পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ادامه فیلم T৩। তখনকার সেই আদিম অন্ধকারের কথা, অপ্রজ্ঞাত অনিৰ্দেশ্য জ্যোতিহীন শূ নের গর্ভে পূর্ণ পুরুষ পরমেশ্বরেতে এই জগৎ-কার্য্যের যে একটি বীজ নিহিত ছিল, তাহা তাছার জ্ঞান-আলোচনাতে ব্যক্ত হইয়া উৎপন্ন হইল । ৪। পরমেশ্বরের হৃদয়ে প্রেম উদ্দীপ্ত হইল আর এই বিশ্বসংসার প্রকাশ পাইল । প্রথমে প্রেমের আবির্ভাব, পরে জ্ঞানের আলোচনা, তাহার পরে দেশ-কাল-সূত্রে এই জগৎ অনুসূতি হইল। প্রেমই মনের বীৰ্য্য, সেই প্রেমেরই প্রভাবে প্রভাকর প্রভা পাইল, সুধাকর শোভার আধার হইল, এই বিশ্বসংসার এক প্রেমের সংসার হইয়। উঠিল। যখন পুরাতন ঋষিদের মনে প্রেমের ছায়া পড়িল, তখন র্তাহারা আলোচনা করিয়া জানিলেন, জগতের সঙ্গে ঈশ্বরের যে বন্ধন সে কেবল প্রেমের বন্ধন । এখনকার কবিরাও প্রেম-রসে আর্দ্র হইয়। গান করিতেছেন “যে দিকে আজি ফিরাই অঁখি, প্রেমরূপ সিরখি তে মারি ” শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত প্রিয়নাথ শাস্ত্রী এই উপদেশ পাঠ করিলেন । আজ নব বৎসরের প্রথম দিন, নবীন সূর্য্যের প্রথম আভু্যদয় । এক্ষণে ব্রহ্মের মহিমা নবতর কল্যাণতর রূপে আমাদের নিকট প্রতিভাত হইতেছে। কত বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া তবে আমরা এই মঙ্গল মুহুর্ভে আসিয়া উপস্থিত হইতে পারিয়াছি! কি জঙ্গী ছিল যে আমরা আর এক বৎসর এই মৰ্ত্তা পৃথিবীতে থাকিব। কিন্তু র্যাছার শাসনে দিন দিন সূর্ধ্যের উদয় হইতেছে যাহার, শাসনে পক্ষ মাস ঋতু সম্বৎসর পরিধাবিত নববর্ষ ব্রাহ্মসমাজ RO আবার আমরা পূৰ্ব্ববৎসরকে অতিক্রম করিয়া এই নৃতন বৎসরে উত্তীর্ণ হইতে পারিয়াছি। আমাদের যাঙ্গ কিছু শক্তি ও সিদ্ধি, তাছ কেবল সেই একমাত্র অদ্বিতীয় ঈশ্বরের করুণ, একমাত্র তাহারি ধ্রুব মঙ্গল ইচ্ছার ফল ! মৃত্যুর মধ্যেও যিনি অ্যত রক্ষা করেন, দুঃখ বিপদেও যিনি শান্তি বর্ষণ করেন এবং পাপ মলিনতার মধ্যেও যিনি পুণ্য ও পবিত্রতার জ্যোতি বিকীর্ণ করিয়া অনুতপ্ত আত্মাকে ংশোধন করেন, সেই দেবতার দেবতা দয়াময় ঈশ্বর ধন্য । ৫৪ ব্রাহ্ম সলং তো তামাদের জীবনের আর এক পৃষ্ঠা সম্পূর্ণ করিয়া চির দিনের জন্য চলিয়া গেল । এখন যদি আমরা একবার সেই জীবন-পত্রের প্রতি দৃষ্টি করি ; তাহার প্রত্যেক ঘটনায়, প্রতি ছত্রে কেবল ঈশ্বরেরই হস্ত দেখিতে পাইব এবং আমাদের প্রতি তাহার যে কত করুণ। তাছা ভাবিয়া আকুল হইব। যখন পীড়ার যন্ত্রণায় গভীর আর্ত নাদ করিতেছিলাম তখন তিনি স্বাস্থ্য বিধান করিয়াছেন । যখন অনশনের শুল্বতীয় 간 শীর্ণ হইতেছিলাম, তখন সেই চরিত্ন-দুঃখ হইতে তিনি পরিত্রাণ করিয়াছেন। দ্বন্দ্ব বিষাদ হৃদয়ে উত্থিত হইয় তাহারই শাসনে অমনি নিৰ্ব্বাণ পাইয়াছে। কত শত্রু অামাদের বিনাশের অবসর খুজিতেছিল, কিন্তু তিনি তাহাদিগকে সে অবসর দেন নাই । কি মধ্যাহ্ন-সূর্যের আলোক কি রজনীর গভীর অন্ধকার সকল সময়েই তাহার দৃষ্টি আমাদের উপরে নিপতিত ছিল। ঐ দেখ এখনো তাহার কোমল স্নেহ-দৃষ্টি জামাদিগের উপর পতিত হইয়া সুধা বর্ষণ করিতেছে। এবং আমাদিগের রিপুকুলের উপর তাছার রুদ্র দৃষ্টি নিপতিত হইয় তাহাদিগকে দগ্ধ করিয়া দিতেছে। মনে হয়, কতবার কল্যাণ হইতেছে, উহারি অমোঘ সাহায্য পাইরা। প্রদ ধৰ্ম্মপথ পরিত্যাগ করিয়া আমরা অঞ্চ