পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-, *, . (?२ চর মুগ্ধ হয় তখন যখন চক্ষু শূন্যেতে তুলিয়া এবং সংসারের অস্তিত্ব ভুলিয়। আমি ও অস্বনী অম্বরে পুলকে চাহিয়া দেখি তখন দূরে ও অসীম শূন্যে তোমারই স্বন্দর ছবি প্রকা iশত দেখি । নবপল্লপিতৃ কুসুম কোমল। বসন্ত-প্রকৃতির রাজত্ব সময়ে যখন সুরভিচুম্বিত বাৰু সৌরভ ঢালিয়া চলিয়া যায় এবং মোহময় পিককণ্ঠ হইতে সঙ্গীত-উচ্ছাস নির্গত হইতে থাকে এবং সেই চারু ললিত তানে আনন্দ-প্রবাহ প্রাণে প্রয়াহিত হইতে থাকে তখন পুলকিত হইয়া বসন্ত প্রকৃতিতে তোমারই প্রেমানন বিশেষরূপে বিরাজমান লেপি তথাপি নয়ন অতৃপ্ত থাকে। হৃদয় বাস্থ্য জগতে জড় প্রকৃ ب : - x ہو؟ حتی یو-چکش --صحبه মস্ত রে এবং কবি ত্বময় তর মনে তুমি সৰ্ব্বস্থানে বিদ্যমান আছ দিব্যজ্ঞানে ইহা অনুভব করির মুদয় সীমায় : তোমার মুখ সৰ্ব্বদা দেখি এবং অসীম আ- চুপণ করে । কাশ তোমার মধুর সত্তায় পরিপূর্ণ দেখিয়া চাহিয়। চাহিয়া হাসি তথাপি আমার হৃদয় তৃষাকুল থাকে, আমার অনন্ত পিপাসা পূর্ণ হয় না। এ জীবনে তোমাকে দেখিয়া দেখিয়া আশা পূরিবে না। তোমার চিস্ত জীবণের শত সুখ বৰ্দ্ধিত করে । সত্যময় সুকল্পনা দ্বারা হৃদয় প্লাপিত করিয়া এবং অন্তর প্রীতির উচ্ছসি-স্বপ্নে ঢালিয়তোমার প্রিয়মুখ হে জীবন-সম্বল ! অবনী ও অম্বর সকলই তোমার বদনের ছায়৷ t তোমাতে চিত্ত মুগ্ধ অথচ তোমার অারে। স্পষ্টতঃ দৰ্শন-লালসায় ভরি। তাহা সতত চঞ্চল । গভীর নিশাতে নিদ্রার ! তাবেশে যখন এ বিশ্বসংসার ভুলিয়া থাকি তথম ও আমার মানস সরোবরে তুমি প্রীতিজে তিতে ভাসিতে থাক। আমি মুখের স্বপ্নে নিত্য তোমায় দেখিয়া জাগ্রত হইয়৷ আমার শূন্য গৃহের দিকে চাই। যে দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করি সেই দিকে তুমি অ"ধারের কিরণের ন্যায় দীপ্তি পাও ; তো তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । .**.आर्ध्नुः * कॉन মার বদন কম্পিত প্রাণে দর্শন করি। যখন প্রবাসে চিত্রিত আকাশতলে প্রকৃতির চারু ছবি সায়ার-রক্তিম সূৰ্য্য অস্ত যায় তখন নীরবে বসিয়া তুমি সান্ধ্য শোভার সঙ্গে মিশাইয়া রহিয়াছ এইরূপ ভাবি। তখন প্রকৃতিকে তুমিময় দেখি,তথাপি অন্তরে ক্ষণেকের তরে তৃপ্তি হয় না। এইরূপ তোমায় দেখিয়া অনন্ত বাসন আমার চিত্তে রহিবে তব দর্শনের কি মৃতসঞ্জীবনী শক্তি । জাঙ্কুৰীসৈকতস্থিত শ্মশান-ভূমির ন্যায় যদি কোন আত্ম শ্মশানে পরিণত হয় কিন্তু তুমি যদি তাহার উপর দিয়া কভু চলিয়া যাও তাহ হইলে সেই শ্মশান ভূমির দগ্ধ পরমাণু সকল তোমার চরণস্পর্শে নব জীবন লাভ করিয়া আনন্দে কাপিতে থাকে এবং প্রতি পরমাণুকণ। আবার তখন অধীর হইয়া তোমার চরণ * হৃদয় সয়ন দ্বারা আজীবন তোমাকে দেখিবে কিন্তু তথা। সাধ পূরিবে না, তাহা সতত অস্থির থাকিবে । অস্তিমে তোমার মুখ দর্শন করিয়া মরণ-সময়ে অসীম সুখ লাভ করিব কিন্তু চির অতৃপ্তি এমনি করিয়া নিত্য জীবনের সঙ্গে মিশিয়া থাকিবে । পরকালের রাজ্যে যাইলেও আত্মায় তোমার দর্শন-তৃমা রহিবে । অমরতার জ্যোতিতে তোমার ঐ সুন্দর বদন আরো উজ্জ্বলতর দেখিব কিন্তু যতই হেরিব সাধ পূরিবে না। নিত্যকাল এইরূপে যাইবে । ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি। ঈশ্বর অগম্য অপার । কেহই তাহাকে সম্যক রূপে জানিতে পারে না। যাহা কিছু সম্যকরূপে জানা যায় তাহ। কখন ঈশ্বর হইতে পারে না। তাছা বলিয়া আমরা কি তাহার কিছুই জানিতে পারি না ? আমরা সহজ জ্ঞানে বুঝিতেছি তিনি জগতের মূল কারণ—তিনি সত্য স্বরূপ ও অনন্ত জ্ঞান

  • ն