পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ίτη καινου তুমি স্বার্থের জন্য প্রাণপণ ষত্ব করিও। কোন ব্যক্তিকে যদি এরূপ দেখা যায় যে, তিনি ণ্ডাহার স্বার্থ-সাধনে নিশ্চেষ্ট্র, সে কেবল উাহার শক্তির অভাবে-ইচ্ছার অভাবে নহে। তাহার শরীর-মন হয় ত দুৰ্ব্বল— র্তাহার সাংসারিক অবস্থা হয় ত প্রতিকুল – প্তাহার আশানুরূপ ফল হয় ত সুদুলভ— এই জন্যই তিনি নিশ্চেষ্ট্র ; স্বার্থের প্রতি র্তাহার ষে বিরাগ হইয়াছে, তাহা নহে। আপনার ভোগের দিকেই স্বার্থের লক্ষ্য — কাহারে বা ভোগের আয়তন বিস্তত, কাহারো বা ভোগের আয়তন সঙ্কুচিত ;— বিতস্তি-পরিমাণ ভূমি লাভ হইলেই হয় ত এক জন কৃষকের স্বার্থ সিদ্ধ হইতে পারে— যোজন-পরিমাণ ভূমি লাভ হইলেও হয় ত একজন রাজার স্বাৰ্থ-সিদ্ধির কিছুই হয় না । সিনি যে পদের মনুষ্য, তাহার স্বার্থের অায়তন তাহার সেই পদেরই অনুরূপ,—যিনি যে পদে দাড়াইয়া আছেন সেই পদ রক্ষা করা এবং সেই পদ বৃদ্ধি করাই তাহার স্বাৰ্থ । - g কিন্তু সভ্য-সমাজে এমন মনুষ্য অতীব বিরল যাহার স্বাৰ্থ কেবল-মাত্র স্থার্থ–নিঃস্বাৰ্থ ভাবের চিহ্নযাত্রওঁ যাহাতে নাই। সভ্য-সমাজে মনুষ্য মাত্রই গৃহী, গুহুি-জনের স্বার্থ পরস্পরের স্বার্থের উপর নির্ভর করে— ইহা সকলেই জানিতেছেন ;—প্রতি-জনেরই স্বাৰ্থ আর পাচ-জনের স্বার্থের সহিত জড়িত,-প্রতি-জনেরই স্বার্থের সহিত নিঃস্বার্থ ভাব কিয়ৎপরিমাণে সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে । এই স্বীর্থসাধন হইতে পরমার্থ-সাধন সিদ্ধিলাভের উন্নত সোপান । মনুষ্য একদিকে যেমন গৃহবাসী—অার একদিকে তেমনি জগৎবাণী-যেমন স্ত্রী পুত্রের স্বার্থের সহিত মনুষ্যের স্বাৰ্থ জড়িত রহিয়াছে –তেমনি জগতের স্বার্থের সহিত মনুষ্যের স্বাৰ্থ জড়িত আচার্যের উপদেশ । ২১৩ রহিয়াছে--সৃহবাসী মনুষ্যের যেমন পিতা— জগৎবাসী মমুষোর সেইরূপ পরমেশ্বর; গুহবাসী মানুষ্যের ভ্রাতা—সহোদর, জগৎবাসী মনুষ্যের ভ্রান্ত – মনুষ্য; গৃহবাসী মনুষের যেমন সৎপুত্র-জগৎবাসী মনুম্যের সেই রূপ-অনুষ্ঠিত সৎকৰ্ম্ম ; গৃহবাসী মমুয্যের যেমন দম্পতি-প্রেম-জগৎবাসী মনুষোর তেমনি বিশুদ্ধ ঈশ্বরপ্রেম; গৃহবাসী মনুষ্যের যেমন স্বার্থ– জগৎবাণী মনুষের তেমনি পরমার্থ। ঈশ্বরকে পিতা জানিয়া—সমস্ত মনুষকে ভ্রাতা জানিয়—সকলের স্বার্থকে আপনার স্বার্থ মনে করিয়া কার্য্য করাকে পরমার্থ-সাধন কহা যায় ; এক কথায়—ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছার অনুগত হইয়। কার্যা করাকে পরমার্থ-সাধন কহ যায় . পরমার্থসাধনেই মনুমোর পুরুষাৰ্থ সিদ্ধ হয়, তাছাতেই মনুয্যের মধুমাত্ব ! ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছাই প্রকৃতির সৰ্ব্বস্ব,—প্ৰকৃতি আমাদের সকলেরই মঙ্গলের জন্য অহোরাত্র নিযুক্ত রছিয়াছে,—একৃতির মঙ্গল-কার্সোর যদি আমরা প্রাণপণে সহায়তা করি তবে আমরা আপনাদেরই মঙ্গলের মূল পত্তন করি ; মনুয্যের ভ্রাতৃসোঁহাৰ্দ্দে মিলিত হইয় প্রকৃতিকে সাহায্য করিবে—মঙ্গলের সাহায্যে এবং অমঙ্গলের বিরুদ্ধে সমস্ত শক্তি নি য়োগ করিবে-ইহাই মনুষোর প্রকৃতি-সিদ্ধ; কিন্তু তাহা না করিয়া মনুষ্য যখন পরস্প রের বিপক্ষতাচরণে প্রবৃত্ত হয়, অমঙ্গলের সাহায্যে এবং মঙ্গলের বিরুদ্ধে কোন চেষ্টারই ত্রুটি করে ন!—তখন মনুষ্য বিকার-দশা প্রাপ্ত হয় । মনে করিও না যে আমরা উপদেষ্টান্ধু পদবীতে স্পর্দার সহিত দণ্ডায়মান লই আমাদের পরমার্থ সিদ্ধ হইল ; স্পৰ্দ্ধ, গৰ্ব্ব, যশোলিপা,—এ সমস্ত পরমার্থ হইতে শত-কোটি যোজন দূরে অবস্থিতি করে। ঈশ্বরের প্রতি প্রীতি ভক্তি ও জগ