পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... هv۰د.gstwو প্রধান বিদ্যালয়। কিন্তু আদর্শ যতই উৎকুঠু ও উন্নত হউক, সকলে সমান রূপে তাহার অনুকরণ করিতে পারে না। যদি অনুকরণকারীর হৃদয় ও প্রকৃতি আদর্শের অমুরূপ হয়, তবে তিনি চেষ্টা করিলে আদর্শের সন্নিকৃষ্ট হইতে পারেন । হোমরের কাব্যে একেলিসের বীরত্ব অনেকেই পাঠ করিয়া থাকেন, কিন্তু কয় জন আলেকজাণ্ডারের ন্যায় তাহার অনুকরণ করিয়াছেন? ফল কথা এই, অনুকরণকারীর হৃদয় মন ও প্রকৃতির গুণ অনুসারেই তিনি তাহার আদর্শের অনুকরণ করিতে পারেন । উত্তম আদর্শ—উত্তম দৃষ্টাস্তের গুণ বর্ণনাতীত । প্রকৃত সাধু ও ধাৰ্ম্মিকের গম্ভীর অথচ প্রফুল্ল মূৰ্ত্তিই কত লোকের হৃদয়ে ধৰ্ম্ম ভাব উদ্দীপন করিয়াছে । তাহার আড়ম্বরশূন্য পরিশুদ্ধ কৰ্ম্ম কত লোককে সৎপথে যাইতে ও সাধু কৰ্ম্ম করিতে নিঃশব্দে শিক্ষা দিয থাকে। সাধু দৃ&ান্তের ফল জগৎ হইতে কখন অন্তহৃত হয় না। সুগন্ধি কুসুম নঃ হইলে ও তাহার সার ভাগ যে গন্ধ, তাই। মনুষ্য কর্তৃক সষত্ত্বে রক্ষিত হইয় থাকে। একটি দীপালোক হইতে প্রদীপ-পরম্পর যেমন প্রজ্জ্বলিত হয়, তেমনি একটি সাধু | झूठेख হইতে শত শত সাধু छूछेहरुद উং- { পত্তি হইয়া থাকে। সাধু দৃষ্টান্ত-সকল শুস্থলের ন্যায় পরস্পর আবদ্ধ থাকিয়৷ অনন্ত কাল বিস্তত হইবে । কবে রামচন্দ্র অযোধ্য অলঙ্কত করিয়াছিলেন, অদাপিও লোকে তাহার পিতৃভক্তি ও প্রজারঞ্জন-প্রবৃত্তির অনুকরণ করিয়া থাকে। সেই অলোক । সামান্য সতী সীতার অতুল স্বামিভক্তি ও সতীত্ব অদ্যাপিও নারীকুলের আদর্ণ হইয় রহিয়াছে। যুধিষ্ঠিরের সেই ক্রোধহীন শান্ত স্বভাব আজও লোকের মানস-পটে অঙ্কিত রহিয়াছে । তাহার সেই ন্যায়ানুগত ব্যব ঋষি-উপাখ্যান । 8) হার আজও লোককে ন্যায়ের পথ—ধর্মের পথে আকর্ষণ করিতেছে—এবং চির দিনই এইরূপ করিবে। অতএব সাধু কৰ্ম্মের ফল কখন বিনষ্ট হয় না। ধন্য তিনি, যিনি ধীরে ধীরে ঈশ্বরের আদিষ্ট্র কৃষ্ট সকল সম্পন্ন করিয়া সাধু দৃষ্ট্রান্ত প্রদর্শন পূৰ্ব্বক জীবন সমাপন করেন । ধন্য তিনি ঘিনি সকল বিস্তু অতিক্রম করিয়৷ মাপন কথর মহিল আপন কার্মোর মিল রক্ষা করেন । ঈশ্বর করুন এ মুখ উজ্জ্বল হইক । ঋষি-উপাখ্যান ধরির অতিথি মহর্ষির পদ সৃষ্ট্রি পড়িল ভক্তির সহ ভূমে শির লুটি । বাক্য পরে কহিল এমনি মৃত্যু স্বরে ক্ষীণ-তোয় নদী যেন মন্ত্ৰ মন করে । “নাহি কুল নাহি গোত্ৰ নাহি মম নাম নাহি পুত্র নাহি পিত! নাহি কোন ধার্ম। আছিল সংসারে য{হ জন্মের বন্ধন অতি বাল্যকালে তাই করেছি ; গুন কাশীতে দণ্ডীদ কাছে লয়ে স{ দণ্ডী দিয়াড়েন নাম “ অরণ্য &#:;" সেই হতে তীর্থে তীর্থে বেড়িয় বেড়াই কেহ বা সন্ন্যাসী বলে কেহ বা গোসাঁই । কত কৃচ্ছ সাধয়ছি ওগে তপোধন কতই সঙ্কট তাথে করেছি ভ্রমণ । রাখিয়াছি শিরে জটা দীর্ঘ নখাঙ্গুলে হইয়াছি উদ্ধ বাহু উদ্ধে বাহু তুলে । তুম্বার গলিত স্রোতে হইয়া মগন মাঘের যামিনী কত করেছি যাপন । নিদাঘে মধাহু রবি প্রচণ্ড যখন বলিয়াছি তার মাঝে জুলি’ স্থতাশন । বসনের প্রয়োজন সেধেছি বন্ধলে, . ক্ষুধায় খেয়েছি পত্র পড়েছে যা গ’লে