পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o . .‘ به هwد پwrit আর আর সমুদায় অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা। এ কারণ ঋক যজুঃ সাম অথৰ্ব্ব, শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দঃ ও জ্যোতিষ ; এ সমুদায় অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা বলিয়া উক্ত হইয়াছে। ঋক যজু সায় প্রভূতির যে যে ভাগ এবং অন্যান্য যে সকল বিদ্যা ব্ৰহ্ম-বিষয়ক যথার্থ তত্ত্বের উপদেশ করে, তাহাই শ্রেষ্ঠ বিদ্যা তাহা সৰ্ব্বসাধারণের শিক্ষণীয় ।” আর্য্য ঋষিগণ পৃথ্বীগুরুরূপে সৰ্ব্বত্র সমাদৃত ও প্রপূজিত হইলেও ভঁাহারা আপনাদিগকে মানব-জাতির আভ্রান্ত আদর্শ এবং পূর্ণ ও নির্দোষ-স্বভাব বলিয়া প্রচার করেন নাই। আপনাদিগের সকল কার্স ও । সকল আচরণকে একান্ত অনুকরণীয় বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে প্রয়াস পান নাই, নিম্নউদ্ধত বাক্যগুলিই তাহার সাক্ষ্যস্থল। যথা “যান্যনবদ্যানি কৰ্ম্মাণি ভানি সেবিতব্যানি নে? रेंडद्भाँGि । কল্যাণকর যে সকল কৰ্ম্ম, তাহার অনুষ্ঠান করিবেক, অকল্যাণকর কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিবেক না । তাৎপর্য্য । সকল-মঙ্গলালয় পরমেশ্বরের শুভাভিপ্রায়কে লক্ষ্য করিয়া শুভাকাঙক্ষী হইয়া শুভ কর্ণের অনুষ্ঠান করিবেক, অশুভ কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিবে না।” "যান্যস্বাকং সুচরিতানি তানি জ্বয়োপাস্যানি নে o ইত্বরাণি । আমরা যে সকল সদাচার করিয়া থাকি, তুমি তৎসমুদায়ের অনুষ্ঠান কর; তদ্ভিন্ন অন্য কর্মের অনুষ্ঠান করিও না। যে সকল ধৰ্ম্ম গ্রন্থ ঈশ্বর-প্রণীত বা আপ্ত বাক্য বলিয়৷ ভূমণ্ডলে প্রচারিত হইয়াছে, তাহাদিগের মধ্যে কোন গ্রন্থেই প্রচারক বা ধর্গপ্রবর্তকদিগের এরূপ সরলতা উদারতা ও সত্য-প্রিয়তা প্রায়ই দৃষ্ট হয় না ইত্যাদি নানা আৰ্য-ধর্ম 8१ কারণেই আৰ্য্য-ধৰ্ম্ম পৃথিবীর সকল ধৰ্ম্ম হইতে শ্রেষ্ঠ ও উন্নত । আর্য্যধৰ্ম্ম যে কি, তাহ জানিতে হইলে কি প্রত্যেক মনুষ্যকে বেদ-বেদান্ত পুরাণ-তন্ত্র প্রভৃতি পৰ্ব্বত-সমান গ্ৰন্থরাশি অধ্যয়ন ও আলোচনা করিতে হইবে ? পৃথিবীর প্রত্যেক নদ, নদী, সাগর, হ্রদ, উৎস, সরোবর, পৰ্ব্বত, কানন, প্রান্তর এবং প্রদেশ দেশ গ্রাম নগরাদি তন্ন তন্ন করিয়া দেখিতে গেলে যেমন মনুষের আয়ু নিঃশেষিত হইয়া যায়, তেমনি আর্যজাতির ধৰ্ম্ম গ্রন্থের সংখ্যা এত অধিক এবং তাহার তাকার আয়তন এত বৃহৎ ও তাহাতে উপাখ্যান অলঙ্কার এবং রূপক বৰ্ণনার এত প্রাচুর্য্য, যে তৎসমূহ অধায়ন করত মৰ্ম্ম ভেদ পূৰ্ব্বক সিদ্ধাস্তশিখরে উপনীত হইতে গেলে মনুষ্যের জীবন-কাল কোনরূপেই সঙ্কলন হয় না । একটা বিশুদ্ধ ভূ-চিত্র সন্দর্শন করিলেই যেমন সমগ্র ভূমণ্ডলের প্রতিস্কৃতি সহজেই দৃ৪ হইয়া থাকে, তেমনি প্রকৃত আর্য্যধর্মের যথার্থ তত্ত্ব একাধারে দেখিতে হইলে, এক উন্নত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থের প্রতি মনোযোগ পূৰ্ব্বক দৃষ্টিপাত করিলেই তাহ সহজে সকলের হৃদয়ঙ্গম হইবে। বেদ-বেদান্ত ভারত-তন্ত্র প্রভৃতির একীভূত নিগূঢ় সত্য সকল একস্থানে নিরীক্ষণ করিতে গেলে, শ্রুতি স্মৃতির নিগুঢ় তত্ত্ব একাধারে, আর্য ঋষিগণের গভীর চিন্তার কঠোর তপস্যার ফল, সমুন্নত ব্ৰহ্মজ্ঞান সারতম ধৰ্ম্মনীতি-রত্বরাজি একত্রে অবলোকন করিতে হইলে, ভারতের স্পৰ্দ্ধাস্থল ও গৌরব-নিধি এবং পৃথিবীর সৰ্ব্বোচ্চজ্ঞানধৰ্ম্ম-গিরি নিষ্কলঙ্ক ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থ ভিন্ন আর্য্যধর্মের যথার্থ প্রতিকৃতি এবং প্রকৃত আদর্শ গ্রন্থ আর দ্বিতীয় নাই। এই পবিত্র গ্রন্থের প্রতিবর্ণ প্রতিশব্দ প্রত্যেক শ্লোক নিরবচ্ছিন্ন আর্ষ্য-জাতির গভীর ও উন্নত