পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা , •• कन्न, ९ छत्रे আর্য্য-ধৰ্ম্ম । আর্যা-ধৰ্ম্ম যে কি তাহার স্বরূপ নির্দেশ করা বড় সহজ ব্যাপার নহে। যাহারা ইহার অঙ্গ-বিশেষকে আর্য্য-ধৰ্ম্ম বলিয়া অবধারিত করিতে যান, তাহারাই প্রতারিত হওয়াতে থাকেন। যে ধৰ্ম্ম হিমালয়-সমান প্রাচীন, আকাশের ন্যায় উচ্চ, সমুদ্র-সদৃশ গভীর, বায়ুর ন্যায় প্রশস্ত ও মুক্তভাবাপন্ন, তাহার গুঢ় গম্ভীর ভাব অনায়াসে বুদ্ধির আয়ত্ত করা সম্ভবপর নহে। , আদিম বাপময় জ্বলন্ত দ্রব-ধাতুপিণ্ড স্বাভাবিক নিয়মক্রমে শীতল হইয়। যেমন স্তরে স্তরে এই পৃথ্বীধাম বিরচিত হইয়। মনুষ্যের বাসযোগ্য হইয়াছে, আর্য্যধৰ্ম্মও তেমনি মনুষ্য-সমাজের প্রাচীনতম অনির্দেশ কাল হইতে ঐশ্বরিক উত্তেজনায় ঋষিগণেব সরল কোমল হৃদয় হইতে aম উদগীরিত হইতে আরম্ভ হইয়াছে, ক্রমে পুরাণ তন্ত্র প্রভৃতি স্তর সমূহ তদুপরি বিনিৰ্ম্মিত হইয়। বিশাল বিস্তৃত আকার ধারণ করত অসংখ্য অগণ্য মনুষের হৃদয় মন আত্মাকে পালন ও পোষণ করিতেছে। প্রাকতিক বিপ্লবে-—ঘাত প্রতিঘাত দ্বার। যেমন ধরাপুষ্ঠে পৰ্ব্বত প্রান্তর প্রভৃতি সামুৎপন্ন হইয়াছে, তেমন্স আর্য্য-ধৰ্ম্মের সংঘর্ষণ ও সমালোচন-প্রভাবে ভূমণ্ডলে অপরাপর ধৰ্ম্মের আবির্ভাব হইয়াছে। পৃথিবীর কোন স্থান খনন করিতে গেলে যেমন ইহার আভ্যস্তরিক স্তর-সমুহের বিপৰ্য্যস্ত লা ভগ্ন অংশ সকল প্রাপ্ত হওয়া যায়, তেমনি ভূমণ্ডলের যে কোন ধৰ্ম্মগ্রন্থ আলোচনা করা যায়, তাহাতেই আর্য্য-ধৰ্ম্মের সত্য ও নীতি-রত্নসকল প্রচ্ছন্ন বা পরিস্ফুট ভাবে নিহিত রহিরাছে, তাহাই জাজ্জ্বল্যতর রূপে দৃষ্ট হইয়া থাকে। যাহা আধা-ধৰ্ম্মে নাই, তাহা জার কুত্ৰাপি দেখা যায় না। ইহার দ্বারাই আৰ্য্যধর্মের প্রাচীনত্বের ও সারত্বের পরিচয় প্রদত্ত হইতেছে । e . . . পৃথিবীর কোন স্তর-বিশেষকে যেয়ন পৃথিবী বলা যায় না, তেমনি আর্য্যধর্মের অঙ্গ বা শাখা-বিশেষও সম্পূর্ণ আৰ্য-ধৰ্ম্ম রূপে অভিহিত হইতে পারে না ! শুদ্ধ অঙ্গার ব। চূর্ণ স্তর যেমন কোন উদ্ভিদ বা জীব-শ্রেণীকে পোষণ করিতে পারে না, তেমনি ইহার শাখা-বিশেষেও চির-উন্নতিশীল মানবআয়ার ধৰ্ম্ম ও সংসার-ঘটিত পূর্ণ পরিজ্ঞেয় তত্ত্ব সকল বিশদ আকারে প্রাপ্ত হওয়া যায় না। সেই জন্যই যিনি ইহার অঙ্গ-বিশেষ বা স্তর-বিশেষকে সম্পূর্ণ আর্য্য-ধম্ম বলিয়৷ গ্রহণ করিতে যান, র্তাহাকেই প্রতারিত হইতে হয় । বেদ-উপনিষৎ ভtয়ুত পুরাণ এবং তন্ত্র প্রভৃতি সাধারণতঃ আর্য্য-ধৰ্ম্ম-প্রতিপাদক বলিয়। আখ্যাত হইয়া থাকে। পৃথিবীর আদিমস্তর যেমন অপরাপর স্তরের আধার ও উৎপত্তির কারণ, লীজ যেমন বৃক্ষের কাণ্ড-শাখা পুপ-ফল সমূৎপাদনের হেতু, বেদ-উপনিষৎ তেমনি আর্ষ ধর্মের আধার-ভূমি এবং ইহার শাখা প্রশাখাদি সমুদগমের একমাত্র উপাদাম। ভূগর্ভ-নিহিত বৃক্ষ-মূলের আকৃষ্ট রস যেমন তাহার প্রত্যেক অঙ্গে, পত্র-পুষ্পফলের প্রতিশিরায় প্রবাহিত হইতেছে ; তেমনি বেদ-উপনিষদের নিগুঢ় সরল সত্য সকল, ভারত পুরাণ ও তন্ত্রাদির মধ্যে কোথায় বা প্রচ্ছন্ন কুত্রাপি বা পরিস্ক টভাবে সঞ্চরণ করিতেছে। ভূতত্ত্ববিৎ প্রাজ্ঞ ব্যক্তিগণ স্তরগত ও তৎসমূহের গুণগত প্রভেদপার্থক্য প্রত্যক্ষ দেখিলেও যেমন তাহারদিগের মধ্যে একটী নিগুঢ় সম্বন্ধ অচ্ছেদ্য যোগ উপলব্ধি করেন, উদ্ভিদ-তত্ত্ববিৎ