পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

": "אשמיחזקא এরূপ বোধ হয় না। পৰ্ব্বতেই যমুষ্যের প্রথম জন্ম প্রবাদ আছে মানুষ আদিম অবস্থায় পৰ্ব্বতগুহায় বাস ও নিৰ্ব্বর-জল পান এবং মৃগবা মৃগের মাংস ভোজন ও ফল মুলাদি ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করিত। তৎপর যখন পৃথিবী সাগর-সলিল হইতে উথিত হইয়া কৃষিকার্ধোর যোগ্য হইল তখন তাৰ্য্যজাতি । (?& করেন নাই। ইটালিক, গ্ৰীক জৰ্ম্মাণ প্রভূতির যে বীজ পুরুষ ইহাদিগের সে বীজ পুরুষ নহে। তৃতীয় ইয়োরোপীয় পণ্ডিতেরা বলেন, এক সময়ে এক স্থালে আর্য্য নামে এক জাতির বাস ছিল। তাহারই বংশধরেরা গ্রীশ, ইটালি, পারস্য, ভারতবর্ষ প্রভৃতি স্থানে গিয়া বাস মানুষ পৰ্ব্বত হইতে অবতীর্ণ ইয়া উপত্য- করিয়াছে, একথা কোন ক্রমেই সমূলক বলিয়। কায়, উপত্যক হইতে সমতল ভূমিতে বাস করিয়া কৃষিকাৰ্য আরম্ভ করিল। তাছার পর যখন বংশবিস্তার হয়, প্রথম বসতিস্থানে বাস-সমাবেশ স্থত্নহ হইয় উঠে, তখন তাহারা বাসোপযোগী সুখকর স্থান তন্বেষণ করিতে থাকে। যে দিকে শস্য-সম্পত্তির সুবিধা দৃষ্ট হয় সেই দিকেই ধাবমান ছয় । । ভারতীয়েরা এই রীতিক্রমে হিমালয়ের বাস- | যোগ্য অংশে উৎপন্ন হুইয়া ক্রমে দক্ষিণে ও পূৰ্ব্বে গমন করেন । বাঙ্গল দেশে ক্রমে এইরূপে বসতি হইয়াছে । হিমালয়ের বাসযোগ্য অংশে মনুষ্য স্বঃ হইয়া যেমন পঞ্জাবাদি বলবীর্যকর শস্য-ভূয়িষ্ঠ উৎকৃষ্ট প্রদেশে বাস করিয়াছিল, তেমনি বিন্ধ্য পৰ্ব্বতশ্রেণীতেও প্রথম মনুস্থ্য উৎপন্ন হইয়। দক্ষিণাপথের সমতল ভূমিতে বাস করে। পঞ্জাবাদি শস্যপূর্ণ স্বাস্থ্যকর প্রদেশে যাহারা বাস করে, তাছার দক্ষিণাপথবাসীদিগের অপেক্ষ অধিকতর বলিষ্ঠ হয় । ঐ বলিষ্ঠ ব্যক্তিরা ক্রমে অগ্রসর হইয়। দক্ষিণাপথবালী দিগকে পরাস্ত করিয়া তাহাদিগের অধিকৃত স্থান অধিকার করিয়া তাহাদিগকে আপনাদিগের অধীনস্থ করিয়। লয় । ইহাই ভারতীয় জাৰ্য্যদিগের ভারতের বহির্ভাগ হইতে ভারতে জাসিবার প্রবাদ প্রচলিত হইবার কারণ। বাস্তৰিক, ভারতীয় আর্যেরা ভারতেৱঁই লোক, ভারতই ইহাদিগের জন্মভূমি, ইহাৱা অন্যন্ত্ৰ হইতে জালিয়া ভারতে বাস | A. * so আদৃত ও পরিগৃহীত হইতে পারে না। কারণ অমরসিংহ আৰ্ষা শব্দের সৎকুলোদ্ভব অর্থ করিয়াছেন । অন্য অন্য অভিধানিকের বলেন, আর্য শব্দের অর্থ পূজা । ইয়োরোপীয় পণ্ডিতের যে জাতির সস্তান-সন্ততি গণের যে সময়ে নানা স্থানে মিনের কথা বলেন, সে সময়ে সে জাতি আৰ্ম নামের যোগ্য হয় মাই। তপন সে জাতির আদিম অতি অসভ্য অবস্থা । তখন সে জাতির সমাজ-বন্ধন ও কুলের সৃষ্টি হুইয়। ক্লীন মৌলিক বংশজ এ বন্ধনও হয় নাই, সুতরাং তাহাদিগের সংকুলোদ্ভব ও পূজ্য বলিয়। পরিগণিত হইবার অভিমান জন্মে নাই।” আপাতত আমরা আর বিদ্যাভূষণ মহাশল্পের কোন কথা উদ্ভূত করিব না। তিনি ভাষা সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন সে বিষয় পশ্চাৎ বিবেচন। করা যাইবে । বেদের ব্রাহ্মণ ভাগ ও রামায়ণ ও মহাভায়তাদি প্রাচীন গ্রন্থে উত্তর-কুরুর উল্লেখ থাকায়, ঐ উত্তর কুরু কাসগারের পূৰ্ব্বদিকে অবস্থিত ছিল বলিয়া কোন কোন লেখক সেই উত্তরকুরু আৰ্য্যজাতির উৎপত্তিস্থান নির্ণয় করিয়াছেন। যাস্ক-ঋষি স্বপ্রণীত নিরুক্তের একস্থানে কাম্বোজ দেশে শিবতি’ ক্রিয়া গত্যর্থে প্রচলিত থাকার উল্লেখ করিয়াছেন। সুতরাং সেই দেশে আর্য-বসতি ছিল। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ এই কাম্বোজ দেশ আধুনিক বোখরার সন্নিহিত বলিয়া স্থির করিয়াছেন । কিন্তু