পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ করিয়া ধৰ্ম্মের বিমল প্রভ স্ফৰ্ত্তি পাইতেছে । মনুয্যের চতুর্দিকেই বিস্তু-বিপত্তি—কেহই তাহার সহায় নাই। ও-কতি মনুষ্যের জন্য অধিক কি করিবেন—তিনি যাহা করিয়াছেন তাহাই যথেষ্ট্ৰ-মনুষাকেই প্রকৃতির সাহায্যের ভারগ্রহণ করিতে হইবে ;-মমুষ্যের ইহা কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । মনুষের যখন জ্ঞানের উন্মেষ হুইল—যখন দেখিল যে, চইতেছে ; মোহের কুজবটিক অপসারিত | মাতার ক্রোড়ে শয়ান থাকিলে আর চলে । ন—তপন সে এক প্রবল অস্ত্র হস্তে করিয়া বিস্তু ধিপত্তির সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইল ;– | তাহার সে অস্ত্র অমোঘ অস্ত্ৰ— তাহর নাম — | সাধন মনুষ্যেরই ধৰ্ম্ম! ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ--সকলই সদন-সাপেক্ষ । সাধম পশু পক্ষীদের জন্য নহে--পশু পক্ষীর বিনাসাধনেই সিদ্ধ। গায়ক পক্ষী কোন গুরুর নিকট গান শিক্ষা করে না, মধুমক্ষিক কোন বিদ্যালয়ে জ্যামিতি শিক্ষা করে না ; 1স" পাস কোন প্লামার্জনের নিকট বাধাম শিক্ষা বা অস্ত্র শিক্ষা করে না, অথচ স্বকৰ্মো সকলেই পারদর্শী ; কিন্তু এমন এক জন মনুষ্য কোথায়—যিনি মনুমোচিত কর্য্যে পারদর্শী ? মনুয্যের মহত্তম সিদ্ধির প্রতি লক্ষ্য করিয়। ভগবদগীত। বলিয়াছেন “মনুমানাং সহস্ৰেষু কশ্চিৎ যততি সিদ্ধয়ে”—সহস্রের মধ্যে যদি এক জন সিদ্ধিলাভের জন্য যত্ন করেন,—কিন্তু আর-এক দিকে দেখা যায় যে, সিদ্ধিলাভের জন্য যত্ব না করিলে মনু । কখনই শুস্থ হইতে পারে না ;—মনুয়া যf সাধন-ব্যতিরেকে কুশলে কালযাপন করিতে পারিত—তবে তাহার হস্তে আর কোন কার্য থাকিত না -- তাহার ইচ্ছার কোন ৷ প্রতিবন্ধক থাকিত না—সুখ-ভোগই তাহার

    • मित्र, २ छं

একমাত্র কার্য্য হইত-ভোগেই মমুষ্যের জীবন অবসান হইত ; কিন্তু এরূপ অবস্থায় মনুষ্যের মন তৃপ্তি-লাভ করিতে পারে না,— ভোগ কথাটাই মনুষ্যের শ্রবণ-কটু, মনুষের দৃষ্টি এমনি দূর-দৃষ্টি-মনুষ্যের আশা এমনি দূরারোহী—মনুষ্যের হৃদয় এমনি প্রশস্ত । যে, কোন ভোগই সে দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হয় না— কোন ভোগই সে আশাকে হাত বাড়াইয়া পায় না—কোন ভোগই সে হৃদয়কে পূর্ণ করিতে পারে না। মনুষ্য যে ভোগ চায় সে ভোগ জগতের কোথাও পাওয়া যায় ন! ;--জগতে যাহা যত স্থায়ী হউক ন৷ কেন—তাহাই অস্থায়ী, যাহা যত উংকৃষ্ট হউক না কেন তাছাই দোষযুক্ত, যাহা যত বড় হউক না কেন তাহাই ছোটো,—আমাদের পূর্বতন ঋষিরা বলিয়াছেন, । “ষোবৈ ভূম ওৎসুগং-নাল্পে সুখমস্তি— ভূমৈব সুখং--ভূমীত্বেব বিজিজ্ঞাসিভধ্য: ॥” “যিনি মহান তিনি সুখস্বরূপ — অল্প কিছুতে সুখ নাই—মহানই সুখ—মহানকেই জানিতে ইচ্ছ। কুর ; ” যমুষের লক্ষ্য এইরূপ উচ্চ হওয়াতে—তাহার ভোগ সুদুর ভবিষ্যতে পড়িয়া গিয়াছে-ও সাধনই তাহার বর্তমানের উপজীবিকা হইয়াছে ;–পশুদিগের নায় মনুষ্য উপস্থিত. ভোগকেই পরাকাষ্ঠী মনে করিয়া নিশ্চিস্ত থাকিতে পারে না,—মনুষ্য উচ্চ হইতে উচ্চতর-- মহৎ হইতে মহত্তর-স্থায়ী হইতে স্থায়িত -ভোগে উত্থান করিবার জন্য সাধনকে ার কর্ণধার নিযুক্ত করেন। অতএব ভোগে নিশ্চিন্ত না থাকিয়৷ আমাদের সকলেরই উচিত-সাধনে প্রবৃত্ত হওয়া । মনুষ্যের সাধন দুইরূপ স্বার্থ-সাধন এবং পরমার্থ-সাধন । মনুষ্যমাত্রই স্ব স্ব । শক্তি অনুসারে আপন আপন স্বাৰ্থ সাধন করিয়া থাকে-কাছাকেও লিতে হয় না ৰে