পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रबिाष्ट्र > મો স্বরূপ। সেই জ্ঞানকে অবলম্বন করিয়াই আমাদের জ্ঞান প্রকাশ পাইতেছে। যাহা কিছু সকলই তাহাতে প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। “কোহ্যেবানাৎ কঃ প্রাণ্যাৎ যদেষ আকাশ আনন্দোন স্যাৎ” কে বা শরীর-চেষ্টা করিত, কে বা জীলিত থাকিত, যদি এই আকাশে এই আনন্দ-স্বরূপ পরমাত্মা না থাকিতেন। তিনি প্রাণের প্রাণ । আমরা সকলে তাহা হইতে প্রাণ পাইয়াছি। তিনি আমাদের পিতা মাতা । তাছার সকল স্বরূপ আমর নাই বুঝতে পারি তাহাতে আমাদের নিরাশ হইবার কিছু নাই, তাহাকে ত আমরা আমাদের পিতা মাত বলিয়া বুঝিয়াছি, ইহাতেই আমাদের জ্ঞান চরিতাৰ্থ হইয়াছে। কিন্তু কেবল মাত্র তাহাকে পিতা মাত বলিয়া জানিলে কি হইতে পারে ? যদি অনুগত সৎ পুত্রের ন্যায় তাহার আদেশ পালন করিয়া তাছার মুখের প্রসাদ অনুভব করিতে না পারি, যদি তাহার পিতৃভাব মাতৃভাব অনুভব করিয়া র্তাহার সহবাস-জনিত আনন্দ ভোগ না করিতে পারি, তবে তাহাকে জানা আর না জানা সমান । তাহাকে ভোগ করিয়া যে বিশেষ তৃপ্তি, তাছাই যদি জীবনে ন ঘটিল, তবে জীবন ধারণের কোন অর্থই বুঝিতে পারা যায় না । মন যেমন চক্ষু ও আলোকের সাহায্যে জগতের সুন্দর বস্তু ভোগ করে—আত্মা তেমনি একমাত্র ভক্তির মাহায্যে সুন্দর পরমাত্মাকে সম্ভোগ করে । র্তাহার স্পর্শ-স্বখ অমুভব করিয়া আনন্দের পরাকাষ্ঠী প্রাপ্ত হয়। ভক্তি আত্মায় বিদ্যুতের ন্যায় কাৰ্য্য করে। ইহা নিমেষ মধ্যে আত্মাকে পরমাত্মার সহবাস-সুখে স্বর্থী করে। যখন ভক্তি-যোগে আমরা ভাস্থাকে উীকিতে থাকি, যখন বলি, পিতা দেখ দেও— সুপ্রিল-জননী-অামি তোমায় দীন ঈীন ४७ সস্তান, আমাকে দেখা দেও—আমি তোমার ক্রোড়ে যাইয়া ক্রীড়া করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়াছি, তোমার মুখের স্নেহময় মধুর হাসঃ সম্ভোগের জন্য পিপাসু হইয় ছি—তখন তিনি কখনই স্থির থাকিতে পারেন না তখন হৃদয়ের গভীরতম প্রদেশ হইতে মধুর স্বরে নিনাদিত হইতে থাকে “ভক্তি যোগে ভালে পরে থাকতে পারি কৈ” । হা । সে কি মধুর স্বর—ইহা একেবারেই আমাদের প্রাণ মন হরণ করে । সে স্বরের তুলন। কোথায় । সে ভাষাহীন ভাষা । তাহ। হৃদয় বুঝিতে পারে, কিন্তু ব্যক্ত করিতে পারে না । যত আমরা তাহার মধুর স্বর শুনিতে পাই উৎসাহের সহিত তত আমরা আরো ভঁর নিকটবর্তী হইতে থাকি। র্তাহার মধুর } স্বর পূৰ্ব্বাপেক্ষ স্পষ্টতর ও মধুরতর রূপে ধ্বনিত হইতে থাকে। এই ভক্তির আলোকে ভক্তির দীপালোকে যখন আমরা র্তার আরতি কবি, তখন তাহার প্রেম-মুখ আমাদের জ্ঞান চকুর সম্মুখে কেমন প্রস্ফুটিত হয়! সে প্রফুল্ল মুখের স্নিগ্ধ জ্যোতি যাহার আত্মায় ন পড়িল, সে আর কোথায় দিয়! শীতল হইবে ? কোথায় গিয়া শান্তি-সুখ অনুভব কঠিলে ? এই ভক্তি-যোগে যখন র্তার প্রেম-মুখ হৃদয়-মন্দিরে নিরীক্ষণ করিতে থাকি, তখনকার অবস্থা কে প্রকাশ করিতে পারে ? সে এক সময় । তখন যত প্ৰাণ ভরিয়া তাহাকে দেখি দেখিবার ইচ্ছা তত বৃদ্ধি পাইতে থাকে । “নয়ন না ফেরে আর কোথায়” তখন চক্ষুরূপ নিৰ্ব্বর চইতে প্রেসাশ্র নির্গত হইয়! আমাদের দগ্ধ হৃদয়ের উপর দিয়া প্রবাহিত হইতে থাকে। সে শান্তি হৃদয় আর কখন বিস্মৃত হইতে পারে ন। । তখন আমরা আমাদের অজ্ঞাতসাঁরেই বলিয়া উঠি-“যায় শোক যায় তাপ