুত,–কিন্তু আমাদের আত্মা আমাদের নিকট সমস্ত জগৎ অপেক্ষ অাদরের বস্তু, তাই তাহারই প্রতি আমরা বিশেষ রূপে লক্ষ্য করিমৃেড়ি | আত্মা এবং পরমাত্মার মধ্যে i | কি যে আশ্চৰ্য্য অদৃশ্য সম্বন্ধ-স্ত্র বিদ্যমান । রহিয়াছে তাই অনিৰ্ব্বচনীয় –পৃথিবীতে এত দার্শনিক জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন–কিন্তু কেহই সেই সম্বন্ধ-সূত্রের সম্ভাবনা পর্য্যন্ত বুদ্ধিতে আনিতে পারে না-অসীমের সহিত সলামের সম্বন্ধ যে কিরূপে সম্ভবে ইহা কোন দর্শনে বলিতে পারে ন—অথচ "সম্বন্ধ আছে” ইছা কোন দর্শনেই অস্বীকার করিতে পারে না ; কিন্তু আমাদের পবিত্র ঋষির । সে সম্বন্ধ ধ্যানে প্রত্যক্ষ করির বলিয়াছেন— ‘ধিয়োয়েনঃ প্রচোদয়াং' খিনি আমাদিগকে বুদ্ধি-বৃত্তি প্রেরণ করিতেছেন, তাহার সহিত আমাদের কি নিকট সম্বন্ধ একবার ভাবিয়া । দেখ; বুদ্ধি-বৃত্তি কি সামগ্ৰী তাহা ভাবিয়া দেখ,ও কিরূপে তিনি তাহা আমাদিগকে প্রদান করিতেছেন, তাহ ভাবিয়া দেখ। কোন বন্ধু যদি বাহক-দ্বারা কোন একটি দান-সা মগ্রী প্রেরণ করেন, তবে সে সামগ্রীতে আমরা | বেন-প্রেয়সী ; যোদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করিলে র্তাহার হৃদয়ের প্রতিমূর্তি অঙ্কিত দেখি,-যদি তিনি অপেন হস্তে সেই দান-সামগ্ৰী প্রদান করেন, তবে তাহার হৃদয়ের প্রতিমূর্তি নহে কিন্তু তাহার হৃদয়ের নিজ মূৰ্ত্তি আমরা অা

    • कन्न, २ छोकी

সূৰ্য হইতে যেমন পৃথিবী প্রসূত হই । মাদের ক্ষের সমক্ষে জাম্বল্যমান দেখিতে পাই ; কিন্তু মাত যখন শিশুকে দুগ্ধ দান করেন—তখন মাতা আপন হৃদয়ের প্রতিমুর্তিও নহে স্বমূর্তিও নহে-কিন্তু সাক্ষাৎ হৃদয়—যাহার মূৰ্ত্তি নাই যাহা অমুর্ত সেই মৰ্ম্মগত হৃদয়-প্রদান করেন, এজন্য শিশু তাহ চক্ষে দেখিতে পায় না—কিন্তু মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করে—তাছাতে শিশুর প্রতি রোম-কুপে প্রাণের সঞ্চার হয়। পরমাত্মা আমাদের আত্মাতে যে, বুদ্ধিবৃত্তি প্রদান করিতেছেন, তাছ। তিনি দূরস্থ বন্ধুর ন্যায় বাহক দ্বার প্রেরণ করিতেছেন না—অভ্যাগত বন্ধুর ন্যায় হস্ত দ্বারাও প্রেরণ করিতেছেন ন।–মাতারন্যায় হৃদয়ের বহিরুচ্ছ,াস দ্বারাও প্রেরণ করিতেছেন না, কিন্তু তিনি স্বয়ং আপনি আমাদের আত্মাতে অন্তর্যামী হইয়। বৃদ্ধিবৃত্তি প্রেরণ করিতেছেন । আমাদের আত্মার নিভৃত স্থানে যেখানে তিনি বাস করিতেছেন—সেই খানে তাহাকে দর্শন করিয়া পুরাতন ঋষির বলিয়াছেন “হিরন্ময়ে পরে কোষে বিরজং ব্রহ্ম নিকলং তাছুভং জ্যোতিষাং জ্যোতিস্তদ্যদাত্মবিদোবিদুঃ” যিনি তাহাকে আপন আত্মার সেই নিভূত স্থানে অন্বেষণ করেন র্তাহার যত্ন কখন বি ফল হয় না ; সে নিভৃত স্থান কোথায় ? সে মৰ্ম্ম-স্থান কোথায় ? মনুষ্য মাত্রেরই একটি অতি গভীর মৰ্ম্মস্থান আছে ; সেটি কি ? - বিষয়ী লোককে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি মলিবেন—সেটি স্বার্থ; শিশুকে জিজ্ঞাসা করিলেসে বলিবে – মাত ; যুবাকে জিজ্ঞাসা করিলে তিমি বলি তিনি বলিবেন-যশ কাহার যে কি মৰ্ম্মস্থান-তাহ সে-ই জানে, অনেক সময়ে সেও তাহা জানে না ; শিশু যখন মাতৃক্রোঙ্কে থাকে তখন শিশু জানে না যে, মাতাই